আইপিএল

কামিন্স-রাসেলের আপ্রাণ চেষ্টাতেও জিতল না কলকাতা

ক্রিকফ্রেঞ্জি ডেস্ক

ক্রিকফ্রেঞ্জি ডেস্ক
প্রকাশের তারিখ: 19:33 বুধবার, 21 এপ্রিল, 2021

|| ডেস্ক রিপোর্ট ||

জয়ের জন্য শেষ ওভারে কলকাতা নাইট রাইডার্সের প্রয়োজন ছিল ২০ রান। তবে শার্দুল ঠাকুরের প্রথম বলে দুই রান নিতে গিয়ে রান আউট হন প্রসিধ। এর ফলে মাত্র ৩৪ বলে ৬৬ রানের ঝড়ো ইনিংস খেললেও দলকে জেতাতে পারেননি প্যাট কামিন্স। চেন্নাই সুপার কিংসের কাছে ১৮ রানে হেরে এবারের আসরে হ্যাটট্রিক হার দেখলো কলকাতা।

২২১ রানের বড় লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে দীপক চাহারের বোলিং তোপের সামনে পড়ে কলকাতার ব্যাটসম্যানরা। একে একে শুভমান গিল, নীতিশ রানা, ইয়ন মরগান এবং সুনীল নারিনকে সাজঘরে ফিরিয়েছেন চাহার। ইনিংসের প্রথম ওভারের চতুর্থ বলে গিলকে ফেরান তিনি।

এরপর তৃতীয় ওভারে ৯ রান করা নীতিশ, পঞ্চম ওভারে সাজঘরে ফিরিয়েছেন ৭ রান করা মরগান এবং ৪ রান করা নারিনকে। এরপর নিজের প্রথম ওভারে বোলিংয়ে এসেই রাহুল ত্রিপাটিকে ফেরান লুঙ্গি এনগিদি। ৩১ রানে ৫ উইকেট হারানোর পর দীনেশ কার্তিককে নিয়ে জুটি গড়েন আন্দ্রে রাসেল।

মাত্র ৩১ রানে ৫ উইকেট হারালেও তাঁরা দুজনই আক্রমণাত্বক ব্যাটিং করতে থাকেন। এই দুজনের জুটি থেকে আসে ৮১ রান। স্যাম কারানের দারুণ এক বলে ৫৪ রান করে রাসেল বোল্ড হয়ে ফিরলে ভাঙে তাঁদের ‍দুজনের এই জুটি। ইনিংসটি খেলতে ৬টি ছক্কা ও ৩টি চার মেরেছেন তিনি।

রাসেলের বিদায়ের পর ৪০ রান করে আউট হয়েছেন কার্তিক। এই উইকেটরক্ষক ব্যাটসম্যানকে ফেরান এনগিদি। শেষ দিকে কামিন্স ৩৪ বলে ৬৬ রানের ঝড়ো ইনিংস খেললেও সেটি কেবল হারের ব্যবধান কমিয়েছে। চেন্নাইয়ের হয়ে ৪ উইকেট নিয়েছেন চাহার আর তিনটি উইকেট নিয়েছেন এনগিদি।

এর আগে টসে হেরে ব্যাট করতে নেমে চেন্নাইকে দুর্দান্ত শুরু এনে দুই ওপেনার ঋতুরাজ গায়কোয়াড এবং ফাফ ডু প্লেসি। শুরু থেকেই আক্রমণাত্বক ব্যাটিং শুরু করেন তাঁরা দুজন। তাতে পাওয়ার প্লে তে কোনো উইকেট না হারিয়ে ৫৪ রান তুলেন এই দুই ব্যাটসম্যান। পাওয়ার প্লের পর ৩৩ বলে হাফ সেঞ্চুরি পূরণ করেন ঋতুরাজ। যা কিনা এবারের আসরে তাঁর প্রথম হাফ সেঞ্চুরি।

ঋতুরাজের পর হাফ সেঞ্চুরি তুলে নেন আরেক ওপেনার ডু প্লেসি। তিনি হাফ সেঞ্চুরি করেছেন অবশ্য ৩৫ বলে। এর আগে ১১.২ ওভারে দলীয় ১০০ রান পূর্ণ করে চেন্নাই। হাফ সেঞ্চুরি তুলে নেয়ার পর অবশ্য ইনিংস বড় করতে পারেননি ঋতুরাজ। বরুণ চক্রবর্তীর বলে ৬৪ রান করে সাজঘরে ফেরেন ডানহাতি এই ব্যাটসম্যান। ইনিংসটি খেলতে ৪টি ছক্কা ও ৬টি চার মেরেছেন তিনি।

ঋতুরাজের বিদায়ের পর মঈন আলীকে নিয়ে দ্রুতগতিতে রান তুলতে থাকেন ডু প্লেসি। তিনে নেমে মঈনও আক্রমণাত্বক ব্যাটিং করেন। যদিও ইনিংসটি খুব বেশি বড় করতে পারেননি এই ইংলিশ অলরাউন্ডার। ১২ বলে ২৫ রান করে নারিনের বলে স্টাম্পিং হয়ে সাজঘরে ফেরেন মঈন। চারে নেমে ৮ বলে ১৭ রান করে আউট হয়েছেন অধিনায়ক মহেন্দ্র সিং ধোনি।

শেষ ওভারে প্যাট কামিন্সকে দুই ছক্ক মেরে সেঞ্চুরির আশা জাগালেও সেটা হয়নি ‍ডু প্লেসির। পঞ্চম বলে এক রান নিয়ে নন স্ট্রাইকে চলে আসলে হাতছাড়া হয়ে যায় সেঞ্চুরির সুযোগ। শেষ পর্যন্ত তিনি অপরাজিত ছিলেন ৯৫ রানে। আর নির্ধারিত ২০ ওভারে ৩ উইকেট হারিয়ে ২২০ রান তোলে চেন্নাই।