প্রিয় প্রতিপক্ষকে পেয়েই নিজেকে ফিরে পেলেন মিরাজ

আবিদ মোহাম্মদ

আবিদ মোহাম্মদ
প্রকাশের তারিখ: 19:36 শুক্রবার, 22 জানুয়ারি, 2021

|| ক্রিকফ্রেঞ্জি করেসপন্ডেন্ট ||

ওয়ানডে ফরম্যাটে মেহেদি হাসান মিরাজের ৫ উইকেট নেই একবারও। ওয়েস্ট ইন্ডিজকে পেয়ে ৪ উইকেট নিলেন দ্বিতীয়বার। শেষবার ৪ উইকেট নিয়েছিলেন ২৯ রানে। এবার মিরাজ খরচ করলেন ২৫ রান। ক্যারিয়ার সেরা বোলিং ফিগার অর্জনের দিন ডানহাতি এই স্পিনার পেলেন ম্যাচ সেরার পুরস্কারও।

সিরিজ শুরুর আগে অবশ্য নিজেকে খুঁজে বেড়াচ্ছিলেন মিরাজ। প্রথম ওয়ানডের এক উইকেট ছাড়া সবশেষ ১০ ওয়ানডেতে এই অফ স্পিনার নিয়েছিলেন মাত্র ৬ উইকেট, পাঁচটিতেই ছিলেন উইকেটশূন্য। তবে প্রিয় প্রতিপক্ষকে পেয়েই যেন নিজেকে মেলে ধরলেন ২৩ বছর বয়সী এই ক্রিকেটার।

ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে এখন পর্যন্ত মত ১২ ওয়ানডেতে মিরাজের শিকার ১৭ উইকেট। দেশের মাটিতে ৫ ম্যাচে নিয়েছেন ১১টি। ২২ টেস্টে ৯০ উইকেট নেয়া এই স্পিনার ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে ৪ টেস্টে ২৫ উইকেট। দেশের মাটিতে ২ টেস্টে নিয়েছেন ১৫ উইকেট।

তিন সংস্করণ মিলিয়ে দেশের মাটিতে ক্যারিবিয়ানদের বিপক্ষে ১০ ম্যাচে এখন পর্যন্ত মিরাজের উইকেট ২৭টি। ম্যাচ শেষে পুরষ্কার বিতরণী অনুষ্ঠানে মিরাজ বলেন, 'আপনারা জানেন আমি গত ম্যাচে ভালো বল করিনি। এই ম্যাচে দারুণভাবে ঘুরে দাড়িয়েছি। এটা টিম ম্যানেজমেন্ট এবং অভিজ্ঞ ক্রিকেটারদের সঙ্গে আলোচনার ফল।'

'আমি তিন ওভার বা তার বেশি সংক্ষিপ্ত স্পেলে বোলিং করেছি। রিয়াদ ভাই [মাহমুদউল্লাহ] এবং আমাদের স্পিন বোলিং কোচের সঙ্গে আলোচনা করেছি। তামিম ভাই অভিজ্ঞ লোক, আমরা বিপিএলে একসঙ্গে খেলেছি। তিনি সর্বদা আমাকে সমর্থন জুগিয়েছেন।'

মিরাজের ম্যাচ সেরা হওয়ার দিন ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে সিরিজ জয়ের হ্যাটট্রিক করেছে বাংলাদেশ। ২০১৮ সালে টানা দুবার ক্যারিবীয়দের বিপক্ষে সিরিজ জিতেছিল টাইগাররা। এবার ২০২১ সালেও এক ম্যাচ হাতে রেখে ওয়ানডে সিরিজ জিতে নিয়ে দ্বিপাক্ষিক সিরিজ জয়ের হ্যাটট্রিক করে তামিম ইকবালের দল।

এই নিয়ে ৫ বার ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে সিরিজ জিতল বাংলাদেশ। সর্বপ্রথম ২০০৯ সালে তাদের মাটিতে ক্যারিবিয়ানদের হোয়াইটওয়াশ করেছিল বাংলাদেশ। ২০১২-১৩ সালে ঘরের মাঠেও গেইল-স্যামুয়েলসদের বিপক্ষে ৩-২ ব্যবধানে সিরিজ জিতেছিল লাল-সবুজের দলটি।

মিরপুর শের এ বাংলা জাতীয় ক্রিকেট স্টেডিয়ামে শুক্রবার ওয়েস্ট ইন্ডিজকে ৭ উইকেটে হারিয়েছে বাংলাদেশ। ১৪৯ রানের মামুলি লক্ষ্যে তামিম ইকবালের হাফ সেঞ্চুরিতে ৩৩.২ ওভারেই জয়ের লক্ষ্যে পৌঁছে যায় স্বাগতিকরা। সর্বোচ্চ ৫০ রান আসে অধিনায়কের ব্যাট থেকে। সাকিব অপরাজিত থাকেন ৪৩ রানে।

এর আগে প্রথমে ব্যাট করা ক্যারিবীয়ান ব্যাটসম্যানদের আসা যাওয়া দেখে মনে হচ্ছিল ১০০ রানও ছুঁতে পারবে না দলটি। কিন্তু রভমান পাওয়েল এবং টেল এন্ডার ব্যাটসম্যানদের ছোট ছোট সংগ্রহে দেড়শর কাছাকাছি পুঁজি পায় সফরকারীরা।

দ্বিতীয় ওয়ানডেতে প্রথমে ব্যাট করে ৪৩.৪ ওভারে জেসন মোহাম্মদের দল অল আউট হয়েছে ১৪৮ রানে। দলটির সর্বোচ্চ স্কোরার পাওয়েল (৪১)। ৯.৪ ওভারে ২৫ রানে ৪ উইকেট নেন মেহেদি হাসান মিরাজ। মুস্তাফিজ এবং সাকিব নেন ২টি উইকেট।