পাকিস্তানের ক্রিকেট

যুক্তরাষ্ট্রের হয়ে খেলার আশায় পাকিস্তানের একশ ক্রিকেটার!

ক্রিকফ্রেঞ্জি ডেস্ক

ক্রিকফ্রেঞ্জি ডেস্ক
প্রকাশের তারিখ: 11:48 রবিবার, 09 মে, 2021

|| ডেস্ক রিপোর্ট ||

বিভিন্ন দেশের ক্রিকেটারদের আকৃষ্ট করে ভবিষ্যতে শক্তিশালী একটি জাতীয় দল গড়ার লক্ষ্যে যুক্তরাষ্ট্র চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে বেশ কয়েকবছর ধরে। শ্রীলঙ্কা, পাকিস্তান, ওয়েস্ট ইন্ডিজসহ বিশ্বের নানা দেশের অনেক ক্রিকেটারই চলে যাচ্ছেন সেখানে। তেমনি পাকিস্তানের ক্রিকেটার সামি আসলামের যুক্তরাষ্ট্রে চলে যাওয়া ছিল গত বছর দেশটির ক্রিকেটে সবথেকে আলোচিত ঘটনা।

তবে ঘরোয়া ক্রিকেটে তিনি ছিলেন নিয়মিত পারফরমার। বাদ পড়ার পর লম্বা সময় আর জাতীয় দলে সুযোগ না পেয়ে গত বছরের শেষ দিকে যুক্তরাষ্ট্রে চলে যান তিনি নতুন জীবনের আশায়। দেশটিতে পাড়ি জমিয়ে ভালোই আছেন। তবে জানালেন পাকিস্তান ছেড়ে অনেক প্রথম শ্রেণির ক্রিকেটারই নাকি যুক্তরাষ্ট্রে পাড়ি জমাতে চান, সংখ্যায় প্রায় একশর মতো।

তিনি বলেন, 'আমি নিশ্চিত করে বলতে পারি, পাকিস্তানের কেন্দ্রীয় চুক্তিতে না থাকা অনেক ক্রিকেটার যুক্তরাষ্ট্রে থিতু হতে চায়। একশর বেশি প্রথম শ্রেণির ক্রিকেটারের ফোন পেয়েছি আমি, তারা সবাই খোঁজখবর নিচ্ছে। এমনকি পাকিস্তানের ঘরোয়া ক্রিকেটের সেরা পারফরমাররাও এখানে আসতে চায়।'

পাকিস্তানের ক্রিকেটাররা যুক্তরাষ্ট্রের হয়ে খেলতে চাইলেও দেশটির দক্ষিণ আফ্রিকা কিংবা অস্ট্রেলিয়ার ক্রিকেটারদের দলে ভেড়াত উন্মুখ। তবে সামি জানিয়েছেন, অনেক পাকিস্তানী ক্রিকেটার দেশটির সঙ্গে চুক্তি স্বাক্ষরের মতো অবস্থানে রয়েছে।

এ প্রঙ্গে তিনি বলেন, 'এই মুহূর্তে যুক্তরাষ্ট্র ক্রিকেট চাইছে অনেক অস্ট্রেলিয়ান ও দক্ষিণ আফ্রিকান ক্রিকেটারদের এখানে আনতে। তবে অনেক পাকিস্তানি ক্রিকেটার এখানে আসতে মরিয়া ও চেষ্টা করে যাচ্ছে। কয়েকজন চুক্তি স্বাক্ষর করার কাছাকাছিও আছে।'

সামি পাকিস্তানের হয়ে খেলেন ১৩ টেস্ট ও ৪ ওয়ানডে। খুব ভালো ছিল না পারফরম্যান্স। টেস্টে ৭টি হাফ সেঞ্চুরি সহ ৩১.৫৮ গড়ে করেন ৭৫৮ রান। ওয়ানডেতে নেই একটিও। গত বছর তিনি যুক্তরাষ্ট্রে পাড়ি জমালেও এখনো দেশটির হয়ে খেলার অনুমতি পাননি। তিন বছর পর পাবেন খেলার সুযোগ। তবুও পাকিস্তান ছেড়ে ভালোই আছেন বলে জানালেন।

সামি বলেন, 'যুক্তরাষ্ট্রের হয়ে খেলার অনুমতি পেতে তিন বছর লাগবে, ২০২৩ সালের নভেম্বর থেকে আমি খেলার জন্য বিবেচিত হব। এক শতাংশ আক্ষেপও নেই আমার। পাকিস্তানের ক্রিকেটে দুই বছর হতাশায় ডুবে থাকার পর এখানে খুবই ভালো আছি।'

তিনি আরো বলেন, 'গত ৫-৬ বছরে ঘরোয়া ক্রিকেটের সব সংস্করণে পারফর্ম করার পরও নির্বাচকদের উপেক্ষা পেতে পেতে ক্লান্ত হয়ে গিয়েছিলাম। দলে নেওয়া হলেও দু-এক ম্যাচ খেলিয়ে বাদ দেওয়া হতো। কঠিন কন্ডিশনে পারফর্ম করার পরও বাদ পড়েছি। কেউ কেউ আছে, ১০ ম্যাচে ব্যর্থ হলেও সুযোগ পায়, আমি দুই ম্যাচ খারাপ করলেই বাদ।'