|| ডেস্ক রিপোর্ট ||
নিউজিল্যান্ডের পেস আক্রমণের অন্যতম ভরসার নাম টিম সাউদি। আউট সুইংয়ে বরাবই দুর্দান্ত তিনি। যা স্ট্যাম্পে বা স্ট্যাম্পের বাইরে থেকে অফস্ট্যাম্পের সামনে দিয়ে বেরিয়ে যায়। বিশেষ করে ডানহাতি ব্যাটসম্যানদের কঠিন পরীক্ষা দিতে হয় এই কিউই পেসারের সামনে।
নিজের সামর্থ্যের ব্যাপারে সবসময়ই মনযোগী সাউদি। তাই সম্প্রতি আউট সুইংয়ের পাশাপাশি বল ভিতরের ঢোকানোর কৌশলও রপ্ত করেছেন এই ডানহাতি পেসার। যে কোন উইকেটেই বলকে আউট সুইং করাতে পারেন সাউদি। বিশেষ করে সাদা পোশাকের ক্রিকেটে তিনি একটানা এই কাজ করেন।
২০০৮ সালে ইংল্যান্ডের বিপক্ষ সাদা পোশকের ক্রিকেটে অভিষেক হয় তার। ক্রিকেটের এই অভিজাত সংস্করণে ৭৮ ম্যাচ খেলে ৩০৯ উইকেট শিকার করেছেন তিনি। যা কিউইদের হয়ে সর্বোচ্চ উইকেট শিকারীর তালিকায় তৃতীয়। নয় বছর পূর্বে আইসিসির ইউটিউব চ্যানেলেকে দেয়া এক সাক্ষাৎকারে তিনি নিজের বোলিং নিয়ে খোলামেলা আলোচনা করেছেন।
সাউদি বলেছেন, ‘আমি দীর্ঘ সময় ধরে চেষ্টা করছি ইনসুইং করানোর জন্য কিন্তু পারিনি। জেমস অ্যান্ডারসনকে দুপাশেই সুইং করাতে দেখেছি। এটি শেখার এবং আমার বোলিংয়ে যোগ করার চেষ্টা করেছি। এটা এত বেশি করেছি যে, একসময় আমি আউট সুইং হারানোর শঙ্কায় ছিলাম।’
সময়ের সাথে সাথে ব্যাটসম্যানরা নতুন নতুন শট খেলছেন। স্পিনাররাও দুসরা, ক্যারম বল করে ভড়কে দিচ্ছেন। আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে বোলিংয়ে বৈচিত্র্য এনেছেন পেসাররাও। অনেকেই বল সুইং করাতে পারেন দুপাশেই। ঠিক যেমনটা করছেন সাউদি। বোলিং অ্যাকশনে কোন রকম পরিবর্তন না এনে, তিনি এখন দুপাশেই সুইং করাতে পারছেন।
বোলিংয়ে বৈচিত্র প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ‘আমি অনুশীলনে ও অনুশীলন ম্যাচে থ্রি-কোয়ার্টার সিম বল নিয়ে কাজ করেছি এবং অনেক ব্যর্থতা ও চেষ্টার পর বাঁহাতির বিপক্ষে বল বের করতে পারছি। আর ডানহাতির বিপক্ষে বল ভেতরে নিতে পারছি। এটা করতে আমি থ্রি-কোয়ার্টার সিম বল ব্যবহার করি।’
আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে ১৪৩ ওয়ানডে খেলে সাউদির শিকার ১৯০ উইকেট। যা কিউই বোলারদের মধ্যে পঞ্চম সর্বোচ্চ। ক্যারিয়ারে পাঁচ উইকেট নিয়েছেন তিন ম্যাচে। আর ক্রিকেটের সংক্ষিপ্ততম সংস্করণে ৮২ ম্যাচ খেলে শিকার করেছেন ৯৯ উইকেট।