ডিপিএল

হাসানুজ্জামানের সেঞ্চুরির পরও হারলো পারটেক্স

ক্রিকফ্রেঞ্জি ডেস্ক

ক্রিকফ্রেঞ্জি ডেস্ক
প্রকাশের তারিখ: 14:02 সোমবার, 21 জুন, 2021

|| ডেস্ক রিপোর্ট ||

বঙ্গবন্ধু ঢাকা প্রিমিয়ার লিগের (ডিপিএল) এবারের আসরে কোনভাবেই যেন ব্যাট হাসছিল না হাসানুজ্জামানের। গ্রুপ পর্বে সাত ম্যাচ খেলা হাসানুজ্জামানের সর্বোচ্চ ৪৪। তবে রেলিগেশন লিগে এসে ব্যাট হাতে আলো ছড়ালেন তিনি। ওল্ড ডিওএইচএস স্পোর্টস ক্লাবের বিপক্ষে ১১টি চার ও সাতটি ছক্কায় ৫২ বলে ১০৫ রানের দারুণ এক ইনিংস খেলেছেন ডানহাতি এই ব্যাটসম্যান।

যা কিনা তাঁর ক্যারিয়ারের প্রথম সেঞ্চুরি। এমন দুর্দান্ত ইনিংস খেলার দিনেও হার দেখতে হলো তাঁর দল পারটেক্স স্পোর্টিং ক্লাবকে। বাংলাদেশ ক্রীড়া শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের (বিকেএসপি) তিন নম্বর মাঠে ১৭৬ রানে ইনিংস থামলে ওল্ড ডিওএইচএসের কাছে ২৩ রানে নিয়ে মাঠ ছাড়তে হয় তাঁদের।

জয়ের জন্য ২০০ রানের বড় লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে ইনিংসের প্রথম ওভারেই দুই উইকেট হারায় পারটেক্সে। দলীয় শূন্য রানেই সাজঘরে ফেরেন সায়েম আলম ও জনি তালুকদার।  এরপর আব্বাস মুসা আলভিকে সঙ্গে নিয়ে ১০২ রানের বড় জুটি গড়েন হাসানুজ্জামান। 

পুরো আসরে আক্রমণাত্বক ব্যাটিং করলেও এদিন ছিলেন কিছুটা ধীরগতির। ফলে ২৯ বলে ৩১ রানের ইনিংস খেলে রাকিবুল হাসানের বলে বোল্ড হয়ে প্যাভিলিয়নের পথে হাঁটেন আলভি। তাতে ভাঙে তাঁদের দুজনের ১০২ রানের জুটি। 

এক প্রান্তে দাঁড়িয়ে থেকে হাসানুজ্জামান দ্রুতগতিতে রান করলেও অপর প্রান্তের ব্যাটসম্যানরা ছিলেন আসা যাওয়ার মিছিলে। ৪৮ বলে নিজের ক্যারিয়ারের প্রথম সেঞ্চুরির স্বাদ পান ডানহাতি এই ব্যাটসম্যান। যা কিনা চলমান বঙ্গবন্ধু ঢাকা প্রিমিয়ার লিগের (ডিপিএল) দ্বিতীয় সেঞ্চুরি।

এর আগের সেঞ্চুরিটি এসেছিল ব্রাদার্স ইউনিয়নের অধিনায়ক মিজানুর রহমানের ব্যাট থেকে। সেঞ্চুরির তুলে নেয়ার পরই অবশ্য সাজঘরে ফেরেন হাসানুজ্জামান। ৫২ বলে ১০৫ রান করে ৩০ বছর বয়সি এই ব্যাটসম্যান ফেরার পর আর কেউই সেভাবে নিজেকে মেলে ধরতে পারেননি। ফলে ২৩ রানের হার নিয়ে মাঠ ছাড়তে হয়ে তাঁদের।

এর আগে নির্ধারিত ২০ ওভারে মাত্র ২ উইকেট হারিয়ে ১৯৯ রান সংগ্রহ করে ওল্ড ডিওএইচএস। দলটির হয়ে রাকিন আহমেদ অপরাজিত ৯২, অধিনায়ক মুহামিনুল খান অপরাজিত ৫০ ও আনিসুল হক ইমন করেছেন ৩৪ রান। 

সংক্ষিপ্ত স্কোর:

ওল্ড ডিওএইচএস স্পোর্টস ক্লাব: ১৯৯/২ (ওভার ২০) (রাকিন ৯২, মুহাইমিনুল ৫০*, আনিসুল ৩৪, লিখন ১/৩২)

পারটেক্স স্পোর্টিং ক্লাব: ১৭৬/৮ (ওভার ২০) (হাসানুজ্জামান ১০৫, আলভি ৩১, জয়রাজ ১৬, রশিদ ৩/৩৪, আসাদুজ্জামান ২/২৪)