|| ডেস্ক রিপোর্ট ||
প্রায় ছয় বছরের ক্রিকেট ক্যারিয়ার হলেও খুব বেশি টেস্ট খেলা হয়নি মুস্তাফিজুর রহমানের। টেস্টের তুলনায় সাদা বলের ক্রিকেটে বেশি খেলেছেন বাঁহাতি পেসার। যে কারণে সাদা বলের ক্রিকেটে তাঁর দাপটও বেশি। অভিষেকের পর থেকে সাদা বলের ক্রিকেটে দারুণ সময় পার করেছেন মুস্তাফিজ।
বাংলাদেশের পেস বোলিং কোচ হওয়ায় মুস্তাফিজকে অনেকটা কাছে থেকে দেখেছেন ওটিস গিবসন। মুস্তাফিজ যখন ক্যারিয়ারে খারাপ সময় পার করছেন তখনই বাংলাদেশের পেস বোলিং কোচের দায়িত্ব নেন গিবসন। এরপর বাঁহাতি এই পেসারের মাঝে কিছুটা উন্নতি দেখা যায়। ক্রিকবাজের সঙ্গে আলাপকালে মুস্তাফিজের প্রশংসা করতে গিয়ে গিবসন জানিয়েছেন, সাদা বলে সে বাংলাদেশের সেরা বোলার।
এ প্রসঙ্গে গিবসন বলেন, ‘অবশ্যই সাদা বলের ক্রিকেটে সে আমাদের সেরা বোলার এবং সে আমাদের নাম্বার ওয়ান। যদি তার আইপিএল ভালো হয় তাহলে সেটা দারুণ ব্যাপার কারণ সে তখন আরও বেশি আত্মবিশ্বাস পাবে।। সে যখন আমাদের কাছে ফিরে আসে তখন সে আরও উন্নত বোলার এবং আত্মবিশ্বাসের সঙ্গে ফিরে আসে। সে আমাদের জন্য সম্পদ।’
ক্যারিয়ারের শুরুটা দারুণভাবে করলেও মাঝ পথে এসে খেই হারিয়েছিলেন মুস্তাফিজ। তবে ইন্ডিয়ান প্রিমিয়ার লিগের (আইপিএল) এবারের আসরে যেন দেখা মিলে সেই পুরোনো মুস্তাফিজকে। রাজস্থান রয়্যালসের হয়ে মাঠ মাতানো এই পেসার দাপট দেখিয়েছেন নিজের শক্তির জায়গা স্লোয়ার ও কাটার দিয়ে।
এবারের আইপিএল স্থগিত হওয়ার আগে রাজস্থানের হয়ে সাতটি ম্যাচেই খেলার সুযোগ পেয়েছিলেন তিনি। যেখানে ৮.২৯ গড়ে নিয়েছেন ৮ উইকেট। আইপিলের খেলা না দেখায় রাজস্থানের হয়ে মুস্তাফিজের পারফরম্যান্স নিয়ে কিছু বলতে চাননি গিবসন। তবে এই ক্যারিবিয়ান কোচ জানিয়েছেন যে, সে যখন তাঁর সঙ্গে কাজ করেছে তখন মুস্তাফিজের মাঝে বেশ কিছু উন্নতি লক্ষ্য করেছেন।
গিবসন বলেন, ‘আমি খুব বেশি আইপিএল দেখিনি তাই আমি মুস্তাফিজুরের আইপিএল পারফরম্যান্স নিয়ে মন্তব্য করতে পারি না। তবে আমি যেটা বলতে পারি সেটা হলো সে যখন আমাদের সঙ্গে ছিল তখন কিছুটা উন্নতি দেখিয়েছিলো।’
তিনি আরও বলেন, ‘আমরা বলের সুইং নিয়ে বলেছিলাম যেখানে সে এটি নতুন বলে করে। সে যখন আমাদের হয়ে খেলবে তখন নতুন বলে বল করবে। আমি জানি না যে সে আইপিএলে নতুন বল নিয়েছিল কিনা তাই সেখানে কি চলেছে সেটা বলা মুশকিল।’