আইপিএল

আরও ১০০ বার খেললেও মরিসকে স্ট্রাইক দিতেন না স্যামসন

ক্রিকফ্রেঞ্জি ডেস্ক

ক্রিকফ্রেঞ্জি ডেস্ক
প্রকাশের তারিখ: 10:42 শুক্রবার, 16 এপ্রিল, 2021

|| ডেস্ক রিপোর্ট ||

পাঞ্জাব কিংসের বিপক্ষে নিজেদের প্রথম ম্যাচে শেষ ওভারের নাটকীয়তায় ৪ রানে হেরেছিল রাজস্থান রয়্যালস। সেই ম্যাচে ১৯তম ওভারের পঞ্চম বলে এক রান নেয়ার সুযোগ সেটি নেননি সাঞ্জু স্যামসন। যা নিয়ে তাঁকে সমালোচনাও শুনতে হয়েছে। তবে সেই ম্যাচটি যদি আরও ১০০ বারও খেলেন তবুও সিঙ্গেল নিতেন না বলে জানিয়েছেন স্যামসন।

টুর্নামেন্টের চতুর্থ ম্যাচে পাঞ্জাবের বিপক্ষে ২২২ রান তাড়া করছিল রাজস্থান। সেই ম্যাচে টপ অর্ডার ব্যাটসম্যানরা ভালো করতে না পারলেও দলকে একাই টেনে নিয়ে গিয়েছিলেন অধিনায়ক স্যামসন। হারতে থাকা ম্যাচে রাজস্থানকে জয়ের স্বপ্ন দেখিয়েছিলেন স্যামসন। কিন্তু বিপত্তি বাঁধে শেষ ওভারে গিয়ে।

শেষ দুই বলে রাজস্থানের জয়ের জন্য প্রয়োজন ছিল ৫ রান। তখন স্ট্রাইক প্রান্ত ১১৯ রানে অপরাজিত স্যামসন আর অপর প্রান্তে ক্রিস মরিস। একটু চতুরতার সঙ্গে নিজের পঞ্চম বলটি আউট সাউড অফ স্টাম্পের বাইরে করেন আর্শদীপ। তাতে বাউন্ডারি মারতে ব্যর্থ হন স্যামসন। এক রান নেয়ার সুযোগ থাকলেও সেটি করেননি।

মরিস অর্ধেক চলে যাওয়ার পরও তাঁকে ফিরিয়ে দিয়েছেন স্যামসন। সেই বলে এক রান না নেয়ায় শেষ বলে জয়ের জন্য প্রয়োজন ছিল ৫ রান। ছক্কা মারতে পারলে রাজস্থানের জয় আর চার মারতে পারলে সুপার ওভার। এমন সমীকরণের সামনে দাঁড়িয়ে আর্শদীপের আউট সাইড অফ স্টাম্পের বলটি তুলে মারেন স্যামসন।

কিন্তু বাউন্ডারি পার করতে পারেন দলটির এই অধিনায়ক। শেষ পর্যন্ত দীপক হুডার হাতে ক্যাচ আউট হয়ে ১১৯ রানে সাজঘরে ফেরেন স্যামসন। আর চরম নাটকীয়তার ম্যাচে ৪ রানে হেরে টুর্নামেন্ট শুরু করে রাজস্থান। তবে নিজেদের দ্বিতীয় ম্যাচে দিল্লি ক্যাপিটালসের বিপক্ষে হারতে থাকা ম্যাচে রাজস্থানকে জিতিয়েছেন মরিস।

শেষ ২ ওভার ২৭ রান প্রয়োজন হলেও ২ বল বাকি থাকতেই দলকে জয়ের বন্দরে নিয়ে যান তিনি। আর তাতেই প্রশ্ন উঠছে গেল ম্যাচের শেষ বলে মরিসকে স্ট্রাইক না দেয়া নিয়ে। দিল্লির বিপক্ষে ম্যাচ শেষে স্যামসনকে এ নিয়ে প্রশ্ন করলে তিনি জানিয়েছেন, আরও ১০০ বার খেললেও মরিসকে স্ট্রাইক দিতেন না দলটির অধিনায়ক।

পাঞ্জাবের বিপক্ষে শেষ বলে এক রান নিয়ে মরিসকে স্ট্রাইক না দেয়া প্রসঙ্গে স্যামসন বলেন, ‘আমি সবসময় পেছনে বসে আমার খেলার পর্যালোচনা করি। যদি সেই ম্যাচটি আমি ১০০ বার খেলি তবুও আমি সিঙ্গেল নিতাম না।’