বাংলাদেশ-শ্রীলঙ্কা

বড় শটে উন্নতি নিয়ে কাজ করছেন লিটন

ক্রিকফ্রেঞ্জি ডেস্ক

ক্রিকফ্রেঞ্জি ডেস্ক
প্রকাশের তারিখ: 21:18 সোমবার, 10 মে, 2021

|| ডেস্ক রিপোর্ট ||

করোনা বিরতি কাটিয়ে বাংলাদেশ আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে ফিরলেও সীমিত ওভারের ক্রিকেটে নিজেকে যেন খুঁজে বেড়াচ্ছেন লিটন দাস। টেস্টে ওয়েস্ট ইন্ডিজ এবং শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে দুটি হাফ সেঞ্চুরি পেলেও বাকি দুই ফরম্যাটে বড় রানের দেখা পাননি উইকেটরক্ষক এই ব্যাটসম্যান। 

ঘরের মাঠে ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে ওয়ানডে সিরিজে ৩ ম্যাচে লিটন করেছিলেন মাত্র ৩৬ রান। নিউজিল্যান্ড সফরে ৩ ম্যাচে তিনি করেছেন মাত্র ৪০ রান। যার মধ্যে একটি শুন্যও রয়েছে। কিউইদের মাটিতে টি-টোয়েন্টি সিরিজেও হাসেনি লিটনের ব্যাট। ৩ ম্যাচে করেছেন মাত্র ১০ রান।

টেস্টে রান পেলেও বাকি দুই ফরম্যাটে যেন নিজেকে মেলে ধরতে পারছেন না লিটন। চলতি মাসেই ঘরের মাঠে শ্রীলঙ্কাকে আতিথ্য দেবে বাংলাদেশ। তাই নিজেকে ফিরে পেতে চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন ডানহাতি এই ব্যাটসম্যান। কাজ করছেন বড় শট খেলায় উন্নতি করা নিয়েও। 

ঈদের ছুটির আগে সোমবার শেষদিন অনুশীলন করেছে বাংলাদেশ দল। ৭দিন বিরতি দিয়ে আবারও মাঠে ফিরবে টাইগাররা। এরপরই শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে তিন ম্যাচের ওয়ানডে সিরিজ খেলবে তামিম ইকবালের দল। অনুশীলনের শেষ দিন লিটন জানিয়েছেন, নতুন কিছুতে উন্নতি করার চেষ্টা করছেন।

লিটন বলেন, ‘গত ২ দিন ধরে চিন্তা করলাম যে বড় শট কীভাবে খেলা যায়। এটা নিয়েও কিছু কাজ করলাম। নতুন কোনো কিছু উন্নতি করার চেষ্টা করছি।’

করোনার থাবাই ক্রিকেট বন্ধ হওয়ার আগে জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে দুটি সেঞ্চুরি হাঁকিয়েছিলেন লিটন। একটি করেছিলেন ১২৬ এবং শেষ ম্যাচে করেছিলেন ১৭৬। যা ওয়ানডেতে বাংলাদেশী কোনো ব্যাটসম্যানের সর্বোচ্চ ব্যক্তিগত রান। লিটন জানিয়েছেন, সেই সিরিজেই নিজের শক্তির জায়গা অনুভব করেছিলে তিনি।

এখন সেটা নিয়েই করছেন। এছাড়া ডানহাতি এই ব্যাটসম্যান মনে করেন, নতুন বলে প্রথম ১০ ওভার কাটিয়ে দিতে পারলে তারজন্য বড় ইনিংস খেলে সহজ হয়ে যায়। লিটন বলেন,  ‘নিজের খেলা এখন আগের থেকে অনেক ভালো বুঝি। আমি যেহেতু সাদা বলে ইনিংস ওপেন করি, আমার জন্য নতুন বলে খেলা গুরুত্বপূর্ণ বেশি। প্রথম ১০ ওভার যদি খেলে নিতে পারি তারপরে খেলাটা আমার জন্য সহজ হয়ে যায়।'

'সেটা আমি জিম্বাবুয়ের সাথে খেলার সময় বুঝেছিলাম। তখন বড় ইনিংস খেলতে পারি। আমার মনে হয় তখন ১৫ থেকে ৪০ ওভার পর্যন্ত আমার জন্য খুব সহজ হয়। এই জিনিসটা আত্মবিশ্বাস দেয়। নিয়মিত অনুশীলনে নতুন খেলা নিয়ে কাজ করছি। আমি জানি আমার সামর্থ্য কোথায় আছে।’