আইপিএল

রাজস্থানকে জেতালেন ১৬ কোটির মরিস

ক্রিকফ্রেঞ্জি ডেস্ক

ক্রিকফ্রেঞ্জি ডেস্ক
প্রকাশের তারিখ: 19:34 বৃহস্পতিবার, 15 এপ্রিল, 2021

|| ডেস্ক রিপোর্ট ||

জয়ের জন্য শেষ দুই ওভারে রাজস্থান রয়্যালসের প্রয়োজন ছিল ২৭ রান। ১৯তম ওভারে কাগিসো রাবাদাকে ২ ছক্কার মারার সঙ্গে ওই ওভারে ১৫ রান নিয়েছিলেন ক্রিস মরিস। শেষ ওভারে রাজস্থানের যখন জয়ের জন্য ১২ রান দরকার তখন প্রথম বলে দুই রান নেয়ার পর দ্বিতীয় বলে টম কারানকে ছক্কা মারেন মরিস।

পরের বলে ডট দিলেও চতুর্থ বলে ব্যাকওয়ার্ড স্কয়ার লেগ দিয়ে ছক্কা মেরে রাজস্থানের জয় নিশ্চিত করেন নিলাম থেকে ১৬ কোটি রুপিতে দল পাওয়া মরিস। দক্ষিণ আফ্রিকার এই অলরাউন্ডার শেষ পর্যন্ত অপরাজিত ছিলেন ১৮ বলে ৩৬ রান করে। আর দিল্লি ক্যাপিটালসকে ৩ উইকেটে হারিয়ে এবারের আসরে নিজেদের প্রথম জয় তুলে নিলো রাজস্থান।

জয়ের জন্য ১৪৮ রানের লক্ষ্যে খেলতে নেমে শুরু থেকেই ব্যাটিং বিপর্যয়ে পড়ে রাজস্থান। রাবাদা ও ক্রিস ওকসদের দুর্দান্ত বোলিংয়ের সামনে দাঁড়াতেই পারেনি রাজস্থানের টপঅর্ডার ব্যাটসম্যান। একে একে সাজঘরে ফিরেছেন বাটলার-মানান ভোহরা ও স্যামসনরা।

ইনিংসের তৃতীয় ওভারে এক বলের ব্যবধানে ভোহরা ও বাটলারকে সাজঘরে ফেরান ওকস। বাটলার ২ আর ভোহরা ফিরেছেন ১১ বলে ৯ রান করেন। পরের ওভারে ৪ রান করা স্যামসনকে ফেরান রাবাদা। এদিন থিতু হতে পারেননি শিভাম দুবে ও রিয়ান পরাগও। ৭ বলে ২ রান করে অভিষ খানের বলে ফিরেছেন দুবে। ২ রান পরাগকেও ফেরান অভিষ।

৪২ রানে ৫ উইকেট হারিয়ে রাজস্থান যখন হারের প্রহর গুনছে তখন দলের হয়ে প্রতিরোধ করেন মিলার ও রাহুল তেওয়াতিয়া। এই দুজনের জুটি থেকে ৪৮ রান। ১৭ বলে ১৯ রান করে তেওয়াতিয়া ফিরলে ভাঙে তাঁদের এই জুটি। তেওয়াতিয়ার বিদায়ের পর ইনিংস বড় করতে পারেননি হাফ সেঞ্চুরি তুলে নেয়া মিলার।

অভিষকে ছক্কা মারতে গিয়ে ললিত যাদবকে ক্যাচ দিয়ে সাজঘরে ফেরেন ৪৩ বলে ৬২ রান করা মিলার। এরপর মরিস ও জয়দেব উনাদকাদ মিলে দলের জয় নিশ্চিত করেন। ২ বল বাকি থাকতেই ৩ উইকেটের জয় নিয়ে মাঠ ছাড়ে রাজস্থান।

এর আগে টসে হেরে ব্যাট করতে নেমে শুরুটা ভালো করতে পারেনি দিল্লি। প্রথম ম্যাচে দলকে দুর্দান্ত শুরু এনে দিলেও এদিন ব্যর্থ হয়েছেন শিখর ধাওয়ান ও পৃথ্বী শ। মূলত উনাদকাদের বোলিংয়ের সামনে দাঁড়াতেই পারেনি দিল্লির ব্যাটসম্যানরা। ইনিংসের দ্বিতীয় ওভারে বল করতে এসে গেল ম্যাচের হাফ সেঞ্চুরিয়ান পৃথ্বীকে ফেরান উনাদকাদ।

ডেভিড মিলারের হাতে ক্যাচ দেয়ার আগে ৫ বলে মাত্র ২ রান করেছেন ডানহাতি এই ব্যাটসম্যান। পরের ওভারে এসে বল করতে এসে গেল ম্যাচের আরেক হাফ সেঞ্চুরিয়ান ধাওয়ানকেও ফেরান বাঁহাতি এই পেসার। ধাওয়ান ফিরেছেন ১১ বলে ৯ রান করে। পাওয়ার প্লের শেষ ওভারে নিজের হাতেই ক্যাচ বানিয়ে আজিঙ্কা রাহানেকে ফেরান তিনি।

পাওয়ার প্লে শেষ হওয়ার পর বোলিংয়ে আসেন মুস্তাফিজুর রহমান। বোলিংয়ে এসেই মার্কোস স্টয়নিসকে সাজঘরে ফেরান বাংলাদেশের এই বাঁহাতি পেসার। ৫ বলে কোনো রান না করেই মুস্তাফিজের স্লোয়ারে জস বাটলারের হাতে ক্যাচ তুলে দেন স্টয়নিস। নিজের প্রথম ওভারে মাত্র ১ রান দিয়েছেন বাঁহাতি এই পেসার।

মাত্র ৩৭ রানে ৪ উইকেট হারিয়ে রীতিমত ব্যাটিং বিপর্যয়ে পড়ে দিল্লি। তবে অভিষিক্ত ললিত যাদবকে নিয়ে শুরুর বিপর্যয় সামাল দেন ঋষভ পান্ত। এই দুজনের জুটি থেকে আসে ৫১ রান। এর মাঝে হাফ সেঞ্চুরি তুলে নেন পান্ত। তবে হাফ সেঞ্চুরি তুলে নিয়ে ইনিংস বড় করতে পারেননি দিল্লির অধিনায়ক।

৯ চারের সাহায্যে ৩২ বলে ৫১ রান করে রান আউট হয়ে সাজঘরে ফেরেন পান্ত। বাঁহাতি এই ব্যাটসম্যানের বিদায়ের পর সাজঘরে ফেরেন ললিতও। ২০ বলে ২০ রান করে ক্রিস মরিসের বলে ফিরেছেন অভিষিক্ত এই ব্যাটসম্যান। শেষ দিকে দ্রুতগতিতে রান তুলেছেন কারান।

নিজের শেষ ওভারে বল করতে শেষে ২১ রান করা কারানকে বোল্ড আউট করেন মুস্তাফিজ। যা বাংলাদেশি এই পেসারের দ্বিতীয় শিকার। শেষ দিকে ওকসের ১৫ রানের সুবাদে নির্ধারিত ২০ ওভারে ৮ উইকেটে ১৪৭ রান তুলে দিল্লি।

সংক্ষিপ্ত স্কোর:

দিল্লি ক্যাপিটালস: ১৪৭/৮ (ওভার ২০) (পান্ত ৫১, কারান ২১, ললিত ২০, উনাদকাদ ৩/১৫, মুস্তাফিজ ২/২৯)

রাজস্থান রয়্যালস: ১৫০/৭ (ওভার ১৯.৪) (মিলার ৬২, মরিস ৩৬*, তেওয়াতিয়া ১৯, অভিষ ৩/৩২, ওকস ২/২২)