|| ডেস্ক রিপোর্ট ||
আগামী ৯ এপ্রিল উঠতে যাচ্ছে ইন্ডিয়ান প্রিমিয়ার লিগের (আইপিএল) ১৪তম আসরের পর্দা। করোনার দাপট পাশ কাটিয়ে এই টুর্নামেন্ট আয়োজনে ইতিমধ্যে প্রায় সকল ধরনের ব্যবস্থা নিয়েছে আয়োজকরা। তবে আইপিএলে অংশ নেয়া ক্রিকেটারদের ভ্যাকসিন দেয়া হবে না বলে জানিয়েছে বোর্ড অফ কন্ট্রোল ফর ক্রিকেট ইন ইন্ডিয়া (বিসিসিআই)।
কিছুদিন যাবত গুঞ্জন ছিল যে, আইপিএলের জন্যে ক্রিকেটারদের ভ্যাকসিন দেয়ার ব্যবস্থা করা হবে। তবে বিসিসিআই এক আনুষ্ঠানিক বিবৃতিতে জানিয়ে দিয়েছে যে, ক্রিকেটারদের ভ্যাকসিন দেয়ার কোন ব্যবস্থা রাখা হচ্ছে না। দেশটির সরকার এখনো ভ্যাকসিন বণ্টনে ক্রীড়াবিদদের অন্তর্ভুক্ত করেনি বলেই এমন সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে বলে সংযোজন করেছে বিশ্বের অন্যতম জনপ্রিয় এই ফ্র্যাঞ্চাইজি টুর্নামেন্ট।
বিবৃতিটিতে বলা হয়েছে, ‘ভারতে প্রথম দফায় ভ্যাকসিন পাবে স্বাস্থ্যকর্মী ও সম্মুখ সারির যোদ্ধারা। দ্বিতীয় দফাতে পাবে ৬০ বছরের উর্ধ্বে থাকা নাগরিকরা। এছাড়া ৪৫ থেকে ৫৯ বছর বয়সী অন্য রোগাক্রান্ত নাগরিকরাও দ্বিতীয় দফায় ভ্যাকসিন পাবে। শীর্ষ অ্যাথলেট, ক্রিকেটার বা অন্য গ্রুপের ভারতীয় নাগরিকরা ঠিক কবে নাগাদ ভ্যাকসিন পাবে তা এখনও নিশ্চিত করেনি দেশটির সরকার।’
এ ছাড়া চলমান ভারত-ইংল্যান্ড সিরিজ থেকে আসা ক্রিকেটারদের জন্য আলাদা করে কোয়ারেন্টাইনের নিয়ম পালন করার দরকার নেই বলেও জানিয়েছে আইপিএল আয়োজকরা। তবে সেক্ষেত্রে কিছু নিয়ম মেনে চলতে হবে এই দুই দেশের ক্রিকেটারদের।
‘ভারত এবং ইংল্যান্ড সিরিজের জন্য তৈরি করা জৈব সুরক্ষা বলয় থেকে সরাসরি আসা খেলোয়াড়রা কোন নির্ধারিত মেয়াদ ছাড়াই ফ্রাঞ্চাইজির সঙ্গে যোগ দিতে পারবেন। তবে তাদেরকে টিম বাস বা চার্টার্ড ফ্লাইটে আসতে হবে এবং তা নিশ্চিত করতে হবে। যদি চার্টার্ড ফ্লাইটগুলি ব্যবহার করা হয় তবে কেবিন ক্রু সদস্যদের সমস্ত প্রোটোকল অনুসরণ করতে হবে।’- বিবৃতিতে সংযোজন করা হয়।
যদিও ব্যক্তিগত কারণ-সহ অন্যান্য কারণে যদি কাউকে জৈব সুরক্ষা বলয়ের বাইরে যেতে হয়, তাহলে ফের বলয়ে ঢোকার জন্য সাতদিনের কোয়ারেন্টাইন পর্ব কাটাতে হবে। এই সময়কালের দ্বিতীয়, পঞ্চম এবং সপ্তম দিনে সেই খেলোয়াড়ের আরটি পিসিআর পরীক্ষা হবে। সব টেস্টের ফলাফল নেগেটিভ এলে তবেই তাঁরা আবার জৈব-সুরক্ষা বলয়ে ঢোকার অনুমতি পাবেন।