|| ডেস্ক রিপোর্ট ||
আইসিসির দুর্নীতি দমন আইনের পাঁচটি নিয়ম লঙ্ঘনের অভিযোগে ৮ বছরের জন্য নিষিদ্ধ হয়েছেন হিথ স্ট্রিক। মূলত দলের সঙ্গে থেকে তথ্য পাচারের অভিযোগে অভিযুক্ত হয়েছেন তিনি। ২০২৯ সালের ২৮ মার্চ আবারও ক্রিকেটীয় কার্যক্রমের সঙ্গে যুক্ত হতে পারবেন তিনি।
২০১৬-১৮ সাল পর্যন্ত আন্তর্জাতিক ক্রিকেটের সঙ্গে ঘরোয়া ও ফ্র্যাঞ্চাইজিভিত্তিক টুর্নামেন্টেও তথ্য পাচারের মতো কাজের সঙ্গে যুক্ত ছিলেন জিম্বাবুয়ের সাবেক এই পেসার। এক বিবৃতিতে বিষয়টি নিশ্চিত করেছে ইন্টারন্যাশনাল ক্রিকেট কাউন্সিল (আইসিসি)।
২০১৪-১৬ সাল পর্যন্ত বাংলাদেশ জাতীয় দলের হয়ে বোলিং কোচের দায়িত্ব পালন করেছেন স্ট্রিক। ২০১৪ সালে স্ট্রিকের সঙ্গে ২ বছরের জন্য চুক্তি করেছিল বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড(বিসিবি)। এরপর বাংলাদেশের দায়িত্ব ছেড়ে দেন তিনি।
বাংলাদেশ জাতীয় দলের হয়ে কাজ করা ছাড়াও বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগে (বিপিএল) কোচ হিসেবে কাজ করার অভিজ্ঞতা রয়েছে তাঁর। ২০১৭ সালে বিপিএলে দায়িত্ব পালন করার সময় বেশ কয়েকটি ম্যাচে তথ্য পাচার করেছিলেন বাংলাদেশের সাবেক এই বোলিং কোচ।
এ ছাড়া ২০১৮ সালে বাংলাদেশে শ্রীলঙ্কা ও জিম্বাবুয়েকে নিয়ে হওয়া ত্রিদেশীয় সিরিজ, জিম্বাবুয়ে-আফগানিস্তান সিরিজ, ২০১৮ সালের ইন্ডিয়ান প্রিমিয়ার লিগ (আইপিএল), আফগানিস্তান প্রিমিয়ার লিগ (এপিএল) ও পাকিস্তান সুপার লিগে (পিএসএল) দায়িত্ব পালনের সময় দলের তথ্য পাচার করেছেন।
শুধু তাই নয়, একজন জাতীয় দলের অধিনায়কসহ অন্তত চারজন ক্রিকেটারকে জুয়া বা বাজির সঙ্গে জড়িত ব্যক্তির সঙ্গে পরিচয় করিয়ে দেওয়ার অভিযোগও আছে তার বিরুদ্ধে। শুরুর দিকে অভিযোগ অস্বীকার করলেও পরবর্তীতে স্বীকার করে শাস্তি মেনে নিয়েছেন।