টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ

বিশ্বকাপ খেলতে ভারতে যেতে বাধা নেই পাকিস্তানের

ক্রিকফ্রেঞ্জি ডেস্ক

ক্রিকফ্রেঞ্জি ডেস্ক
প্রকাশের তারিখ: 14:45 শনিবার, 17 এপ্রিল, 2021

|| ডেস্ক রিপোর্ট ||

চলতি বছরের অক্টোবর-নভেম্বরে ভারতের মাটিতে অনুষ্ঠিত হবে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ। দুই দেশের রাজনৈতিক টানা পোড়ন থাকায় অনিশ্চয়তা তৈরি হয়েছিল পাকিস্তানের টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ খেলা নিয়ে। তবে সেই অনিশ্চয়তা কাটিয়ে বিশ্বকাপে খেলতে ভারতে যেতে আর কোনো বাধা নেই পাকিস্তানি ক্রিকেটারদের।

টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ খেলার জন্য ভারত সরকারের কাছ থেকে পাকিস্তানিদের ভিসার নিশ্চয়তা দেওয়া হয়েছে বলে নিশ্চিত করেছেন বোর্ড অব কন্ট্রোল ফর ক্রিকেট ইন ইন্ডিয়ার (বিসিসিআই) সচিব জয় শাহ। তবে সমর্থকদের ভিসা দেয়ার ব্যাপারে এখনও কোনো সিদ্ধান্ত নেয়নি বিসিসিআই।

প্রতিবেশি দেশ হলেও রাজনৈতিক বৈরিতার কারণে এই দুই দেশের সম্পর্কটা ক্রমশই খারাপ হয়েছে। বেশ কয়েকবছর আগে পাকিস্তান ও ভারতের মাঝে হরহামেশাই দ্বিপাক্ষিক সিরিজে খেলতে দেখা গেলেও সেটা এখন কল্পনাতীত হয়ে গেছে। এই দুই দেশের লড়াই দেখার জন্য সমর্থকদের তাকিয়ে থাকতে হয় আইসিসির টুর্নামেন্টগুলোর দিকে।

চলতি বছর ভারতের মাটিতে রয়েছে আইসিসি টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ। যেখানে সুযোগ রয়েছে এই দুই দেশের মাঠের লড়াই দেখার। কিন্তু রাজনৈতিক কারণে পাকিস্তানি ক্রিকেটারদের ভিসা নিয়ে তৈরি হয়েছিল অনিশ্চয়তা। যে কারণে আইসিসির শরণাপন্ন হয়েছিল পাকিস্তান ক্রিকেট বোর্ড (পিসিবি)।

তাতে ফলও পেয়েছে পাকিস্তান। ভারতীয় সংবাদ সংস্থা পিটিআই বিসিসিআইয়ের অ্যাপেক্স কাউন্সিলের একজন সদস্যের বরাত দিয়ে প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে যে, শুক্রবার কাউন্সিলের সভায় জয় শাহ নিশ্চিত করেছেন পাকিস্তানিদের ভিসা নিয়ে সমস্যা হবে না।

এ প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ‘পাকিস্তান ক্রিকেট দলের ভিসার ব্যাপারটি সমাধান হয়েছে। তবে সমর্থকরা সীমানা পাড়ি দিয়ে খেলা দেখতে আসতে পারবেন কিনা, সেটি স্পষ্ট নয় এখনও। এই সিদ্ধান্ত সময়মতোই নেওয়া হবে। তবে আমরা আইসিসিকে নিশ্চিত করেছিলাম যে এটির সমাধান হবে। আজকের সভায় এই ঘোষণা দিয়েছেন সচিব।’

সেই সভা শেষে ভারতের ৯টি ভেন্যুতে বিশ্বকাপ আয়োজনের পরিকল্পনার কথা জানিয়েছে বিসিসিআইয়ের এক কর্মকর্তা।শুরুতে ৬টি ভেন্যুতে এই টুর্নামেন্ট আয়োজনের পরিকল্পনা থাকলেও বিসিসিআইয়ের সভা শেষে জানানো হয়েছে প্রাথমিকভাবে ৯টি ভেন্যুতে বিশ্বকাপ আয়োজনের জন্য নির্ধারণ করা হয়েছে।

বিশ্বকাপের ফাইনালের জন্য আগে থেকেই নির্ধারণ করা হয়েছে আহমেদাবাদের নরেন্দ্র মোদি স্টেডিয়াম। এ ছাড়া মুম্বাই, নয়া দিল্লি, চেন্নাই, কলকাতা, বেঙ্গালুরু, হায়দরাবাদ, ধর্মশালা ও লক্ষ্মৌতে সব বিশ্বকাপের ম্যাচগুলো।