|| ডেস্ক রিপোর্ট ||
জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে টেস্ট, ওয়ানডে এবং টি-টোয়েন্টি সিরিজ খেলতে বর্তমানে আফ্রিকা মহাদেশের দেশটিতে অবস্থান করছে বাংলাদেশ দল। এর মধ্যেই গত ২১ জুলাই অনুষ্ঠিত হয় 'ইদ উল আযহা'। ক্রিকেটাররা এবার পরিবারের সঙ্গে কিংবা দেশে থেকে ইদ উদযাপন করতে না পারলেও জিম্বাবুয়েতে একসঙ্গে ইদ উদযাপন করেছেন। টিম হোটেলে সকলে সমবেত হয়ে ইদের নামাজও একসঙ্গে আদায় করেন।
যে নামাজে ইমামের ভূমিকা পালন করেছেন মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ। তিনিই খুতবা পাঠ করে জিম্বাবুয়ে সফরে থাকা ক্রিকেটারদের নামাজ আদায় করান। এরপর নিজেদের মধ্যে ক্রিকেটাররা ইদের শুভেচ্ছা বিনিময় করেন। এর আগে ২০১৯ সালে বিশ্বকাপ চলাকালীন ইংল্যান্ডে ইদ উদযাপন করেছিলেন ক্রিকেটাররা। যদিও এর আগে বিভিন্ন দেশে সফরের সময় ক্রিকেটাররা একসঙ্গে ইদ উদযাপন করলেও মেহেদী হাসান মিরাজের কাছে এটা ভিন্ন অভিজ্ঞতা।
দেশে ফেরার পর বিমানবন্দরে দাড়িয়ে তিনি বলেন, 'দেখেন যে আমরা ক্রিকেট খেলোয়াড় অবশ্যই আমাদের এটা পেশা এবং আমরা কিন্তু ক্রিকেট খেলি এবং দেশের জন্য ক্রিকেট খেলি। আর আমরা ক্রিকেট খেলোয়াড় যারা আছি সবাই কিন্তু আমরা একটা পরিবার। এমন না যে আমরা একটা ইদই করেছি এর আগেও কিন্তু দেখেন যে ২০১৯ সালের ওয়ার্ল্ড কাপে কিন্তু আমরা একসাথে ইদ করেছিলাম ইংল্যান্ডে। কিন্তু পরিবার থাকলে তো অবশ্যই ভালো লাগে পরিবারের সাথে সবসময় ইদ করেই থাকি। আর এটা একটা আলাদা এক্সপিরিয়েন্স যে প্লেয়ারদের সাথে একসাথে ঈদ করা।'
তিনি আরো বলেন, 'যেমন গত কালকে (২১ জুলাই) আমরা একসাথে নামাজ পড়েছি খুব ভালো লেগেছে। আমাদের ইমামতি করেছন রিয়াদ ভাই,খুতবা পড়েছে এবং নামাজ পড়িয়েছে। মানে আসলে ওই মোমেন্টামটা আমাদের জন্য অনেকটা এক্সসাইটেড মোমেন্টাম ছিল। দেশে থাকলে হুজুর নামাজ পড়াত বা মসজিদে যেতাম। প্লেয়ারদের ভিতরে রিয়াদ ভাই যেরকম সুন্দর এবং সবাইকে নিয়ে যেভাবে নামাজ পড়েছে এটা আসলে নতুন অভিজ্ঞতা ছিল আমার জন্য এবং আমাদের টিমের ভিতরে। আপনারা জানেন হয়তো আমরা খুব আনন্দ করেছি এখানে সবাই সবাইকে শুভেচ্ছা দিয়েছে। সবাই সবাইকে এপ্রিসিয়েট করেছে এবং খুব ভালো লেগেছে।'
জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে একমাত্র টেস্টে বেশ বড় ব্যবধানে জয় পেয়েছে বাংলাদেশ। এরপর ওয়ানডে সিরিজেও ৩-০ ব্যবধানে জিতেছে টাইগাররা। আর টি-টোয়েন্টি সিরিজও জয় দিয়ে শুরু করেছে তারা। এই ধরণের মানসিকতা বজায় রাখতে পারলে বিশ্বকাপ কিংবা সামনের টেস্ট ম্যাচগুলোতো ভালো কিছু করতে পারবে বাংলাদেশ। এমনটাই বিশ্বাস করছেন মিরাজ।
তিনি বলেন, 'একটা জিনিস দেখেন আমরা কিন্তু লাস্ট ৪/৫ টা টেস্ট কিন্তু অনেক ভালো ক্রিকেট খেলেছি বাট কিন্তু আমরা জিততে পারি নাই। আমরা খুব কাছে গিয়ে কিন্তু ম্যাচগুলো হেরে গিয়েছি। এই জিনিসটা কিন্তু শেষ টেস্ট ম্যাচ যেটা খেলেছি আমাদের কিন্তু আত্মবিশ্বাস যুগিয়েছে। আমরা যে বিগত ভুলগুলো করেছিলাম ওই গুলো হয়তো কমিয়ে আনতে পেরেছে বলে আমরা টেস্ট ম্যাচটা জিতেছি।'
তিনি আরো যোগ করে বলেন, 'আত্মবিশ্বাস অবশ্যই থাকবে আর ওয়ানডে ম্যাচ যেটা আমি বলতে চাই যে আমাদের প্রত্যেকটা ম্যাচই অনেক গুরুত্বপূর্ণ বিশ্বকাপের আগে। আমরা যেভাবে পরিকল্পনা করছি এক্সিকিউট করছি এবং আমাদের দলে যেটা পরিকল্পনা আছে এবং সবাই পদ্ধতি অনুযায়ী আগাচ্ছে। আশাকরি পদ্ধতিটা যদি সবাই ধরে রাখতে পারে এবং যেভাবে আগাচ্ছি মানসিকভাবে। অবশ্যই আমরা ভালো কিছু করতে পারবো।'