জাতীয় ক্রিকেট লিগ

বল হাতে সানজামুলের রেকর্ড

ক্রিকফ্রেঞ্জি ডেস্ক

ক্রিকফ্রেঞ্জি ডেস্ক
প্রকাশের তারিখ: 15:00 মঙ্গলবার, 30 মার্চ, 2021

|| ডেস্ক রিপোর্ট ||

স্পিনারদের জয়জয়কার আর ব্যাটসম্যানদের ব্যর্থতায় বঙ্গবন্ধু জাতীয় ক্রিকেট লিগে (এনসিএল) চারদিনের ম্যাচ শেষ হয়েছে মাত্র পাঁচ সেশনে! দ্বিতীয় স্তরের ম্যাচে বরিশাল বিভাগের বিপক্ষে ইনিংস এবং ৯ রানের ব্যবধানে জয় তুলে নিয়েছে রাজশাহী বিভাগ। সাভারে অবস্থিত বিকেএসপির ৩ নম্বর গ্রাউন্ডে এদিন রেকর্ডের খাতা ওলটপালট করেছেন রাজশাহীর সানজামুল ইসলাম।    

বরিশালের বিপক্ষে বল হাতে যেন উইকেট শিকারের প্রতিযোগিতায় মেতেছিল রাজশাহীর দুই স্পিনার। মাত্র ৩৩ রানের বিনিময়ে ১০ উইকেট শিকার করেছেন সানজামুল। প্রথম ইনিংসে মাত্র ১৮ রানের বিনিময়ে নিয়েছিলেন ৪ উইকেট। দ্বিতীয় ইনিংসে নিজেকেই গেছেন ছাপিয়ে। ৩ রান কম দিয়ে প্রথম ইনিংসের থেকে ২ উইকেট বেশি তুলে নেন।   

সানজামুলের সতীর্থ তাইজুল ইসলাম নিয়েছেন ৮ উইকেট। তবে সানজামুলকে টপকে ম্যাচসেরার পুরষ্কারটা উঠেছে তাইজুলের হাতে। রাজশাহীর হয়ে দশ নাম্বারে ব্যাট করতে নেমে গুরুত্বপূর্ণ ৩৭ রান করেছিলেন তিনি। এই স্পিনারের ৩৭ এ ভর করেই প্রথম ইনিংসে ১৫১ রান তুলতে পেরেছিল রাজশাহী।

অবশ্য তাতে সানজামুলের কি? ম্যাচসেরার পুরষ্কারের বদলে নিজের নামটা লিখিয়ে নিয়েছেন রেকর্ডের পাতায়। এত কম রানে এনসিএলের ইতিহাসে দশ বা দশের বেশি উইকেট শিকারের নজির আর নেই। এর আগের রেকর্ডটা ছিল সিলেট বিভাগের রুয়েল মিয়ার দখলে। দুই মৌসুম আগে চট্টগ্রামের বিপক্ষে ৬৫ রান খরচে ১৩ উইকেট নিয়েছিলেন রুয়েল।

সেবার রুয়েলের বোলিং জাদুতে চট্টগ্রামকে ৯ উইকেটে হারায় সিলেট। দ্বিতীয় স্তরের চ্যাম্পিয়ন হয়ে নিজের দলকে তোলেন প্রথম স্তরে। সানজামুল-রুয়েলের পর এনসিএল ইতিহাসে তৃতীয় সেরা বোলিং ফিগারটা খুলনার আল আমিন হোসেনের। ২০১১ সালে চট্টগ্রাম বিভাগের বিপক্ষে ৮৯ রানে ১২ উইকেট নিয়েছিলেন তিনি।

সানজামুলের রেকর্ড গড়ার ম্যাচে লজ্জার সাক্ষী বরিশাল। দলটির দুই ইনিংস শেষ হয় যথাক্রমে ৮২ এবং ৬০ রানে। সব মিলিয়ে ১৪২। দুই ইনিংস মিলিয়ে প্রথম শ্রেনীর ক্রিকেট ইতিহাসে এটাই সর্বনিম্ন দলীয় সংগ্রহের নজির। এর আগের রেকর্ডটা ছিল বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড (বিসিবি) একাডেমীর নামের পাশে।

২০০৯ সালে বিসিবি একাডেমী জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে খেলতে নেমে এমন লজ্জার মুখে পড়ে। সফরকারীদের বোলিং তোপে মাত্র ১৬৭ রানে অলআউট হয়েছিল তাঁরা। আর ঘরোয়া ক্রিকেটে রেকর্ডটা ছিল চট্টগ্রাম বিভাগের দখলে। ২০১১ সালে এই রাজশাহীর বিপক্ষেই ১৮০ রানে অলআউট হয়েছিল দলটি। যেটাই কিনা ছিল এনসিএলের ইতিহাসে সর্বনিম্ন রানের রেকর্ড।