|| ডেস্ক রিপোর্ট ||
৯৯.৫ ওভারে ৮৭২ রান! এক দিনের ক্রিকেট ইতিহাস বদলে দেওয়া ঐতিহাসিক ‘মিরাকল অব জোহানসবার্গ’ ঘটে আজকের দিনে, ঠিক ১৫ বছর আগে। তবে এখনো রেকর্ডের পাতায় মাথা উঁচু করে দাঁড়িয়ে আছে এই ম্যাচ। রিকি পন্টিং-মাইক হাসিকে টপকে সেদিন ভাগ্যটাকে নিজের করে নিয়েছিলেন সাবেক প্রোটিয়া ক্রিকেটার হার্শেল গিবস। তবে ইতিহাস গড়ার আগের রাতে এই প্রোটিয়া ক্রিকেটার নাকি ব্যস্ত ছিলেন পার্টি করাতে!
পন্টিংয়ের ১৬৪ আর হাসির ৮১ রানে ভর করে অজিদের করা ৪৩৪ এর প্রত্যুত্তরে প্রোটিয়া অধিনায়ক গ্রায়েম স্মিথের ৯০, গিবসের অতিমানবিক ১৭৫ এবং শেষে বাউচারের ঝড়ো ৫০-এ ভর করে দক্ষিণ আফ্রিকা করে ৪৩৮! ইনিংসের ১ বল হাতে রেখেই ১ উইকেটে সিরিজ জিতে নেয় স্বাগতিকরা। অনেক ক্রিকেটবোদ্ধাদের ধারণা, গিবসের সেই ইনিংসই হচ্ছে ক্রিকেট ইতিহাসের সর্বকালের।
যদিও গিবস ছিলেন পার্টি প্রিয় মানুষ। এমনকি সেই ম্যাচের আগের রাতেও ডানহাতি এই ব্যাটসম্যান বাইরে রাত কাটিয়েছিলেন পানশালায়। তাঁর এমন আচরণে বেশ ক্ষুদ্ধ হয়েছিলেন তৎকালীন প্রোটিয়া কোচ এবং অধিনায়ক। তবে সেই ক্ষোভ সব অদৃশ্য হয়ে গিয়েছিল ১১১ বলে ১৭৫ রানের ম্যাচজয়ী ইনিংস শেষে। সেই দলের আরেক সদস্য মাখায়া এনটিনির ধারণা, নিয়মিত পানশালায় যাওয়ার কারণেই এমন ইনিংস খেলা সম্ভব হয়েছিল গিবসের পক্ষে।
স্মৃতি রোমন্থন করতে গিয়ে এমন কথাই জানিয়েছেন এনটিনি। তিনি বলেন, ‘আমরা সবাই তাঁকে চিনতাম। সে এমনই ছিল, যে কিনা চিরকাল সতেজ থাকেন। এমনকি ম্যাচ শেষে তো আমি সকলের সামনেই বলে ফেলি যে, ‘আমাদের উচিত হার্শেলকে প্রতি রাতে পানশালায় যেতে দেয়া।’ সে পুরো রাত পার্টি করেও ১৭৫ রান করে। এমন কিছু করা আসলে কল্পনাতীত।’
‘মিরাকল অব জোহানসবার্গ’ এর অন্যতম সাক্ষী এই প্রোটিয়া পেসার। অজিদের ব্যাটিং তাণ্ডব অনেক বেশিই গিয়েছিল তাঁর ওপর দিয়ে। তবে সেই ম্যাচে বোলার এনটিনির ব্যাট হাতে অবদান ছিল মাত্র ১ রানের। অবশ্য একপ্রান্তে উইকেট আগলে রেখে দলকে জয়ের বন্দরে পৌঁছাতে সেই ১ রানের ভূমিকাও কম ছিল না।