বাংলাদেশ ক্রিকেট

মার খেয়ে মাথা খুলেছে সাইফউদ্দিনের

ক্রিকফ্রেঞ্জি ডেস্ক

ক্রিকফ্রেঞ্জি ডেস্ক
প্রকাশের তারিখ: 23:41 শুক্রবার, 20 আগস্ট, 2021

|| ডেস্ক রিপোর্ট ||

সর্বশেষ কয়েক বছরে ওয়ানডে ও টি-টোয়েন্টি দলে মুস্তাফিজুর রহমানের সঙ্গে বোলিং ইউনিটের বড় ভরসার প্রতীক মোহাম্মদ সাইফউদ্দিন। তবে এর মাঝে বেশ কিছু ম্যাচে অনেক রানও দিয়েছেন ডানহাতি এই পেসার। সর্বশেষ জিম্বাবুয়ে সিরিজের দুটি ম্যাচেও ছিলেন বেশ খরুচে। 

তৃতীয় ওয়ানডেতে ৮৭ রান দেয়ার পাশপাশি সর্বশেষ টি-টোয়েন্টিতে ৪ ওভারে দিয়েছিলেন ৫০ রান। যা থেকে উতরে যেতে কাজ করছেন সাইফউদ্দিন। এদিকে মজার ছলে ডানহাতি এই পেসার জানিয়েছেন, বোলাররা মাইর খেলে তাঁদের মাথা খুলে। সেই সঙ্গে তাঁর দাবি, মার খেয়েই মাথা খুলেছে তাঁর।

ক্রিকফ্রেঞ্জির সঙ্গে একান্ত সাক্ষাৎকারে এ প্রসঙ্গে সাইফউদ্দিন বলেন, ‘আসলে এটা স্বাভাবিক, একটি বাচ্চা যখন হাঁটা শিখে তখন পড়তে পড়তেই হাঁটা শিখে। আমিও তো সর্বশেষ জিম্বাবুয়ে সফরে অনেক মার (বোলিংয়ে রান বেশি রান দেয়া) খেয়েছি। আসলে মার খেলে মাথা খুলে, এটা সব বোলারের ক্ষেত্রেই হয়। বুকে হাত দিয়ে কেউ বলতে পারবে না যে কোন বোলার মার খায় নাই।’

তিনি আরও বলেন, ‘যত বেশি আমি মার খাবো রুমে গিয়ে ততবেশি চিন্তা করব যে কিভাবে বৈচিত্র আনা যায়, কিভাবে আরও ভিন্ন কিছু আনা যায়। জিম্বাবুয়েতে সর্বশেষ ওয়ানডে ও টি-টোয়েন্টিতে অনেক রান দিয়েছি। তো চিন্তা করতেছি কিভাবে আরও স্কিলের উন্নতি করা যায়, অনুশীলনে চেষ্টা করেছি। হয়তো সফল হয়েছি আবার হয়তো মার খাবো।’

আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে টিকে থাকতে হলে বোলারদের প্রতিনিয়ত বোলিংয়ে বৈচিত্র আনতে হয়। কারণ আন্তর্জাতিক পর্যায়ে ভালো মানের ব্যাটসম্যানদের বিপক্ষে বোলিং করতে হয় তাঁদেরকে। সাইফউদ্দিনের বোলিংয়ে গতি ১৩০ হওয়ায় তাঁর জন্য আরও চ্যালেঞ্জিং বলে জানিয়েছেন তিনি। 

আগামী ১৭ অক্টোবর ওমান ও সংযুক্ত আরব আমিরাতে মাঠে গড়াবে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের এবারের আসর। যেখানে বাছাই পর্ব পেরিয়ে বিশ্বকাপের মূল পর্বে খেলতে হবে বাংলাদেশ। বিশ্বকাপের আগে বোলিং কোচ ওটিস গিবসনের সঙ্গে বোলিংয়ের বৈচিত্র নিয়ে আরও কাজ করবেন বলে জানান তিনি। 

সাইফউদ্দিন বলেন, ‘যতদিন যাবে তত পরিবর্তন করতে হবে। নিজেকে আরও ইম্প্রুভ করতে হবে কারণ আন্তর্জাতিক ক্রিকেট খেলতে হলে আধিপত্য বিস্তার করে খেলতে হবে। এখানে অনেক ভালো ব্যাটসম্যান থাকে আবার এদিকে আমার বলের পেস যেহেতু ১৩০ এর মতো সেহেতু আমার জন্য আরও অনেক চ্যালেঞ্জিং। সবকিছু নিয়েই আমি চিন্তা করতেছি। কোচ ওটিস গিবসন আছে ওর সঙ্গে কথা বলতেছি। সামনে বিশ্বকাপ বেশি কাজ করব এসব নিয়ে।’