বাংলাদেশ-অস্ট্রেলিয়া সিরিজ

বাংলাদেশে সিরিজ হার বিশ্বকাপে প্রভাব ফেলবে না, বিশ্বাস গিলক্রিস্টের

ক্রিকফ্রেঞ্জি ডেস্ক

ক্রিকফ্রেঞ্জি ডেস্ক
প্রকাশের তারিখ: 15:35 রবিবার, 08 আগস্ট, 2021

|| ডেস্ক রিপোর্ট ||

টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের তিন মাসেরও কম সময় বাকি রয়েছে। আগামী ১৭ অক্টোবর ওমান ও আরব আমিরাতে শুরু হচ্ছে এই বিশ্ব আসর। এই বিশ্বকাপের প্রস্তুতি হিসেবেই বাংলাদেশ সফরে রয়েছে অস্ট্রেলিয়া। 

এই সফরে এসে সময়টা ভালো যাচ্ছে না অজিদের। পাঁচ ম্যাচ সিরিজে ৩-১ ব্যবধানে পিছিয়ে রয়েছে অজিরা। যদিও টাইগারদের বিপক্ষে এই সিরিজ হার বিশ্বকাপে প্রভাব ফেলবে না বলেই মনে করেন দলটির সাবেক উইকেটরক্ষক ব্যাটসম্যান অ্যাডাম গিলক্রিস্ট।

তার বিশ্বাস বিশ্বকাপের কন্ডিশন ভিন্ন হবে। তাই এই সফরের পারফরম্যান্স নিয়ে চিন্তার কোনো কারণ দেখছেন না তিনি। বিশেষ করে বিশ্বকাপ দলে ফিরবেন স্টিভ স্মিথ-ডেভিড ওয়ার্নাররা। তারা ফিরলে ব্যাটিং অর্ডার আমুল পাল্টে যাবে বলে মনে করেন তিনি।

গিলক্রিস্ট বলেন, ‘আমি মনে করি না বাংলাদেশে অস্ট্রেলীয় দলের পারফরম্যান্স, সিরিজ হার—এসব নিয়ে চিন্তিত হওয়ার খুব একটা কারণ আছে। এ দলে অ্যারন ফিঞ্চ ফিরবে, ডেভিড ওয়ার্নার, স্টিভ স্মিথরাও ফিরবে। মার্নাস ল্যাবুশেন কিংবা মার্কাস স্টয়নিসদেরও যদি যোগ করা হয়, তাহলে ব্যাটিংয়ের চেহারাটা তো এমন থাকবে না। আমার মনে হয় না সাম্প্রতিক সময়ের পারফরম্যান্স খুব বেশি প্রভাব ফেলবে।'

ওয়েস্ট ইন্ডিজ সিরিজ থেকেই ব্যাট হাতে ধারাবাহিক পারফরম্যান্স করছেন মিচেল মার্শ। বাংলাদেশে এসেও তিন নম্বরে দারুণ পারফরম্যান্স করছেন তিনি। চার ম্যাচে তার ব্যাট থেকে এসেছে ১৫২ রান। এমন পারফরম্যান্সের পর মার্শকে নিয়ে উচ্ছ্বসিত গিলক্রিস্ট।

বাংলাদেশের বিপক্ষে একটি হাফ সেঞ্চুরিও তুলে নিয়েছেন মার্শ। স্মিথ ফিরলে তাকে আরও নিচে ব্যাটিংয়ের পরামর্শ দিয়েছেন গিলক্রিস্ট। তার বিশ্বাস এতে করে স্মিথ নিচে নেমে দলের হাল ধরতে পারবেন। গিলক্রিস্ট বলেন, ‘টি–টোয়েন্টি বিশ্বকাপের কন্ডিশন পুরোপুরি ভিন্ন হবে। সেখানে বল নিয়ে না ভেবে সবাই ব্যাটিংয়ে কীভাবে চার–ছয় মারবে, সেটি নিয়েই ভাববে।’

অস্ট্রেলিয়া উপমহাদেশে এসে বরাবরই স্পিন সামলাতে গিয়ে বিপাকে পড়ে। এর ফলে লুকোছাপার কিছু নেই বলেই মনে করেন গিলক্রিস্ট। তিনি বলেন, ‘এটা তো লুকোছাপার কোনো বিষয় নয়। অস্ট্রেলীয় দল স্পিনের বিপক্ষে কিংবা একটু ধীরগতির বোলিংয়ের বিপক্ষে সব সময়ই একটু বিপাকে পড়ে। উপমহাদেশে খেলতে গেলে এটাই অস্ট্রেলিয়ার জন্য সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ।’