|| ডেস্ক রিপোর্ট ||
জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে সিরিজের দ্বিতীয় টি-টোয়েন্টিতে ১৬৭ রানের লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে ১৪৩ রানে গুটিয়ে যায় বাংলাদেশ। দ্রুত গতিতে রান তুলতে গিয়ে নিয়মিত বিরতিতে উইকেট হারায় সফরকারীরা। তবে ব্যাটসম্যানদের এমন এপ্রোচে হতাশ নন মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ।
প্রথম ম্যাচে সৌম্য সরকার ও মোহাম্মদ নাইম মিলে ১০২ রানের উদ্বোধনী জুটি গড়লেও এদিন তাঁরা দুজনই ব্যর্থ হয়েছেন। তাঁদের দুজনের কেউই দুই অঙ্কের কোটা স্পর্শ করতে পারেননি।
চারে নেমে সাকিব আল হাসানও খানিকটা তাড়াহুড়ো করেন। তাতে মাত্র ১২ রান করেই সাজঘরে ফিরতে হয় তাঁকে। মাহমুদউল্লাহও এদিন ব্যর্থতার পরিচয় দিয়েছেন। শেখ মেহেদি হাসান থিতু হলেও ১৫ রানের বেশি করতে পারেননি।
ব্যর্থতার মিছিলে যোগ দেন নুরুল হাসান সোহানও। বেশিরভাগ ব্যাটসম্যানই দ্রুত রান তুলতে গিয়ে উইকেট দিয়ে এসেছেন। ১৬০ রান তাড়া করতে গিয়ে ঝুঁকি নেয়ার বিকল্প দেখছেন না মাহমুদউল্লাহ। একটি ৩০ রানের ও আরেকটি ৫০ রানের জুটি হলে জয়ের ভিত তৈরি হতো বলে মনে করেন বাংলাদেশের এই টি-টোয়েন্টি অধিনায়ক।
এ প্রসঙ্গে মাহমুদউল্লাহ বলেন, 'ব্যাটিং এপ্রোচ নিয়ে আমি হতাশ নই। ১৬০ রান তাড়া করতে গেলে ঝুঁকি নিতেই হবে। দ্রুত ২-৩ উইকেট হারিয়ে ফেলায় চাপে ছিলাম। এরপরও উইকেট হারাচ্ছিলাম। একটা ৩০ আর একটা ৫০ রানের জুটি হলে জয়ের ভিত তৈরি হয়ে যেত।'
সংক্ষিপ্ত ফরম্যাটে সাকিব নিয়মিত তিনে ব্যাট করলেও এদিন চারে খেলেছেন। যেখানে তাঁর জায়গায় অর্থাৎ তিনে খেলেছেন শেখ মেহেদি। কোচের ডানহাতি ও বাঁহাতি কম্বিনেশনের পরিকল্পনার কারণেই মেহেদিকে তিনে খেলানো হয়েছে বলে জানান মাহমুদউল্লাহ। সেই সঙ্গে ব্যাটিং ইউনিট জ্বলে উঠতে পারেনি বলে অকপটে স্বীকার করে নিয়েছেন তিনি।
মাহমুদউল্লাহ বলেন, 'কোচ বলেছিলেন ডানহাতি বাঁহাতি কম্বিনেশন থাকলে ভালো হবে। আজকের ম্যাচেও দলের পরিকল্পনা ওরকমই ছিল। মেহেদী ঘরোয়া ক্রিকেটে টপ অর্ডারে ব্যাটিং করে, তাই তাকে ওয়ান ডাউনে সুযোগ দেওয়া হয়েছে। ব্যাটিং ইউনিট হিসেবে আজ আমরা ক্লিক করতে পারিনি। কোনো বড় জুটি করতে পারিনি। ১৬০ রানেরও বেশি তাড়া করতে গেলে ভালো শুরু গুরুত্বপূর্ণ। তা করতে পারিনি বলেই ফলাফল পক্ষে আসেনি।'