টি-টোয়েন্টি ক্রিকেট

টি-টোয়েন্টিতে ভিলিয়ার্সকেই সেরা বলছেন গাভাস্কার

ক্রিকফ্রেঞ্জি ডেস্ক

ক্রিকফ্রেঞ্জি ডেস্ক
প্রকাশের তারিখ: 15:44 শুক্রবার, 04 জুন, 2021

|| ডেস্ক রিপোর্ট ||

ধুম-ধাড়াক্কা ব্যাটিং করার সঙ্গে মাঠের চারিদিকে শট খেলার জন্য ব্যাপক নাম ডাক রয়েছে এবি ডি ভিলিয়ার্সের। নিজের দিনে বিশ্বের যে কোন বোলারকে তুলোধুনো করার সামর্থ্য রয়েছে দক্ষিণ আফ্রিকার সাবেক এই ব্যাটসম্যানের। আন্তর্জাতিক ক্রিকেট থেকে বিদায় নিলেও নিয়মিতই খেলেছেন ফ্র্যাঞ্চাইজি ক্রিকেট।

ইন্ডিয়ান প্রিমিয়ার লিগের (আইপিএল) নিয়মিত মুখ হওয়ায় খুব কাছে থেকেই ডি ভিলিয়ার্সের খেলা দেখেছেন গাভাস্কার। নিজে টেস্ট ঘরোনার ক্রিকেটার হলেও রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স বেঙ্গালুরু হয়ে খেলা এই ব্যাটসম্যানের ব্যাটিং পছন্দ গাভাস্কারের। টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটে সেই ডি ভিলিয়ার্সকেই সেরা মানছেন তিনি।

এ প্রসঙ্গে গাভাস্কার বলেন, ‘এবি ডি ভিলিয়ার্স… যেভাবে ব্যাট করে, সবাই জানেন, ৩৬০ ডিগ্রি খেলতে পারে সে। এমনভাবে সে খেলে, মনে হয় যেন আপনি তাকে নেট সেশনে ব্যাট করতে দেখছেন। তাকে দেখলে মনে হয় ব্যাটিং করা কতই না সহজ!

তিনি আরও বলেন, ‘অনেক দূরে বল পাঠাতে পারে, পাশাপাশি আমাদের মতোই নান্দনিক সে। কিছু কিছু শট যখন সে খেলে, তার ব্যাটের ফলো থ্রু ঠিক কাঁধের ওপর পর্যন্ত যায়। তার মানে, এসব শুধু পাঞ্চ নয়, একদম খাঁটি ক্রিকেট শট। তার ব্যাটিং দেখতে দারুণ পছন্দ করি।’

ক্রিকেটের সংক্ষিপ্ত ফরম্যাট টি-টোয়েন্টির শুরুটা ২০০৫ সালের দিকে। আর গাভাস্কার ক্রিকেট ছেড়েছেন ১৯৮৭ সালের সময়টাতে। যে কারণে টি-টোয়েন্টি ক্রিকেট খেলার সুযোগ হয়নি গাভাস্কারসহ সেই সময়ের ক্রিকেটারদের। অনেক সাবেক ক্রিকেটারের ধারণা, টি-টোয়েন্টির আগমণে তরুণরা টেস্টের প্রতি আগ্রহে হারিয়ে ফেলছে।

সেই সঙ্গে ফ্র্যাঞ্চাইজি ক্রিকেটও টেস্ট ক্রিকেটার তৈরিতে বড় বাধা তৈরি করছে। এদিকে ডি ভিলিয়ার্স আক্রমণাত্বক ব্যাটসম্যান হলেও বিপরীত চিত্র সুনীল গাভাস্কারের ব্যাটিংয়ে। বরাবরই টেস্টের জাত ব্যাটসম্যান হিসেবে সুপরিচিতি রয়েছে ভারতের সাবেক ব্যাটসম্যানের।

টেস্টে ব্যাটসম্যানদের এলিট লিস্টেও রাখা হয় প্রথমবার ১০ হাজার রান করা গাভাস্কারকে। নিজে টেস্ট ঘোরনার ক্রিকেটার হলেও টি-টোয়েন্টি ক্রিকেট ভালো লাগে তাঁর। ভালো লাগার কারণটাও একেবারে সরল বলে জানিয়েছেন তিনি।

গাভাস্কার বলেন, ‘জানি, আমাদের সময়ে যারা খেলেছেন, তাদের অনেকেই টি-টোয়েন্টি সংস্করণ নিয়ে খুশি নয়। কিন্তু আমি সত্যি বলতে এটাকে ভালোবাসি। আমার ভালো লাগার মূল কারণটা সরল, সবাই জানি যে এটা স্রেফ তিন ঘণ্টার ম্যাচ, ফল আসবেই এবং অনেক ঘটনা ঘটবে। কেউ যখন রিভার্স সুইপ বা সুইচ হিট খেলে, আমি লাফিয়ে উঠি। কারণ আমি জানি, এসব অসাধারণ ও অবিশ্বাস্য শট, এসবে ছক্কা মারা অনেক স্কিলের ব্যাপার ‘