ভারতীয় ক্রিকেট

৪ ওভার বল করেই নুয়ে পড়া বোলারদের দেখে কষ্ট পান কপিল

ক্রিকফ্রেঞ্জি ডেস্ক

ক্রিকফ্রেঞ্জি ডেস্ক
প্রকাশের তারিখ: 15:14 বৃহস্পতিবার, 01 জুলাই, 2021

|| ডেস্ক রিপোর্ট ||

একটা সময় ছিল বোলাররা ঘণ্টার পর ঘণ্টা নেটে ক্লান্তিহীনভাবে বোলিং করতো। যেখানে বর্তমান সময়ে দেখা যায় একেবারে উল্টো চিত্র। এখনকার পেসাররা নেটে বোলিং করলেও সেটি পরিমিত। টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটের যুগে মাত্র ৪ ওভার বোলিং করেই হাঁপিয়ে যাওয়ার বোলারদের দেখে কষ্ট পান কপিল দেব।

গেল প্রায় দুবছর ধরেই ইনজুরির কারণে নিয়মিত পুরোনো ছন্দে বল করতে পারছেন না হার্দিক পান্ডিয়া। ঘরের মাঠে গেল ইংল্যান্ড সিরিজে বোলিং করলেও ইন্ডিয়ান প্রিমিয়ার লিগে (আইপিএল) বল করতে দেখা যায়নি তাঁকে। হার্দিকের অনুপস্থিতি বেশ ভালোভাবেই ভোগাচ্ছে ভারতকে। সদ্য সমাপ্ত টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপে একজন পেস বোলিং অলরাউন্ডারের অভাব হাড়ে হাড়ে টের পেয়েছে বিরাট কোহলিরর দল।

বছরের বেশিরভাগ সময় ক্রিকেট খেলায় ব্যস্ত থাকায় পেসাররা প্রতিনিয়তই চোটে পড়ছে। যার ফলে ক্যারিয়ার সুদীর্ঘ করতে পারছেন পেস বোলাররা। তবে টি-টোয়েন্টির ‍যুগে এসেও বোলাররা যখন চার ওভার বল করেই হাঁপিয়ে যান তখন নিজের খারাপ লাগে বলে জানিয়েছেন ১৩১ টেস্ট খেলা ভারতের অলরাউন্ডার কপিল।

‘ইন্ডিয়া টুডে’-এর সঙ্গে আলাপকালে কপিল বলেন, ‘আমার যেটা মনে হয়, আপনি যখন বছরে ১০ মাস এমন ক্রিকেট খেললে চোটের প্রবণতা বাড়ে। তবে ক্রিকেট এখন অনেক বেশি মৌলিক হয়ে গেছে, ব্যাটসম্যানরা শুধু ব্যাট করে আর বোলাররা বোলিং করে। আমাদের সময়ে আমাদেরকে সবই করতে হতো।’

সর্বকালের সেরা পেস বোলিং অলরাউন্ডারদের তালিকায় থাকা কপিল আরও বলেন, ‘ যে কারণে ক্রিকেট বদলে গেছে। ক্রিকেটার হিসেবে কখনও কখনও আমি দুঃখ পাই যে, তারা চার ওভার বোলিং করেই ক্লান্ত হয়ে ওঠে। এটাও শুনেছি যে, তাদেরকে (নেটে) তিন-চার ওভারের বেশি বোলিং করতে দেওয়া হয় না।’

আলোচনার শেষ দিকে কপিলদের সময়ের কথাও তুলে ধরেন তিনি। ৫ হাজার রান করা ও ৪০০ উইকেট নেয়া এই অলরাউন্ডার জানিয়েছেন, তাঁদের সময়টায় নেটে কোন ব্যাটসম্যান আসলে তাঁকে অন্তত ১০ ওভার বোলিং করতেন তাঁরা। বোলারদের এমন মানসিকতার প্রয়োজন বলে মনে করেন তিনি। যদিও কপিল জানিয়েছেন, এটা এখনকার প্রজন্মের কাছে এটা অদ্ভুত লাগবে।

কপিল বলেন, ‘আমাদের সময়ের কথা মনে পড়ে... আমি বলব না এটা ভুল বা ঠিক… যখন শেষ ব্যাটসম্যান ব্যাটিংয়ে আসত (নেটে), তখনও তাদেরকে আমরা অন্তত ১০ ওভার বোলিং করতাম। এই ধরনের মানসিকতাই থাকা উচিত এবং এভাবেই বোলারদের পেশি গড়ে ওঠে। আজকের দিনে হয়তো ওই চার ওভারই যথেষ্ট। আমাদের প্রজন্মের কাছে এসব অদ্ভুত লাগে।’