আইসিসি চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি

চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি আয়োজন করতে চায় বাংলাদেশ

ক্রিকফ্রেঞ্জি ডেস্ক

ক্রিকফ্রেঞ্জি ডেস্ক
প্রকাশের তারিখ: 20:36 মঙ্গলবার, 15 জুন, 2021

|| ডেস্ক রিপোর্ট ||

পর্যাপ্ত সুযোগ-সুবিধা না থাকায় আগ্রহ থাকলেও ওয়ানডে ও টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ আয়োজন করতে পারছে না বাংলাদেশ। তবে আইসিসি চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি আয়োজন করতে চায় বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড (বিসিবি)।

গণমাধ্যমের সঙ্গে আলাপকালে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন বিসিবি সভাপতি নাজমুল হাসান পাপন। মূলত আইসিসির চাহিদা পূরণ করতে না পারায় বিশ্বকাপ আয়োজন করতে পারবে না বাংলাদেশ। ওয়ানডে বিশ্বকাপ আয়োজন করতে হলে অন্তত ১০ টি ভেন্যু থাকতে হবে।

আর টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ আয়োজন করতে হলে থাকতে হবে অন্তত আটটি ভেন্যু। আইসিসির সেই চাহিদা পূরণ করার সামর্থ্য না থাকায় এই দুটি বিশ্ব আসর এককভাবে আয়োজন করা সম্ভব হচ্ছে না বাংলাদেশের। তবে যৌথভাবে বিশ্বকাপ আয়োজন করার জন্য আগ্রহ প্রকাশ করেছেন বিসিবি সভাপতি। 

বোর্ড সভা শেষে বিসিবি সভাপতি নাজমুল হাসান বলেন, 'বিশেষ করে বিশ্বকাপ আয়োজনের স্বাগতিক হওয়ার প্রক্রিয়া। এখানটায় কতগুলো সমস্যা আছে। উদাহরণ হিসেবে, আইসিসি ছেলেদের ইভেন্ট যেটা ক্রিকেট বিশ্বকাপ। সেটাতে পূর্ণাঙ্গভাবে ১০টা ভেন্যু দরকার। যারাই নেবে তাদের পুরো সুযোগ ‍সুবিধাসহ ১০ টা ভেন্যু দরকার। এটা তো আমাদের পক্ষে সম্ভব না। কারণ আমাদের তো নাই। যদি আমরা টি-টোয়েন্টিতে যাই তাহলে আটটা। এটাও আমাদের জন্য কঠিন। আরেকটা আছে চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি, আমরা আবার এটাতে পারি।'

যৌথভাবে বিশ্বকাপ আয়োজনের আশা প্রকাশ করে তিনি বলেন, 'চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফিটা আবার আমাদের জন্য ঠিক আছে। সো আমরা যেটা ঠিক করেছি যে চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফিটা আমরা ব্যক্তিগতভাবে বিড করবো, আমরা চাইবো। আর পুরুষ বিশ্বকাপ এবং টি-টোয়েন্টি এই দুটোও আমরা করব। একা পারবো না, আমরা যৌথভাবে করব। আমাদের ইচ্ছেটা হচ্ছে আমাদের উপমহাদেশের, আমাদের এশিয়ার এসিসিরি অধীনে যারা আছি তাদের সঙ্গে আমরা কথা বলব।'

এদিকে আইসিসির ভবিষ্যত সূচিতে ৫০ ওভারের চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি ফিরিয়েছে আইসিসি। যার সর্বশেষ আসরটি হয়েছিল ২০১৭ সালে। ২০২৪-৩১ সময়টার মাঝে অনুষ্ঠিত হবে চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির দুটি আসর। যার প্রথম আসর অনুষ্ঠিত হবে আগামী ২০২৫ সালে।

দ্বিতীয় আসর হবে ২০২৯ সালে। যেখানে আইসিসির ওয়ানডে র‌্যাঙ্কিংয়ের শীর্ষ আট দল খেলার সুযোগ পাবে। দুটি গ্রুপে ভাগ হয়ে অংশগ্রহণ করবে দলগুলো। যেখানে প্রতিটি গ্রুপে থাকবে চারটি করে দল।

প্রতি গ্রুপের সেরা দুই দল সুযোগ পাবে সেমিফাইনালে। আর সেমিফাইনালে জয় পাওয়া দলটি দুটি খেলবে আইসিসি চ্যাম্পিয়নস ট্রফির ফাইনালে।