সাত নম্বরে আফিফ-মিঠুনদের সঙ্গে সৌম্যর লড়াই

ক্রিকফ্রেঞ্জি ডেস্ক

ক্রিকফ্রেঞ্জি ডেস্ক
প্রকাশের তারিখ: 14:26 মঙ্গলবার, 19 জানুয়ারি, 2021

|| ক্রিকফ্রেঞ্জি করেসপন্ডেন্ট ||

বাংলাদেশ দলে একজন ফিনিশারের অভাবটা নতুন নয়। এই জায়গাটা নিয়ে বেশ কয়েক বছর ধরেই ভুগছে টাইগাররা। গেল কয়েক বছরে বেশ কয়েকজনকে চেষ্টা করা হলেও কেউ স্থায়ীভাবে জায়গা করে নিতে পারেননি। ভারতের মাটিতে অনুষ্ঠেয় ২০২৩ ওয়ানডে বিশ্বকাপকে সামনে রেখে ব্যাটিং পজিশন নিয়ে কাজ শুরু করছে টিম ম্যানেজম্যান্ট।

সেটার ইঙ্গিত মিলেছে প্রধান কোচ রাসেল ডমিঙ্গোর কথায়। সৌম্যকে সাতে খেলানোর কথা ভাবছে টিম ম্যানেজম্যান্ট। ম্যাচের দুদিন আগে এমন কথা জানিয়ে দেয়ায় অনেকেই অবাক হয়েছেন। তবে বিষয়টি ৪-৫ মাস আগে সৌম্যকে অবগত করা হয়েছিল বলে জানিয়েছেন তামিম ইকবাল।

এ প্রসঙ্গে তামিম বলেন, ‘সাতে কে খেলতে পারে কোচ গতকালই তার একটা ইঙ্গিত দিয়েছেন। এই কথাটা তাকেও (ব্যাটসম্যান) প্রায় ৪ থেকে ৫ মাস আগে জানিয়ে দেওয়া হয়েছিল। এটা এমন একটা জায়গা যেখানে আমরা এখন পর্যন্ত উপযুক্ত নির্দিষ্ট একজন ব্যাটসম্যান পাইনি, গত ৪ থেকে ৫ বছর যদি দেখেন।’

২০২৩ বিশ্বকাপে ৭ নম্বরে একজন ক্লিন হিটার প্রয়োজন বাংলাদেশের। সেই পরিকল্পনার অংশ হিসেবেই সৌম্যকে মিডল অর্ডারে পরখ করে দেখতে চায় টিম ম্যানেজম্যান্ট। টিম ম্যানেজম্যান্ট মনে করেন এই জায়গায় তিনি সফল হতে পারেন।

৪-৫ মাস আগে সৌম্যকে পরিকল্পনার কথা জানানো হলেও করোনাকালীন বিসিবি প্রেসিডেন্টস কাপ এবং বঙ্গবন্ধু টি-টোয়েন্টি কাপে দেখা গেছে ভিন্ন চিত্র। দুইটি টুর্নামেন্টেই উদ্বোধনী ব্যাটসম্যান হিসেবে খেলেছেন তিনি। যেটা তিনি সচারাচর করে থাকেন। ফিনিশার হিসেবে স্থায়ী হতে মোহাম্মদ মিঠুন, আফিফ হোসেন ধ্রুবসহ আরও ৩/৪ জনের সঙ্গে লড়াই করতে হবে তাঁকে। এমনটাই জানিয়েছেন ওয়ানডে অধিনায়ক।

এ প্রসঙ্গে তামিমের ভাষ্য, ‘সৌম্যকে আমরা এই কথাটা বলেছিলাম প্রেসিডেন্টস কাপের আগেই যে আমরা চাই তুমি এই জায়গায় ব্যাটিং করো। তাকে বলা হয়েছিল সেইজন্য মানসিক ও দক্ষতা উভয় দিক দিয়েই প্রস্তুত হতে। তাই আমাদের জন্য এটা কোনো নতুন ব্যাপার নাহ, আপনাদের জন্য চমকপ্রদ হতে পারে। কিন্তু আমাদের ভেতরে আগে থেকেই জানা ছিল এবং সে নিজেও জানত প্রায় ৪ থেকে ৫ মাস আগেই। তাছাড়া শুধু সৌম্য না, এখানে মিঠুন, আফিফ, ৩/৪ জন আছে।’