ভারত-অষ্ট্রেলিয়া সিরিজ

যুবরাজের টোটকায় গিলের সফলতা

ক্রিকফ্রেঞ্জি ডেস্ক

ক্রিকফ্রেঞ্জি ডেস্ক
প্রকাশের তারিখ: 15:29 রবিবার, 24 জানুয়ারি, 2021

|| ডেস্ক রিপোর্ট ||

শুভমান গিলের প্রতিভা নিয়ে কখনোই সংশয় ছিল না। ঘরোয়া ক্রিকেট থেকে আইপিএল এরপর জাতীয় দল, সবখানেই নিজের প্রতিভার পরিচয় দিয়েছেন ভারতের তরুণ এই উদ্বোধনী ব্যাটসম্যান। গিলের প্রতিভার ঝলক মুগ্ধ করেছে ক্রিকেটার বিশ্লেষকদেরও। গ্যাবা টেস্টে তাঁর ৯১ রানের ঝকঝকে ইনিংসটা যতটা আত্মবিশ্বাসে ভরপুর ছিল, স্ট্রোক প্লে ছিল ততটাই আকর্ষণীয়।

২০১৯ সালে নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে গিলের ওয়ানডে ক্রিকেটে অভিষেক হয়। কিন্তু টেস্ট ক্রিকেট তাঁর অভিষেক ঘটতে সময় লেগেছে ২ বছর। অস্ট্রেলিয়ার সেই সুযোগ পেয়েই ৩ টেস্টে ৫১.৮০ গড়ে করেছেন ২৬৫ রান। টেস্টে ক্যারিয়ারের প্রথম তিন টেস্টেই এ ধরণের পারফরম্যান্সের পিছনে ভারতের সাবেক বাঁহাতি ব্যাটসম্যান যুবারাজের সিংয়ের ভূমিকার কথা স্বীকার করেছেন গিল নিজেই।

ইন্ডিয়ান প্রিমিয়ার লিগের (আইপিএল) ১৩তম আসর শুরুর আগে যুবরাজের সঙ্গে একটি ক্যাম্প করার সৌভাগ্য হয়েছিল গিলের। সেই ক্যাম্পে অস্ট্রেলিয়ার উইকেটে সহজাত ব্যাটিং করার টোটকা দিয়েছিলেন যুবরাজ। এমনকি বিভিন্ন কোণ থেকে এই ২১ বছর বয়সী ব্যাটসম্যানকে শত শত শর্ট পিচ বল নিক্ষেপ করে ব্যাটিং অনুশীলন করিয়েছিলেন তিনি। আর এটাই অস্ট্রেলিয়ার মাটিতে সফল হতে সাহায্য করেছে গিলকে।

এ প্রসঙ্গে তিনি বলেন, 'আইপিএলের আগে যুভি পাজির (যুবরাজ) সঙ্গে ক্যাম্পটি আমার জন্য খুবই কার্যকর ছিল। ঐ ক্যাম্পের সময় তিনি আমাকে অস্ট্রেলিয়ান বোলারদের মুখোমুখি হওয়ার জন্য প্রস্তুত করেছিলেন। তিনি বিভিন্ন কোণ থেকে আমার কাছে কয়েক শত শর্ট-পিচ বল নিক্ষেপ করে অনুশীলন করিয়েছিলেন। আমি মনে করি এটি আমাকে অনেক সাহায্য করেছে।'

বোর্ডার-গাভাস্কার ট্রফির পঞ্চম টেস্টের দ্বিতীয় ইনিংসে নড়বড়ে নব্বই রানে আউট হয়েছিলেন গিল। ভারতের হয়ে অভিষেক হওয়ায় তিনি কিছুটা স্নায়ুচাপে ভুগছিলেন। যে কারণে ক্যারিয়ারের প্রথম সেঞ্চুরির কাছে গিয়েও ব্যর্থ হয়েছেন গিল। তবে বর্তমানে বেশ নির্ভার আছেন এই তরুণ ক্রিকেটার। অস্ট্রেলিয়ার মাটিতে ঐ সিরিজের শিক্ষা তাকে আরো পরিণত করেছে বলেও জানান তিনি।

গিল বলেন, 'আমি এখন অনেকটা নির্ভার। ভারতের হয়ে আমার অভিষেক হওয়াটা বড়ই স্বস্তিদায়ক। আমি কিছুটা স্নায়ুচাপে ভুগছিলাম। একটি সেঞ্চুরি বিশেষ কিছু হতে পারে। আমি প্রতিজ্ঞ ছিলাম এবং আমার সেঞ্চুরি করা উচিত ছিল। তবে একই সঙ্গে আমিও খুশি যে দলের জয়ে অবদান রেখেছি। এই সিরিজটি আমার কাছে বড় শিক্ষার বিষয় ছিল এবং আমি আরও ভাল ক্রিকেটারে পরিণত হয়েছি।'