ঢাকা প্রিমিয়ার লিগ (ডিপিএল)

ভবিষ্যতে এনসিএল-বিসিএলের ম্যাচও দেখা যাবে টিভিতে

ক্রিকফ্রেঞ্জি ডেস্ক

ক্রিকফ্রেঞ্জি ডেস্ক
প্রকাশের তারিখ: 20:53 রবিবার, 20 জুন, 2021

|| ডেস্ক রিপোর্ট ||

বাংলাদেশের ঘরোয়া ক্রিকেট টিভিতে দেখানোর দাবি অনেক দিনের। দর্শক, সমর্থকদের সেই প্রত্যাশা পূরণ হয়েছে ঢাকা প্রিমিয়ার লিগের (ডিপিএল) এবারের আসরে। ডিপিএলের সুপার লিগ পর্বের সবগুলো ম্যাচ দেখানো হচ্ছে দুটো টিভি চ্যানেলে। 

দেশীয় প্রোডাকশনের সম্প্রচারে সন্তুষ্টি প্রকাশ করেছেন ক্রিকেট কমিটি অব ঢাকা মেট্রোপলিসের চেয়ারম্যান কাজী এনাম আহমেদ। তিনি জানিয়েছেন, শুধু ডিপিএল নয় ভবিষ্যতে তারা বাংলাদেশ ক্রিকেট লিগ (বিসিএল) ও জাতীয় ক্রিকেট লিগের (এনসিএল) গুরুত্বপূর্ণ ম্যাচগুলো টিভিতে দেখানোর চেষ্টা করবেন।

তিনি বলেছেন, 'আমার কাছে প্রডাকশন কোয়ালিটি খুবই ভালো মনে হচ্ছে। এই কোয়ালিটি যদি বাংলাদেশে আমাদের স্থানীয় প্রডাকশন হয় তাহলে আমরা আশা করব সামনে প্রতিবছরই ঢাকা প্রিমিয়ার লিগ তো প্রতিনিয়ত এবং এনসিএল , বিসিএল এগুলোর গুরুত্বপূর্ণ ম্যাচ দেখানোর কথা চিন্তা করতে পারি।'

ডিপিএলের সুপার লিগ পর্বে প্রতিটি ম্যাচেই থাকছেন এলিট প্যানেলের আম্পায়ার। সেই সঙ্গে থাকছে টিভি রিপ্লে। যাতে করে ভুল সিদ্ধান্তে আউট হওয়ার পরিমাণও কমে এসেছে। সিসিডিএম এর পরিকল্পনা ছিল যেন দর্শকরা খেলাটি উপভোগ করেন। সেই পরিকল্পনা অনেকটাই সফল হয়েছে বলে মনে করেন কাজী এনাম।

তিনি বলেন, 'অবশ্যই, আপনি দেখুন অনেক সময় মানুষ যদি একটা খেলা না দেখে তাহলে কিন্তু অনেক প্রশ্ন আসে। এই কারণেই কিন্তু আমরা চেয়েছি খেলাগুলো মানুষ লাইভ দেখুক। আমাদের কিন্তু এখন অনেক ভালো আম্পায়াররা আছে , আইসিসির প্যানেলের যারা তারা আম্পায়ারিং করছে। আমরা যেটা চেয়েছি যে সবাই খেলাটা দেখুক, উপভোগ করুক।'

ডিপিএলের সুপার লিগ এবার ১৬টি ক্যামেরা দিয়ে সম্প্রচার করা হচ্ছে। এই সম্প্রচারের ফলে তৃতীয় আম্পায়ার রান আউট, স্টাম্পিং ও ক্যাচ বাউন্ডারি নিয়ে গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত নিতে পারছেন। এটাও সফলতার অংশ মনে করেন সিসিডিএম চেয়ারম্যান।

তার ভাষ্য, 'আমাদের সবগুলো ম্যাচ পিচ ভিশনে দুটি ক্যামেরা থাকে সেটার মাধ্যমে আমরা ইউটিউবে খেলাগুলো দেখাচ্ছিলাম। মিরপুরের খেলাগুলো কিন্তু আমরা কয়েকটা ক্যামেরা দিয়ে দেখাচ্ছিলাম। গাজী ও টি-স্পোর্টস যে প্রডাকশনটা করছে বিদেশি প্রডাকশন ছাড়া তাতে আমি কিন্তু সত্যই অবাক। স্থানীয় ১৬টি ক্যামেরা দিয়ে সম্প্রচার হচ্ছে। এমনকি তৃতীয় আম্পায়ারের রান আউট, স্টাম্পিং এবং ক্যাচ, বাউন্ডারি চেক করা হচ্ছে।'