টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপ ফাইনাল শ্রেষ্ঠত্বের লড়াই নয়: কোহলি

|| ডেস্ক রিপোর্ট ||

বর্তমানে টেস্ট ক্রিকেটে বিশ্বের সেরা দুই দল ভারত আর নিউজিল্যান্ড। এই দুই দলই ১৮ জুন টেস্ট ক্রিকেটে শ্রেষ্ঠত্বের লড়াইয়ে একে অপরের মুখোমুখি হতে যাচ্ছে। দুই দলের লড়াই মানেই বাড়তি উন্মাদনা। কিন্তু টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপ ফাইনাল মাত্রই এক ম্যাচ। পাঁচ দিনের ফলাফল দিয়ে তাই শ্রেষ্ঠত্ব নির্ধারণ করার সঙ্গে একমত নন ভারতের অধিনায়ক বিরাট কোহলি। 

তিনি মনে করছেন, শুধুমাত্র এক ম্যাচ দিয়েই সবকিছু নির্ধারণ হয়ে যাবে না। এই ফাইনালকে চূড়ান্ত কিছু না বলে, বরং শ্রেষ্ঠত্বের খোঁজের লড়াই হিসেবে দেখতে চাইছেন তিনি। এই ম্যাচের ফলাফল আর যাই হোক, ক্রিকেট আগের মতোই থাকবে বলেও মত দিয়েছেন কোহলি।

ম্যাচ পূর্ববর্তী সংবাদ সম্মেলনে তিনি বলেন, ‘আপনি যদি টেস্ট ক্রিকেটের কথা বলেন এবং পাঁচদিনের একটি ম্যাচ দিয়েই বিশ্বের সেরা দল ঠিক করার কথা ভাবেন, তাহলে আপনি পুরো সত্যটা ধরতে পারবেন না। যারা খেলাটা বোঝে, গত ৪-৫ বছর ধরে খোঁজখবর রেখেছে, তাদের কাছে এটি কোনো বার্তাই দেবে না।’

কোহলি আরও বলেন, ‘আপনি চাইলে সহজেই অতীতের দিকে তাকাতে পারেন এবং বের করতে পারেন যে আগে কোথায় কোথায় ভুল করেছেন। দিন শেষে আপনাকে বুঝতে আপনি একটি খেলা খেলছেন এবং এখানে পরাজয় আসতেই পারে। নির্দিষ্ট দিনে আপনিও জয় পাবেন।’

আইসিসি আয়োজিত কোনো টুর্নামেন্টে ভারত সর্বশেষ শিরোপা জিতেছে ২০১৩ সালে । সেবার ইংল্যান্ডের মাটিতে হওয়া চ্যাম্পিয়নস ট্রফিতে চ্যাম্পিয়ন হয়েছিল তারা। এরপর ২০১৫ সালের ওয়ানডে বিশ্বকাপ, ২০১৬ সালের টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ ও ২০১৯ সালের ওয়ানডে বিশ্বকাপে সেমিফাইনাল থেকে বাদ পড়তে হয়।

এ ছাড়া ২০১৭ সালে হেরে যায় ফাইনাল ম্যাচ। অবশেষে ভারতের সামনে আবার সুযোগ এসেছে আইসিসি আয়োজিত টুর্নামেন্টের শিরোপা জেতার। কিন্তু বিষয়টিকে এমনভাবে দেখতে রাজি নন কোহলি। তার মতে, এই ম্যাচে হার বা জয়ের কারণে ভারতের ক্রিকেট থেমে যাবে না। বরং আগের মতো করেই চলবে।

তিনি বলেছেন, ‘ম্যাচটা যদি জিতে যাই, আমাদের জন্য ক্রিকেট থেমে যাবে না। ম্যাচটা যদি হেরে যাই, তবু আমাদের জন্য ক্রিকেট থেমে যাবে না। আমাদের প্রক্রিয়া, আমাদের মাইন্ডসেট সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ। আমরা প্রতিদিন ক্রমাগত উন্নতির পথে হাঁটছি। প্রতিটি টেস্ট ম্যাচে আমরা জয়ের জন্যই নামি। আমাদের সকল খেলোয়াড়কেই এটা জিজ্ঞেস করতে পারেন।’

তিনি আরো যোগ করে বলেন, ‘আমরা এখানে শুধু একটি টেস্ট খেলতে আসিনি। ইংলিশ গ্রীষ্ম মৌসুমের ছয়টি টেস্ট খেলব আমরা। আমাদের খেলোয়াড়রা তাদের শক্তিমত্তা ভালোভাবে জানে এবং সেটা কীভাবে মাঠে কাজে লাগাতে হবে সেটিও তাদের ভালোভাবেই জানা। আগামী ছয় টেস্টে তারা সে কাজই করবে।’