ওয়েস্ট ইন্ডিজ - পাকিস্তান সিরিজ

ব্র্যাথওয়েটের আক্ষেপের দিনে ওয়েস্ট ইন্ডিজের লিড

ক্রিকফ্রেঞ্জি ডেস্ক

ক্রিকফ্রেঞ্জি ডেস্ক
প্রকাশের তারিখ: 12:41 শনিবার, 14 আগস্ট, 2021

|| ডেস্ক রিপোর্ট ||

ইয়াসির শাহ’র লেগ স্ট্যাম্পের বাইরের বল ফাইন লেগে ঠেলে দিয়ে দুই রান নিতে গিয়ে বিপাকে পড়েন ক্রেইগ ব্র্যাথওয়েট। নিজের গন্তব্যে পৌঁছার আগেই হাসান আলীর দুর্দান্ত এক থ্রোতে রান আউট হয়ে সাজঘরে ফিরতে হয় ওয়েস্ট ইন্ডিজের এই অধিনায়ককে। তাতে মাত্র ৩ রানের জন্য সেঞ্চুরি না পাওয়ার আক্ষেপে পুড়তে হয় ডানহাতি এই ব্যাটসম্যানকে। ওয়েস্ট ইন্ডিজের দ্বিতীয় ওপেনার হিসেবে নব্বইয়ের ঘরে প্যাভিলিয়নের পথে হাঁটেন ব্র্যাথওয়েট।

১৯৭৪ সালে প্রথমবার নম্বরের ঘরের আউট হয়েছিলেন ওপেনার গর্ডন গ্রিনিজ। এদিকে ব্র্যাথওয়েটের ৩ রানের আক্ষেপের দিনে জ্যামাইকা টেস্টের প্রথম ইনিংসে লিড পেয়েছে ওয়েস্ট ইন্ডিজ। পাকিস্তানের ২১৭ রানের বিপরীতে ক্যারিবীয়দের সংগ্রহ ৮ উইকেটে ২৫১ রান। ৩৪ রান এগিয়ে থেকে তৃতীয় দিন ব্যাটিংয়ে নামবে স্বাগতিকরা। দলটির হয়ে জশুয়া ডি সিলভা ২০ ও জোমেল ওয়ারিক্যান অপরাজিত ১ রানে। 

কিংস্টোনে আগের দিনের ১ রানে ২ উইকেট নিয়ে ব্যাটিং নামে ওয়েস্ট ইন্ডিজের দুই ব্যাটসম্যান ব্র্যাথওয়েট ও রোস্টন চেজ। আগের দিনের ব্যাটিং বিপর্যয় খানিকটা সামলে নেন দুই ব্যাটসম্যান। তবে থিতু হয়েও বড় ইনিংস খেলা হয়নি চেজের। ২১তম ওভারে ডানহাতি এই ব্যাটসম্যানকে ফিরিয়ে ১০৯ বলে তাঁদের ৫০ রানের জুটি ভাঙেন হাসান। 

ডানহাতি এই পেসারের পঞ্চম স্ট্যাম্পের বল ড্রাইভ করতে গিয়ে ব্যাট সরিয়ে নেন চেজ। তবে সেটি ব্যাটের কানায় লেগে উইকেটের পেছনে চলে গেলে ডান পাশে কিছুটা ঝাঁপিয়ে পড়ে গ্লাভসবন্দি করেন মোহাম্মদ রিজওয়ান। তাতে ৫১ বলে ২১ রান করে সাজঘরে ফিরতে হয় চেজকে।

পাঁচে নেমে ব্র্যাথওয়েটকে দারুণভাবে সঙ্গ দেন জার্মেইন ব্ল্যাকউড। মধ্যাহ্ন বিরতির আগে স্বাগতিকদের সংগ্রহ দাঁড়ায় ৩ উইকেটে ৮১ রান। মধ্যাহৃ বিরতি থেকে ফেরার সপ্তম ওভারের প্রথম বলেই ব্ল্যাকউড। ৫৪ বলে ২২ রান করা ডানহাতি এই ব্যাটসম্যানকে ফেরান শাহিন শাহ আফ্রিদি। তাতে ভাঙে ব্র্যাথওয়েটের সঙ্গে তাঁর ১০৩ বলে ৪৯ রানের জুটি।

পরের বলেই ছয়ে নামা কাইল মায়ার্সকে লেগ বিফোরের ফাঁদে ফেলেন এই ডানহাতি পেসার। মায়ার্স ভালো করতে না পারলেও বোলিংয়ের মতো ব্যাট হাতেও দারুণ করেছেন জেসন হোল্ডার। নিজের ৫০তম টেস্টে ব্র্যাথওয়েটের সঙ্গে ১৯০ বলে ৯৬ রানের জুটি গড়েন তিনি। এদিন ৯৫ বলে হাফ সেঞ্চুরি তুলে নেন হোল্ডার।

হাফ সেঞ্চুরি ‍তুলে নেয়ার পর অবশ্য খুব বেশি সময় দীর্ঘস্থায়ী হতে পারেননি তিনি। দলীয় ১৯৬ রানে ফাহিম আশরাফের অফ স্ট্যাম্পের অনেক বাইরের বল ডিফেন্স করতে গেলে তা এজ হয়ে রিজওয়ানের গ্লাভসে চলে যায়। সাজঘরে ফেরার আগে ১০৮ বলে ৫৮ রানের ইনিংস খেলে যান তিনি।

যা তাঁর ক্যারিয়ারের ১১তম টেস্ট হাফসেঞ্চুরি। ইনিংসটি সাজানো ছিল ১০টি চারের সাহায্যে। সতীর্থদের যাওয়া-আসার মধ্যেই আত্মবিশ্বাসী শট খেলে সেঞ্চুরির দিকে এগিয়ে যাচ্ছিলেন ব্র্যাথওয়েট। বিপত্তি বাঁধে দলীয় ২২১ রানে এসে। টেস্ট ক্যারিয়ারের দশম সেঞ্চুরির খুব কাছে যেতেই রান আউট হয়ে সাজঘরের পথ ধরেন এই ডানহাতি ব্যাটসম্যান।

প্যাভিলিয়নের পথে হাঁটারর আগে ১২টি চারের সাহায্যে ৯৭ রানের আক্ষেপে মোড়ানো ইনিংস খেলেন ১৩৯ বলে হাফ সেঞ্চুরি তুলে নেয়া ব্র্যাথওয়েট। পরবর্তীতে উইকেটে এসে থিতু হতে পারেননি কেমার রোচ (১৩)। শেষপর্যন্ত ডি সিলভা ৬২ বলে ২০ ও জোমেল ওয়ারিকান ৩ বলে ১ রানে অপরাজিত থেকে দ্বিতীয় দিনের ব্যাটিং শেষ করেন।

সংক্ষিপ্ত স্কোর:

পাকিস্তান- ২১৭/১০ (ওভার ৭০.৩) (ফাওয়াদ ৫৬, ফাহিম ৪৪, বাবর ৩০, রিজওয়ান ২৩, হোল্ডার ৩/২৬, সিলস ৩/৭০)

ওয়েস্ট ইন্ডিজ- ২৫১/৮ (ওভার ৮৭) ( ব্র্যাথওয়েট ৯৭, হোল্ডার ৫৮, ব্ল্যাকউড ২২, ডি সিলভা ২০*,  আব্বাস ৩/৪২, আফ্রিদি ২/৫৯)