ইংল্যান্ড - ভারত সিরিজ

অ্যান্ডারসন, আসিফ এবং একটি ডেলিভারির গল্প

ক্রিকফ্রেঞ্জি ডেস্ক

ক্রিকফ্রেঞ্জি ডেস্ক
প্রকাশের তারিখ: 20:28 বৃহস্পতিবার, 12 আগস্ট, 2021

|| ডেস্ক রিপোর্ট ||

নটিংহ্যাম টেস্টে ৫ উইকেট নিয়ে অলিভার রবিনসন দলের সেরা বোলার হলেও লর্ডস টেস্টে আলোচনায় জেমস অ্যান্ডারসনের নতুন এক ডেলিভারি। ব্যাটসম্যানদের বোকা বানাতে ওয়াবল সিম ডেলিভারি ব্যবহার করছেন ইংল্যান্ডের অভিজ্ঞ এই পেসার। যা গুড লেন্থে পিচ করে যে কোন দিকেই সুইং করতে পারে। 

সেই ধাঁধাতেই বোকা বনে যাচ্ছেন ব্যাটসম্যানরা। ক্রিকেটে এমন ডেলিভারি অবশ্য এবারই প্রথম নয়। ২০১০ সালে মোহাম্মদ আসিফকে এমন ডেলিভারি করতে দেখা যায়। পাকিস্তানের সাবেক এই পেসারকে দেখেই মূলত এমন ডেলিভারি আয়ত্ত করেছেন অ্যান্ডারসন। সম্প্রতি এক সাক্ষাৎকারে নতুন এই ডেলিভারি নিয়ে কথা বলেছেন এই ইংলিশ পেসার।

সময়টা ২০১০ সালের গ্রীষ্মকাল। পাকিস্তানের সঙ্গে টেস্ট সিরিজ খেলতে ব্যস্ত পার করছে ইংল্যান্ড। সেই সিরিজে চোখে পড়ে নতুন এক ডেলিভারি। যা দিয়ে সেই সময় ইংলিশ ব্যাটসম্যানদের বোকা বানাচ্ছিলেন আসিফ। এটি সাধারণ ডেলিভারিগুলোর চেয়ে খানিকটা ভিন্ন। সাধারণ ডেলিভারিগুলোর ক্ষেত্রে বোলাররা বলের গ্রিপের দুই পাশের ‍আঙুলগুলো চেপে রাখেন।

কিন্তু এই ডেলিভারি করার ক্ষেত্রে গ্রিপের দুই পাশের থাকা বোলারের আঙুল দুটোর মাঝে বেশ খানিকটা ফাঁকা থাকে। বাড়তি সুইং পেতে সিমের ওপর খানিকটা অতিরিক্ত চাপও দেয়া হয়। সেই সঙ্গে বোলারদের রিস্টেও খানিকটা পরিবর্তন আনা হয়। তাতে করে বলের নির্দিষ্ট সুইং বোঝা কঠিন হয়ে যায় ব্যাটসম্যানদের জন্য।

এমন ডেলিভারিতে ইংলিশ ব্যাটসম্যান যখন খাবি খাওয়ার পর ম্যাচ শেষে অ্যান্ডারসনের দারস্থ হন তাঁরা। কিন্তু সেটির সঙ্গে অ্যান্ডারসন খুব বেশি চেনা না হওয়ায় ভিডিও ফুটেজের সাহায্য নেন অভিজ্ঞ এই পেসার। আসিফের ভিডিও ফুটেজ দেখে সেই ডেলিভারি আয়ত্ত করার লোভ সামলাতে না পেরে নেটে গিয়ে অনুশীল করেন অ্যান্ডারসন।

সংগৃহীতছবি: সংগ্রহিত

যা পরবর্তী সময়ে নিজের বোলিং বৈচিত্রের সঙ্গে যুক্ত করেন ডানহাতি এই পেসার। এমনিতেই গতিময় বোলিংয়ের সঙ্গে লাইন লেন্থ, ইন সুইং ও আউট সুইং দিয়ে ব্যাটসম্যানদের বোকা বানানোর ক্ষেত্রে বিশ্বনন্দিত অ্যান্ডারসন। সেই সময় অস্ট্রেলিয়ার সঙ্গে ডেলিভারিটি ব্যবহার করলেও সেটি পুরোদমে আলোচনায় এসেছে নটিংহ্যাম টেস্টের পর।

নতুন এই ডেলিভারি নিয়ে কথা বলতে গিয়ে অ্যান্ডারসন বলেন, ‘আমরা সেই সময় পাকিস্তানের বিপক্ষে খেলছিলাম এবং মোহাম্মদ আসিফের একটি বল হালকা নড়ে ‍দুই দিকেই যাচ্ছিলো। আমাদের ব্যাটম্যানরা বলছিল এটা খেলা কঠিন। তারপর আমরা ফুটেজ পাই এবং সে এটা কিভাবে করে তা বের করার চেষ্টা করি।’

ডানহাতি এই পেসার আরও বলেন, ‘তারপর সিরিজ চলাকালীন আমি নেটে যাই এবং দেখার চেষ্টা করি যে আমি এটা কতটা ভালো পারি। আমি কিছু একটা পেলাম যা কাজ করছে। গুড লেন্থে এটা আমি আয়ত্ত করলাম এবং নেটে থাকা ব্যাটসম্যানরা বলছিল এটা খুবই ভালো বল। অস্ট্রেলিয়াতে আমি এটা ব্যবহার করি এবং খুবই ভালো কাজ করে।’