ক্রিকেট দক্ষিণ আফ্রিকা

রাবাদাকে বাদ দেয়ার অভিযোগ উড়িয়ে দিলেন ডি ভিলিয়ার্স

ক্রিকফ্রেঞ্জি ডেস্ক

ক্রিকফ্রেঞ্জি ডেস্ক
প্রকাশের তারিখ: 13:52 শুক্রবার, 06 আগস্ট, 2021

|| ডেস্ক রিপোর্ট ||

লাইন, লেন্থের সঙ্গে গতি দিয়ে ক্রিকেটের বাইশ গজ মাতিয়ে বেড়াচ্ছেন কাগিসো রাবাদা। বর্তমান সময়ে দক্ষিণ আফ্রিকার পেস ইউনিটের ভরসার প্রতীক হয়ে আছেন ডানহাতি এই পেসার। এদিকে এক যুগের বেশি সময় ব্যাট হাতে বিশ্ব মাতিয়েছেন এবি ডি ভিলিয়ার্স।

কিন্তু সেই ডি ভিলিয়ার্সের নামেই ওঠেছে গুরুতর অভিযোগ। যে অভিযোগে বলা হয়েছে দক্ষিণ আফ্রিকা দলে তরুণ রাবাদাকে নাকি স্কোয়াডে চাননি মারকুটে এই ব্যাটসম্যান। যদিও এই অভিযোগ অস্বীকার করেছেন ৩৬০ ডিগ্রি খ্যাত ডি ভিলিয়ার্স।

২০১৫ সালে আন্তর্জাতিক টেস্ট ক্রিকেটে অভিষেক ঘটে রাবাদার। এরপর থেকে প্রোটিয়া দলের পেস আক্রমণের প্রধান হাতিয়ার হয়ে ওঠেন তিনি। তবে ক্যারিয়ারের শুরুতে তাকে নাকি টেস্ট দলে নিতেই চাননি তৎকালীন অধিনায়ক ডি ভিলিয়ার্স। যদিও প্রোটিয়া দলের সাবেক নির্বাচক হুসেইন ম্যানাকের সোশ্যাল জাস্টিস অ্যান্ড ন্যাশনাল-বিল্ডিং (এসজেএন) শুনানিতে সেটি অস্বীকার করেছেন ভিলিয়ার্স।

মূল ঘটনা ২০১৫-১৬ মৌসুমে প্রোটিয়াদের ইংল্যান্ডের বিপক্ষে সিরিজের তৃতীয় টেস্টে। ঘরের মাঠে ওই সিরিজে প্রোটিয়া দলে ছিলেন তিন পেসার কাইল অ্যাবট, হার্ডুস ভিলজোয়েন ও তরুণ রাবাদা। অভিজ্ঞতার বিচারে অ্যাবটের সঙ্গে দলের পছন্দ ছিল ভিলজোয়েনকে। বয়সের দিক দিয়ে রাবাদা অপরিপক্ক হওয়ায় সেবার তাকে বাদ দেওয়ার পরিকল্পনা করেছিল টিম ম্যানেজমেন্ট।

কিন্তু শেষমেষ মত পাল্টে অ্যাবটকে বাদ দিয়ে ভিলজোয়েন ও রাবাদাকে দলে রাখে টিম ম্যানেজমেন্ট। সুযোগ পেতেই বাজিমাত করেন রাবাদা। প্রথম ইনিংসে ৫ উইকেট তুলে নিয়ে সবাইকে চমকে দেন তিনি। যদিও ইংলিশদের বিপক্ষে সেই টেস্টটি প্রোটিয়াদের জেতা হয়নি। ওই টেস্টে নাকি রাবাদাকে বাদ দিতে টিম ম্যানেজমেন্টের সঙ্গে একমত ছিলেন ভিলিয়ার্স। অনুশীলনের দিনই নাকি নির্বাচক ম্যানাককে জানানো হয়েছিল, নিশ্চিতভাবে রাবাদাকে বসিয়ে দেওয়া হোক।

এসজেএন শুনানিতে সাক্ষ্য দেওয়ার সময় এ ব্যাপারে পুরো সময় ডি ভিলিয়ার্সকে দোষারোপ করেছেন ম্যানাক। তিনি বলেন, ‘আমি আগের দিন অনুশীলনে ছিলাম। অ্যাবট এবং ভিলজোয়েনের মধ্যে কে খেলবে সেটির সিদ্ধান্ত নিতে হয়েছিল। অনুশীলনে একটি আলোচনা হয়েছিল। টিম ম্যানেজমেন্ট আমাকে বলেছিল যে, আমাদের রাবাদাকে বাদ দিতে হবে।’

‘তখন আমি বলেছিলাম কিসের ভিত্তিতে তাকে বাদ দেওয়া হবে? সে সময় রাবাদার বয়স ২০ ছিল। যদিও সে তখন নিজেকে ভাল ক্রিকেটার হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করতে পারেনি। তবে আমি তাকে লায়ন্সে অনেকবার দেখেছিলাম, সেখানে তার যথেষ্ট সুনাম ছিল। তাতে সে সময় একটি ক্রিকেটীয় ব্যাখ্যা ছিল যে, হয়তো বলটি তার হাত থেকে ঠিক বের হচ্ছে না’ যোগ করেন ম্যানাক।

এদিকে ম্যানাকের এই অভিযোগ উড়িয়ে দিয়ে ডি ভিলিয়ার্স বলেন, ‘আমি কখনোই চাইনি যে রাবাদা দল থেকে বাদ পড়ুক। এই ধারণাটি একেবারেই হাস্যকর। সে বিশ্ব ক্রিকেটের অন্যতম সেরা বোলার।’

অভিষেকের ছয় বছর পর, তিনটি ফরম্যাটেই দক্ষিণ আফ্রিকার জন্য অন্যতম উইকেট শিকারি রাবাদা। ৪৭টি টেস্ট, ৭৯টি ওয়ানডে এবং ৩২টি টি-টোয়েন্টিতে যথাক্রমে ২১৩, ১২২ এবং ৯৬টি উইকেট নিয়েছেন তিনি। এছাড়া ব্যাট হাতে দক্ষিণ আফ্রিকার হয়ে এক হাজারেরও বেশি রান করেছেন রাবাদা।