ডিপিএল

শেষের ক্যামিওতে আবাহনীকে জেতালেন নাইম

ক্রিকফ্রেঞ্জি ডেস্ক

ক্রিকফ্রেঞ্জি ডেস্ক
প্রকাশের তারিখ: 17:49 বৃহস্পতিবার, 17 জুন, 2021

|| ডেস্ক রিপোর্ট ||

শেষ তিন ওভারে জয়ের জন্য আবাহনী লিমিটেডের প্রয়োজন ছিল ৩৮ রান। নাইম শেখের দুর্দান্ত ব্যাটিংয়ে ২ বল বাকি থাকতেই সেই লক্ষ্য উৎরে যায়  মুশফিকুর রহিমের দল। লিজেন্ডস অব রূপগঞ্জের বিপক্ষে ৫ উইকেটে জয় পাওয়ার দিনে শেষ দিকে মাত্র ১৯ বলে অপরাজিত ৩৯ রানের ক্যামিও ইনিংস খেলেছেন নাইম। ফলে ৮ জয়ে পয়েন্ট টেবিলের তিনে থেকে গ্রুপ পর্বের খেলা শেষ করলো আবাহনী।

এর আগে বৃষ্টির কারণে ম্যাচের দৈর্ঘ্য কমিয়ে আনা হয় ১৮ ওভারে। রূপগঞ্জ ১৮ ওভারে ১৬২ রান করলেও বৃষ্টি আইনে আবাহনীর লক্ষ্য দাঁড়ায় ১৬৪ রান।  ফলে জয়ের জন্য ১৬৪ রানের লক্ষ্যে খেলতে নেমে শুরুটা ভালো করেছিলেন আবাহনীর দুই ওপেনার মুনিম শাহরিয়ার ও নাজমুল হোসেন শান্ত। 

ডিপিএলের অষ্টম ও নবম রাউন্ডে টানা দুই হাফ সেঞ্চুরি তুলে নিলেও গেল ম্যাচের মতো এদিনও ইনিংস বড় করতে পারেননি মুনিম। তিন চারে ১৬ বলে ২২ রান করে সাজঘরে ফেরেন ডানহাতি এই ওপেনার। গেল ম্যাচে ব্যর্থ হলেও এদিন ভালো শুরু করেছিলেন শান্ত। 

যদিও শেষ পর্যন্ত ১৯ বলে ২৯ রান করে মোহাম্মদ শহীদের বলে তাঁরই ক্যাচ দিয়ে আউট হয়েছেন বাঁহাতি এই ব্যাটসম্যান। ইনিংসটি খেলতে একটি চার ও দুটি ছক্কা মেরেছেন শান্ত। এদিন আবাহনীর বেশিরভাগ ব্যাটসম্যানরা ২০ রানের কাছে এসেই খেই হারিয়ে ফেলেছেন। 

সেটা প্রযোজ্য হয়েছে মুশফিকুর রহিমের ক্ষেত্রেও। থিতু হলেও ১৮ বলে ২০ রানের বেশি করতে পারেননি তিনি। এই উইকেটরক্ষক ব্যাটসম্যানকে লেগ বিফোরের ফাঁদে ফেলে সাজঘরে ফিরিয়েছেন সানজামুল ইসলাম। আফিফ হোসেন ধ্রুবও হেঁটেছেন একই পথে। 

বাঁহাতি এই ব্যাটসম্যানও ফিরেছেন ১২ বলে ২১ রান করে। আর মোসাদ্দেক হোসেন সৈকত ১১ বলে ১৫ রান। শেষ দিকে নাইম অপরাজিত ৩৯ এবং মোহাম্মদ সাইফউদ্দিন ১১ বলে ১৪ রান করে আবাহনীর জয় নিশ্চিত করেন। রূপগঞ্জের হয়ে দুটি উইকেট নিয়েছেন শহীদ। 

এর আগে টসে জিতে ব্যাট করতে নেমে ১৮ ওভারে ৫ উইকেটে ১৬২ রান তোলে রূপগঞ্জ। দলটির হয়ে জাকের আলী ৫২, সাব্বির রহমান ৩৫ ও আল আমিন জুনিয়র করেছেন ২৬ রান। আবাহনীর হয়ে মেহেদি হাসান রানা তিনটি আর সাইফউদ্দিন নিয়েছেন দুটি। 

সংক্ষিপ্ত স্কোর:

লিজেন্ডস অব রূপগঞ্জ: ১৬২/৫ (ওভার ১৮) (জাকের ৫২, সাব্বির ৩৫, আল আমিন ২৬, রানা ৩/৩৭, সাইফউদ্দিন ২/৩৬)

আবাহনী লিমিটেড: ১৬৪/৫ (ওভার ১৭.৪) (নাইম ৩৯*, শান্ত ২৯, মুনিম ২২, শহীদ ২/৪০)