ইংল্যান্ড-ভারত সিরিজ

কোহলির দ্রুত আউট হওয়ার কারণ বাজে ফুটওয়ার্ক

ক্রিকফ্রেঞ্জি ডেস্ক

ক্রিকফ্রেঞ্জি ডেস্ক
প্রকাশের তারিখ: 20:30 সোমবার, 16 আগস্ট, 2021

|| ডেস্ক রিপোর্ট ||

লর্ডসে ইংল্যান্ডের বিপক্ষে সিরিজের দ্বিতীয় টেস্টেও ব্যাট হাতে জ্বলে উঠতে পারেননি বিরাট কোহলি। এই টেস্টের দুই ইনিংসে ব্যাটিংয়ের সময় তার বাজে ফুটওয়ার্ক সকলের নজরে এসেছে। মূলত ব্যাটিংয়ের সময় ব্যাট ও পায়ের সামঞ্জস্যতার হের-ফের হওয়ায় বার বার আউট হয়েছেন কোহলি। ভারতীয় অধিনায়কের দ্রুত আউট হওয়ার কারণ হিসেবে বাজে ফুটওয়ার্ককেই দায়ী করলেন সুনীল গাভাস্কার।

রোববার (১৫ আগস্ট) লর্ডস টেস্টের দ্বিতীয় ইনিংসে ব্যাটিংয়ে নেমে মধ্যাহ্ন বিরতির আগে ২০ রান করে ফিরে যান কোহলি। ইনিংসের ২৩তম ওভারে স্যাম কারানের অফ স্ট্যাম্পের বাইরের বল ডিফেন্স করতে গিয়েছিলেন কোহলি। যে লাইনে বল আউট সুইং হচ্ছিল, সে অনুযায়ী ফুটওয়ার্ক করেননি তিনি। এতে বল ব্যাটের কানায় লেগে ইনসাইড এজ হয়ে চলে যায় উইকেটরক্ষক জস বাটলারের হাতে।

শুধু এই ইনিংসে নয়। আগের ইনিংসেও ব্যাট করার সময় ভুলভাল ফুটওয়ার্ক করেন কোহলি। যার মাসুল দিয়ে হয়েছিল ৩৪ বছর বয়সী এই ক্রিকেটারকে। সেই ইনিংসে ফিরে গিয়েছিলেন ৪২ রান করে। কিংবদন্তী ক্রিকেটার গাভাস্কারের মতে, পা ও ব্যাটের মধ্যকার সামঞ্জস্যতা নষ্ট হওয়ায় চলমান টেস্ট সিরিজে ব্যাট হাতে নিষ্প্রভ কোহলি।

গাভাস্কার বলেন, ‘কোহলি যেভাবে ব্যাট করে থাকে, সেই পদ্ধতিতে সে বরাবরই সফল হয়েছে। একই ধাচে খেলে সে টেস্টে ৮ হাজার রানের মাইলফলক স্পর্শ করেছিল। যদিও এই সিরিজে সে স্ট্যাম্পের বাইরের বল একটু আগে শট খেলে ফেলেছে। ওর পা ও ব্যাটের মধ্যকার সামঞ্জস্যতা কিছুটা নষ্ট হয়েছে। এর অর্থ এই যে ও সেরা পারফর্ম করতে পারছে না। এই বিষয়গুলো নিয়ে অনেকভাবে সমালোচনা করা যায়। সবকিছু ছাপিয়ে পাঁচ দিনের ক্রিকেটে প্রত্যেকব্যাটসম্যানকে রান করতে হয়। ও যে পদ্ধতি আসলে ভিন্ন।’

ব্যাটিংয়ের সময় বাজে ফুটওয়ার্ক ব্যাটম্যানকে বিপদে ফেলতে পারে বলে কোহলিকে সতর্ক করেন গাভাস্কার। মাঠের পারফরম্যান্সে সেরাটা দিতে নিজের চিরোচারিত ধাচেই ব্যাট করা উচিত বলে মনে করেন তিনি। এটাই প্রতিপক্ষ দলের বোলারদের বিপক্ষে সফল হওয়ার মূলমন্ত্র বলে জানান তিনি।

গাভাস্কারের কথায়, ‘প্রতিপক্ষ দলের বোলারের বিপক্ষে আক্রমণাত্বক খেলার সময় বাজে ফুটওয়ার্ক সমস্যায় ফেলতে পারে। যা আমরা কোহলির ক্ষেত্রে দেখেছি। আমার মনে হয় প্রত্যেক ব্যাটসম্যানকে তার নিজস্ব পদ্ধতি খুঁজে বের করা উচিত। এটা যেহেতু টেস্ট ম্যাচ। ওয়ানডে ও টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটে সম্পূর্ণ ভিন্ন পরিস্থিতি থাকে। ব্যাট হাতে ভাল করতে নিজের পুরনো স্টাইলে খেলার চেষ্টা করা উচিত। এদিক-ওদিক শট খেলার সময় তা অনুসরণ করা জরুরি।’