|| ডেস্ক রিপোর্ট ||
করোনাকালীন ওয়ানডে ক্রিকেটে ব্যাট হাতে সময়টা ভালো যাচ্ছিলো না লিটন দাসের। ৮ ইনিংস পর আবারও ব্যাট হাতে জ্বলে উঠলেন এই উইকেটরক্ষক ব্যাটসম্যান। জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে সিরিজের প্রথম ওয়ানডেতে ১১৪ বলে ১০২ রানের ইনিংস খেলেন লিটন। দিন শেষে ব্যাট হাতে সাফল্যের কথা বলতে গিয়ে লিটন জানিয়েছেন, অন্তত ৩০ ওভার ব্যাটিং করার পরিকল্পনা ছিল তাঁরা।
যদিও বড় সংগ্রহ পেতে টিম মিটিংয়ে টপ অর্ডারের পাঁচজনের যেকোন একজনকে ৪০ ওভার পর্যন্ত খেলার পরামর্শ দেয়া হয়েছিল। সেই পরামর্শ মেনে প্রায় ৪২ ওভার পর্যন্ত ব্যাটিং করেছেন লিটন। তাতে ৫০ ওভারে ২৭৬ রানের লড়াকু সংগ্রহ পায় সফরকারীরা।
ইনজুরির কারণে ঘরের মাঠে শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে তৃতীয় ওয়ানডেতে খেলা হয়নি লিটনের। এরপর বঙ্গবন্ধু ঢাকা প্রিমিয়ার লিগের (ডিপিএল) প্রথম ১১ ম্যাচেও খেলা হয়নি তাঁর। শেষ দিকে পাঁচ ম্যাচ খেলে ছন্দে ফেরার চেষ্টা করেছিলেন লিটন। যেখানে একটি হাফ সেঞ্চুরিও পেয়েছিলেন।
জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে একমাত্র টেস্টে অবশ্য দারুণ ব্যাটিং করেছেন লিটন। প্রথম ইনিংসে ব্যাট করার সুযোগ পাওয়া এই উইকেটরক্ষক ব্যাটসম্যান খেলেছিলেন ৯৫ রানের ইনিংস। যে কারণে লিটনের মনে বিশ্বাস ছিল যে, উইকেটে দাঁড়িয়ে থাকতে পারলে বড় স্কোর করতে পারবেন।
ম্যাচ শেষে এক ভিডিও বার্তায় লিটন বলেন, ‘শেষ ওয়ানডেতে ইনজুরির কারণে খেলতে পারিনি, ডিপিএলে ১১ ম্যাচের মতো বাইরেই ছিলাম। পরের ৫ ম্যাচে খেলে চেষ্টা করছিলাম ইনজুরির পরের ছন্দ ফিরিয়ে আনার। এরপর এখানে তো টেস্ট ক্রিকেট খেললাম, পারফর্ম করেছি। মনে ছিল যে উইকেটে দাঁড়িয়ে যেতে পারলে বড় স্কোর করা যাবে। তাছাড়া দলের মিটিংয়ে বলা হচ্ছিলো শুরুর ৫ জনের কেউ ৪০ ওভার খেললে বড় স্কোর হবে। ওই জিনিসটাই মাথায় ছিল, যেন কমপক্ষে ৩০ ওভার পর্যন্ত খেলতে পারি।’
টসের সময় দুই দলের অধিনায়কই বলেছিলেন, দিনের প্রথম ঘণ্টায় উইকেট থেকে বাড়তি সুবিধা পাবেন বোলাররা। যে কারণে টসে জিতে ফিল্ডিং করার সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন ব্রেন্ডন টেলর। ৭৪ রানে ৪ উইকেট তুলে নিয়ে সেটির প্রমাণও দিয়েছিল জিম্বাবুয়ের বোলাররা।
একপ্রান্তে উইকেট পড়তে থাকলেও দলের হাল ধরেন লিটন। তাঁর সঙ্গে যোগ দেন মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ। তাঁদের জুটিতে ৯৩ রান যোগ করে বাংলাদেশ। মাহমুদউল্লাহ উইকেটে আসার পর খেলা বদলে যায় বলে জানিয়েছেন লিটন। সেই সঙ্গে বেশ কিছুদিন ধরে বড় রান করতে না পারায় ম্যাচের আগে বাড়তি চাপে ছিলেন বলে জানান ডানহাতি এই ব্যাটসম্যান।
লিটন বলেন, ‘আজকে কন্ডিশন ব্যাটিং সহায়ক ছিল না। প্রথম ২০ ওভার। আবহাওয়া ও ওদের বোলারদের বোলিং মিলিয়ে কঠিন কন্ডিশন ছিল। আমি এমনিতেও ম্যাচের আগে একটু চাপে ছিলাম যে অনেকদিন ধরে বড় রান করতে পারছি না, পাশাপাশি উইকেটের অপরপ্রান্ত থেকে যখন দেখছিলাম উইকেট পড়ছে, দল চাপে, দলকে একটা ভাল অবস্থানে নেয়ার দায়িত্ব আমার ছিল।’
তিনি আরও বলেন, ‘সবমিলিয়ে আমি ওখানে কিছু কাজ করেছি যে উইকেটে থাকতে হবে। চেষ্টা করেছি ২০-২৫ ওভার পর্যন্ত টেস্ট ব্যাটিং করে যাওয়ার। চিন্তা করেছি যে কন্ডিশন এখন আমার অনুকূলে না, এখান থেকে রিকভার করতে হলে উইকেটে থাকতে হবে তখন আমি পরের ধাপে যেতে পারবো। রিয়াদ ভাই আসার পর খেলাটা বদলে যায়, ওরা যখন স্পিন আনে তখন পিচে ব্যাটিং করাও সহজ হয়।’