ইংল্যান্ড - ভারত সিরিজ

ভারতের এমন পেস আক্রমণ আগে দেখেননি ইনজামাম

ক্রিকফ্রেঞ্জি ডেস্ক

ক্রিকফ্রেঞ্জি ডেস্ক
প্রকাশের তারিখ: 18:47 রবিবার, 08 আগস্ট, 2021

|| ডেস্ক রিপোর্ট ||

নটিংহ্যাম টেস্টে গতি আর সুইং দিয়ে ইংল্যান্ডের ব্যাটিং লাইনআপকে রীতিমতো কোণঠাসা করে রেখেছে ভারতের পেসাররা। দুই ইনিংসে ইংলিশ ব্যাটসম্যানদের মোট ২০টি উইকেটই ভাগাভাগি করেছেন সফরকারীদের চার পেসার জসপ্রিত বুমরাহ, মোহাম্মদ শামি, শার্দুল ঠাকুর ও মোহাম্মদ সিরাজ।

ভারতের এমন পেস বোলিং লাইনআপ দেখে অভিভূত ইনজামাম-উল-হক। বর্তমান সময়ের মতো কখনোই এত সমৃদ্ধ ও শক্তিশালী ভারতের পেস বোলিং ইউনিট দেখেননি বলে মন্তব্য করেছেন পাকিস্তানের সাবেক এই অধিনায়ক।

ট্রেন্ট ব্রিজে চেনাচরিত পেসবান্ধব কন্ডিশনে দুই ইনিংসে ইংলিশ ব্যাটসম্যানদের পাত্তাই দেয়নি বুমরাহ-শামিরা। প্রথম ইনিংসে বুমরাহ ৪টি, শামি ৩টি, শার্দুল ২টি ও বাকি একটি উইকেট নিয়েছিলেন সিরাজ। যার ফলে মাত্র ১৮৩ রানেই থেমেছিল স্বাগতিকদের ইনিংস।

দ্বিতীয় ইনিংসেও একই রকম আধিপত্য বিস্তার করতে দেখা গেছে সফরকারী পেসারদের। এই ইনিংসে বুমরাহ’র ৫ উইকেট শিকারের সঙ্গে ২টি করে সিরাজ ও শামি এবং বাকি উইকেটটি লুফে নিয়েছেন শার্দুল। এমন পারফরম্যান্সে বুমরাহদের প্রশংসায় মেতেছেন ইনজামাম।

তিনি বলেন, ‘নটিংহ্যাম টেস্টের প্রথম দিন থেকেই পেস আক্রমণ দিয়ে দারুণ ছন্দ দিয়ে সিরিজ শুরু করেছে ভারত। তারা উপযুক্তভাবে ইংল্যান্ডকে ব্যাকফুটে ফেলে দিয়েছে। ইংল্যান্ডের মতো ভিন্ন কন্ডিশনে প্রথম টেস্টে খুব একটা সুবিধা করতে পারে না এই উপমহাদেশের বোলাররা। তবে ভারতের বোলাররা স্বাগতিক ব্যাটসম্যানদের হতাশ করেছে।’

বুমরাহ’র প্রসংশা করতে গিয়ে ইনজামাম বলেন, ‘প্রথম ইনিংসে ৪ উইকেট নিয়ে ইংল্যান্ডকে ব্যাটফুটে ফেলে দিয়েছে সে (বুমরাহ)। সেই ইনিংসে হাফ সেঞ্চুরি করেছিল রুট, তবে শেষ পর্যন্ত তাকে স্বাচ্ছন্দে খেলতে দেয়নি বুমরাহ। দলের অন্যান্য পেসার শামি, সিরাজরাও অসাধারণ। আমি ভারতের এমন পেস বোলিং লাইনআপ কখনও দেখিনি।’

ইনজামামে মতে, এর আগেও দুর্দান্ত কিছু পেসার তৈরি করেছিল ভারত। তবে বর্তমানে বুমরাহদের মতো আগের কারো মধ্যে এতটা একাগ্রতা দেখেননি তিনি। তাই বুমরাহদের মতো উদ্যমী বোলারদের দলে থাকাটা দলের জন্য বাড়তি প্রেরণা বলে মনে করেন তিনি।

তিনি বলেন, ‘আগে থেকেই কিছু বিশ্বমানের পেসার তৈরি করে আসছে ভারত। তবে দলটির বর্তমান বোলারদের একাগ্রতা থাকায় সত্যিকার অর্থে তারাই পরিপূর্ণ পেসার। যখন দলে এই ধাচের আক্রমণাত্বক পেসার থাকে, ভাল ফল ধরা দিতে বাধ্য হয়।’