|| ডেস্ক রিপোর্ট ||
যুবরাজ সিংহ ও হার্শেল গিবসের নাম উঠলেই মনে পরে এক ওভারে ৬ ছক্কা মারার কথা। ২০০৭ টি–টোয়েন্টি বিশ্বকাপে ইংল্যান্ডের পেসার স্টুয়ার্ট ব্রডের এক ওভারে ছয় ছক্কা মেরেছিলেন যুবরাজ। এরপর সেই বছরই ওয়ানডে বিশ্বকাপে নেদারল্যান্ডসের ডানে ফন বাঞ্জের এক ওভারে ছয় ছক্কা মেরেছিলেন গিবস।
আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে এক ওভারে ছয় ছক্কা মারার তালিকায় সর্বশেষ সংযোজন কাইরন পোলার্ড। স্পিনার আকিলা ধনাঞ্জয়ার এক ওভারে ৬ ছক্কা মেরে এমন কীর্তি গড়েছেন ওয়েস্ট ইন্ডিজের এই অধিনায়ক। ম্যাচ শেষে পোলার্ড জানিয়েছেন, তিনটি ছক্কা মারার পরই নাকি মাথায় ৬ ছক্কা মারার ভূত চেপেছিল।
এক ওভারে ৬ ছক্কা খেয়ে নায়ক থেকে ভিলেন বনে গেছেন ধনাঞ্জয়া। যদিও গল্পটা অন্য রকম হওয়ার কথা ছিল। কারণ আগের ওভারেই এভিন লুইস, ক্রিস গেইল ও নিকোলাস পুরানকে সাজঘরে ফিরিয়ে হ্যাটট্রিক করেন তিনি। টি-টোয়েন্টিতে শ্রীলঙ্কার তৃতীয় বোলার হিসেবে এমন কীর্তি গড়েছেন ডানহাতি এই অফ স্পিনার। এর আগে হ্যাটট্রিক আছে লাসিথ মালিঙ্গা ও থিসারা পেরেরার।
হ্যাটট্রিকের পরের ওভারে এসেই মুদ্রার উল্টো পিঠ দেখতে হলো ধনাঞ্জয়াকে। পোলার্ডের বিপক্ষে একে একে হজম করলেন ৬ বলে ৬ ছক্কা। স্বপ্নের মতো কাটতে যাওয়া রাতটি ততক্ষণে দুঃস্বপ্নে মুড়িয়ে গেছে। নিজের ওপর বিশ্বাস থেকেই এমন কীর্তি গড়তে পেরেছেন বলে জানিয়েছেন পোলার্ড। সেই সঙ্গে দলের জয়ে অবদান রাখতে পেরে খুশি এই ক্যারিবীয় অধিনায়ক।
এ প্রসঙ্গে পোলার্ড বলেন, ‘তিনটে ছক্কা মারার পর আমার মনে হয়েছে এক ওভারে আমি ৬টি ছক্কা মারতে পারব। কয়েকটি ছক্কা মারার পর আমি বুঝতে পেরেছি এই পিচে কিভাবে খেলতে হবে। ইতিবাচক থাকা ও নিজের শট খেলে বাউন্ডারি পার করাটা গুরুত্বপূর্ণ ছিল। আমি খুশি যে সেই সময়টিতে আমি দলের পক্ষে অবদান রাখতে পেরেছি।’
‘ষষ্ঠ বলের আগে আমার মাথায় বেশ কয়েকটি বিষয় এসেছিল। শেষ বলের আগে আমি ভেবেছিলাম যে আমি ছক্কা মারার জন্য যাবো অথবা ওভারে ৩০ রান নেব। সে উইকেটের কাছাকাছি আমার প্যাডে বল করে আর আমি নিজেকে বলেছিলাম অপেক্ষা করো পলি, সুযোগ নাও। আমি এভাবেই আমার ক্রিকেট খেলছি, বিশেষ করে স্পিনারদের বিপক্ষে। দিনটা আমার ছিল, তার জন্য দুর্ভাগ্যজনক। তবে আমাদের দলের জন্য এটি ভালো জয়।’