আইপিএল ২০২১

আইপিএলে দল না পাওয়া যেন আশীর্বাদ!

ক্রিকফ্রেঞ্জি ডেস্ক

ক্রিকফ্রেঞ্জি ডেস্ক
প্রকাশের তারিখ: 11:49 বৃহস্পতিবার, 29 এপ্রিল, 2021

|| ডেস্ক রিপোর্ট ||

ইন্ডিয়ান প্রিমিয়ার লিগে (আইপিএল) খেলার স্বপ্ন কে না দেখেন। কিন্তু কতজনেরই বা এই স্বপ্ন সত্যি হয়! ৮ ফ্র্যাঞ্চাইজিতে সর্বোচ্চ ৬৪জন বিদেশি সুযোগ পান, বাকিরা থেকে যান আড়ালেই। তেমনই ২০২১ আইপিএলের ড্রাফটে আড়ালেই থেকে গিয়েছিলেন মার্নাস ল্যাবুশেন। কিন্তু এতো দিন পর অস্ট্রেলিয়ার এই ক্রিকেটার মনে করছেন, আইপিএলে দল না পাওয়া যেন আশীর্বাদই ছিল!

ল্যাবুশেনের আইপিএল খেলার ইচ্ছা ছিল অনেক। নিলামেও নাম উঠেছিল তার। কিন্তু তার প্রতি আগ্রহ দেখায়নি কোনো ফ্র্যাঞ্চাইজি। তাতে তার হতাশাও ছিল স্বাভাবিকভাবেই। অস্ট্রেলিয়ার টেস্ট ও ওয়ানডে দলের গুরুত্বপূর্ণ অংশ তিনি। কিন্তু টি-টোয়েন্টি দলের ধারেকাছে নেই এখনও।

এদিকে ভারতের করোনা পরিস্থিতি এখন হাতের নাগালের বাইরে। অংশ নেয়া অনেক ক্রিকেটারই বাড়ি ফিরতে চাইছেন। প্রশ্ন উঠে আসছে এই পরিস্থিতিতে আইপিএল চালানো নিয়েও। এসব দেখেই ল্যাবুশেনের মনে হচ্ছে দল আন পাওয়া যেন আশীর্বাদ।

ক্রিকেট অস্ট্রেলিয়ার ওয়েবসাইটকে নিজের উপলব্ধির কথা জানিয়েছে ল্যাবুশেন বলেন, 'এখন সত্যিকার অর্থেই মনে হচ্ছে, এটা (আইপিএল খেলতে না পারা) শাপেবর হয়েছে। আইপিএলে খেলতে পারলে অবশ্যই ভালো লাগত। এটা দারুণ টুর্নামেন্ট। কিন্তু সবসময়ই মুদ্রার দুটো পিঠ আছে।'

'আইপিএলে থাকলে দেশ থেকে দূরে থাকতে হতো। শেফিল্ড শিল্ড জয়ের স্বাদ পাওয়া হতো না। এই সুযোগ তো সবসময় হয় না! দ্বিতীয়ত, ভারতের এখন যা অবস্থা, পরিস্থিতি খুব ভালো মনে হচ্ছে না' আরও যোগ করেন ডানহাতি এই ব্যাটসম্যান।

আইপিএলে দল না পেলেও অস্ট্রেলিয়ার ঘরোয়া ক্রিকেট শেফিল্ড শিল্ডে খেলায় ব্যস্ত ছিলেন ল্যাবুশেন। সেখানে কুইন্সল্যান্ডের হয়ে শিরোপা জিতেছেন। টুর্নামেন্টে সুদীর্ঘ পথচলায় দলটির মাত্র নবম শিরোপা এটি। 

সেই শিরোপা জয়ে বড় অবদান ছিল লাবুশেনের। টুর্নামেন্টে অসাধারণ ধারাবাহিকতায় ৮২.১০ গড়ে তিনি ৮২১ রান।হাঁকিয়েছেন ৪টি সেঞ্চুরিও। ফাইনালে নিউ সাউথ ওয়েলসের বিপক্ষে খেলেছেন ১৯২ রানের ইনিংস খেলে হয়েছেন ম্যাচ সেরা।

অন্যদিকে দুই ফরম্যাটে অস্ট্রেলিয়ার হয়ে নিয়মিত হলেও টি-টোয়েন্টিতে জায়গ্যা পাকাপোক্ত হয়নি ল্যাবুশেনের জায়গা। তাই এই ফরম্যাটে দলে জায়গা পাকা করতে ইংল্যান্ডের টি-টোয়েন্টি ব্লাস্টে চোখ এই ক্রিকেটারের।  

ল্যাবুশেন আরও বলেন, 'অবশ্যই আমি অস্ট্রেলিয়ার হয়ে সব সংস্করণে খেলতে চাই। কিন্তু মাত্র ১৬টি টি-টোয়েন্টি খেলেই অস্ট্রেলিয়ার টি-টোয়েন্টি দলের বিবেচনায় আসা কঠিন। টি-টোয়েন্টি ব্লাস্টে ১৪টি ম্যাচ খেলার সম্ভাবনা আছে।'

'ম্যাচগুলি খেলতে পারলে আমার টি-টোয়েন্টি ম্যাচের সংখ্যা প্রায় দ্বিগুন হয়ে যাবে। এই হাতছানি রোমাঞ্চকর। কারণ, আমার খেলার এই দিকটিতে উন্নতির খুব বেশি সুযোগ আগে পাইনি' আরও যোগ করেন তিনি।