বিগ ব্যাশে কোহলিদের পেতে ব্যক্তিগত মালিকানার পক্ষে লি

|| ডেস্ক রিপোর্ট ||

ইন্ডিয়ান প্রিমিয়ার লিগের (আইপিএল) মতো আকাশচুম্বি জনপ্রিয়তা অর্জন করতে পারেনি অস্ট্রেলিয়ার ঘরোয়া টি-টোয়েন্টি লিগ বিগ ব্যাশ। আইপিএলে মূলত কাড়ি কাড়ি অর্থ খরচ করে সেরা খেলোয়াড়দের নিয়ে দল সাজায় ফ্র্যাঞ্চাইজিগুলো। এরপর শুরু হয় তারকায় ঠাসা স্কোয়াড নিয়ে নিজেদের মধ্যে হাড্ডাহাড্ডি লড়াই। 

আইপিএলে ফ্র্যাঞ্চাইজির মালিকানা ব্যক্তিগত হওয়ায় দলগুলোকে ঢেলে সাজানো যায়। কিন্তু আইপিএলের মতো বিগব্যাশে অর্থের ঝনঝনানি তেমন একটা দেখা যায়না। কেননা এই লিগের দলগুলোর মালিকানাস্বত্ব পুরোটাই ক্রিকেট অস্ট্রেলিয়ার অধীনে (সিএ)।

তাই অস্ট্রেলিয়ার কিংবদন্তী পেসার ব্রেট লি মনে করেন, বিগব্যশের ফ্র্যাঞ্চাইগুলোর মালিকানা স্বত্বের কিছু অংশ ব্যক্তিবিশেষদের দেওয়া উচিত। তাহলেই আইপিএলের মতো বিগব্যাশেও বিপুল পরিমাণ অর্থ বিনিয়োগ সম্ভব। তাতে করে বিপুল চাহিদাসম্পন্ন বিরাট কোহলিদের মতো তারকাদের উড়িয়ে আনা যাবে।

এতেই করে বিগব্যাশের মান আড়ও বাড়ানো সম্ভব হবে। অস্ট্রেলিয়ার একটি গণমাধ্যমকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে তিনি বলেন, 'ফ্র্যাঞ্চাইগুলোতে সহ-মালিকানা থাকতে পারে, সেক্ষেত্রে ক্রিকেট বোর্ড মালিকানা সত্ত্বের ৫১ শতাংশ নিজেদের দখলে রেখে এখনও সবকিছু নিয়ন্ত্রণ করতে পারে।'

'অতিরিক্ত বাজেটের মাধ্যেমে আপনি কিছু উচ্চ মানের বিদেশি ক্রিকেটারকে এখানে নিয়ে আসতে পারবেন। ধরুন আমি বিরাট কোহলির কথাই বলি, সে যদি সিডনি সিক্সার্সে খেলে তাহলে আরও বেশি দর্শক সমর্থন পাবেন। আমি সত্যিই বিগ ব্যাশ দ্বারা মুগ্ধ। তারা দুর্দান্ত কাজ করেছে। কিন্তু পরবর্তী ধাপে উন্নীত হতে আপনাকে এগুলো করতে হবে’ আরও যোগ করেন সিডনি সিক্সার্সের সাবেক এই ক্রিকেটার।

এ বছরের শেষে অর্থাৎ ডিসেম্বর প্রথম সপ্তাহে শুরু হতে যাচ্ছে বিগব্যাশের ২০২১-২২ মৌসুমের আসর। আন্তর্জাতিক সূচিতে ব্যস্ততা থাকায় নির্ধারিত সময়ের আগেই এবার আয়োজিত হতে যাচ্ছে আসরটি। সিএ ইতোমধ্যে প্লেয়ার ড্রাফটের প্রস্তুতির জন্য আলোচনা শুরু করে দিয়েছে।

যদিও বিশ্বব্যাপি মহামারী চলছে, তবুও ব্রেট লির বিশ্বাস এই যে- প্লেয়ার ড্রাফই ইতিবাচকই হবে। এছাড়াও বিগ ব্যাশ কর্তৃপক্ষ সেরা ক্রিকেটাদেরই উড়িয়ে আনতে পারবে। ব্রেটলি বলেন, ‘ড্রাফট একটি ভালো ধারনা, বিশ্বসেরা ক্রিকেটারদের অস্ট্রেলিয়ায় আসতে দেখতেই আমি বেশি পছন্দ করবো। আমাদের সেই অধিকার রয়েছে।'

'আপনার সেই সমস্ত বড় ক্রিকেটারদেরই প্রয়োজন। মাত্র ৪ জন বিদেশি ক্রিকেটার নিয়ে আইপিএলের দলগুলো বেশ ভালো করছে, তাই আপনাকে সেরাদের সেরা তরুণ ক্রিকেটারদের ওপরই চোখ রাখতে হবে। আমি বিশ্বাস করি এতেই সেরা বিদেশি ক্রিকেটারদের সঙ্গে মিশতে সহায়তা করবে’ আরও যোগ করেন তিনি। 

মোট ৬১টি ম্যাচের বিগব্যাশের সূচি এখনো চূড়ান্ত করেনি বিগব্যাশ কর্তৃপক্ষ। তবে আসরটি আগামী বছরের ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত মাঠে গড়াক, সেটি চাইছে না কর্তৃপক্ষ। কেননা ৩০ জানুয়ারি থেকে শুরু নিউজিল্যান্ড ও অস্ট্রেলিয়ার মধ্যকার ওয়ানডে সিরিজ।

ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত বিগব্যাশ মাঠে গড়ালে গ্লেন ম্যাক্সওয়েল, অ্যারন ফিঞ্চ, মার্কাস স্টয়িনিসদের মতো টি-টোয়েন্টি স্পেশালিস্টদের পুরো মৌসুমে পাওয়া যাবে না। এছাড়া এর আগে ২৭ নভেম্বর থেকে ১৮ জানুয়ারি পর্যন্ত আফগানিস্তান ও অ্যাশেজ সিরিজ মিলিয়ে ৬টি টেস্ট খেলবে অজিরা। তাই প্যাট কামিন্স, স্টিভ স্মিথ, ডেভিড ওয়ার্নার, মিচেল স্টার্কদের ছাড়াই মাঠে গড়াবে বিগব্যাশের পুরো মৌসুম।