ভারতের ক্রিকেট

গাভাস্কারের মতো হতে চেয়েছিলেন টেন্ডুলকারও!

ক্রিকফ্রেঞ্জি ডেস্ক

ক্রিকফ্রেঞ্জি ডেস্ক
প্রকাশের তারিখ: 12:40 শনিবার, 06 মার্চ, 2021

|| ডেস্ক রিপোর্ট ||

ক্রিকেট বিশ্বের অন্যতম সেরা উদ্বোধনী ব্যাটসম্যান হিসেবে ধরা হয় সুনীল গাভাস্কারকে। আর শচীন টেন্ডুলকার তো ক্রিকেট বিশ্বে লিটল মাস্টার হিসেবেই পরিচিত। সেই শচীনের কাছে সারাজীবনের নায়ক হিসেবে জায়গা করে নিয়েছেন গাভাষ্কার। তার ব্যাটিং দেখে নাকি ক্রিকেটার হতে অনুপ্রাণিত হয়েছেন ব্যাটিং জিনিয়াস। এমনকি সারাজীবন গাভাস্কারের মতোও হতে চেয়েছিলেন তিনি।

১৯৭১ সালের ৬ মার্চ (আজকের দিনে) ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে টেস্ট ক্রিকেটে অভিষেক ঘটে গাভাস্কারের। তখনো পৃথিবীর আলো দেখেননি টেন্ডুলকার। আর গাভাস্কার খেলা ছাড়ার দুই বছর পর আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে অভিষেক ঘটে লিটল মাস্টারের। খুব স্বাভাবিকভাবেই গাভাস্কারের ব্যাটিং দেখা ছিল তখন চোখের প্রশান্তি। হবেই না বা কেন? অভিষেক সিরিজেই গাভাস্কার করেছিলেন ৭৭৪ রান।

খেলোয়াড়ী জীবন শেষ করার আগে তিনিই ছিলেন সর্বাধিকসংখ্যক টেস্ট রান ও সেঞ্চুরির মালিক। যদিও ২০০৫ সালে তার এই রেকর্ড নিজের করে নেন টেন্ডুলকার। তবে দশ হাজার রানের মাইলফলক স্পর্শ করা প্রথম ব্যাটসম্যান কিন্তু এই গাভাস্কারই। ১৯৮৩ এর বিশ্বকাপ আর ১৯৮৫ এর ওয়াল্ড চ্যাম্পিয়নশিপ জয়ী দলের অন্যতম সদস্যও। যে গাভাস্কারের খেলা দেখে শচীনের বড় হয়ে ওঠা তার টেস্ট ক্রিকেটে পদার্পণের ৫০ বছর উপলক্ষে তাকে শুভেচ্ছা জানিয়েছেন টেন্ডুলকার।

স্মৃতির ঝাপি খুলে নিরদ্বিধায় জানিয়েছেন ছোট্ট টেন্ডুলকার বড় হয়ে শচীন টেন্ডুলকার হবার আগে সবসময় একজন সুনীল গাভাস্কারই হতে চেয়েছেন। যদিও ক্যারিয়ার শেষে গাভাস্কারকে ছাড়িয়ে নিজেকে অনন্য এক উচ্চতায় নিয়ে গেছেন টেন্ডুলকার। তবু এখনো টেন্ডুলকারের নায়ক হিসেবে আছেন এই গাভাস্কারই।

টুইটারে টেন্ডুলকার লেখেন, '৫০ বছর আগে এই দিনটিতে, ঝড়ের মতো বিশ্ব ক্রিকেটে তার আবির্ভাব ঘটেছিল। অভিষেকের সিরিজেই তিনি ৭৭৪ রান করেছিলেন এবং আমাদের মতো উদীয়মান ক্রিকেটারদের প্রত্যেকের কাছেই তিনি ছিলেন একজন নায়ক। ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে সেবার সিরিজ জিতেছিল ভারত তারপরে ইংল্যান্ড। আর তখন থেকেই ভারতের ক্রিকেটে এক নতুন উপাখ্যানের জন্ম হতে শুরু করেছিল।'

আরো যোগ করে তিনি বলেন, 'একজন ছোট ছেলে হিসেবে, আমি জানতাম আমার একজনকে অনুসরণ করতে হবে এবং তার মতো হবার চেষ্টা করতে হবে। এটি কখনও বদলয়নি। তিনি এখনো আমার নায়ক হিসাবেই রয়েছেন। আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে পদার্পণে ৫০ বছরের শুভেচ্ছা, জনাব গাভাস্কার। ১৯৭১ সালের দলের প্রত্যেক সদস্যকেই ৫০ তম বার্ষিকীর শুভেচ্ছা। আপনি আমাদের সবাইকে গর্বিত করেছেন এবং আমাদের আলো দেখিয়েছেন।'