ফেব্রুয়ারির পর ঘরোয়া ক্রিকেট ফেরাতে চায় বিসিবি

|| ক্রিকফ্রেঞ্জি করেসপন্ডেন্ট ||

বিসিবি প্রেসিডেন্টস কাপ ও বঙ্গবন্ধু টি-টোয়েন্টি কাপ দিয়ে করোনাভাইরাসের প্রকোপের মধ্যেই ঘরের মাঠে প্রতিযোগিতামূলক ক্রিকেট ফিরিয়েছে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড (বিসিবি)। সদ্য সমাপ্ত এই টুর্নামেন্ট দুইটি শেষে এবার আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে ফিরতে যাচ্ছে বাংলাদেশ। ঘরের মাঠে যার শুরুটা হচ্ছে ওয়েস্ট ইন্ডিজকে দিয়ে।

প্রতিযোগিতামূলক ক্রিকেট ফেরালেও এখনও ঘরোয়া ক্রিকেট ফেরাতে পারেনি বিসিবি। তবে ফেব্রুয়ারির পরে ঘরোয়া টুর্নামেন্টগুলো ফেরাতে চায় বিসিবি। তবে ঘরোয়া ক্রিকেট শুরুর আগে ক্রিকেটারদের জন্য ভ্যাকসিন নিশ্চিত করতে চায় তাঁরা। শনিবার (১৬ জানুয়ারি) এমনটাই জানিয়েছেন বিসিবির মিডিয়া কমিটির চেয়ারম্যান জালাল ইউনুস।

গেল বছরের ১৫ মার্চ শুরু হয়েছিল বঙ্গবন্ধু ঢাকা প্রিমিয়ার লিগ (ডিপিএল)। তবে করোনার প্রাদুর্ভাবে এক রাউন্ড পরই তা স্থগিত করতে বাধ্য হয়েছিল বিসিবি। এরপর আর মাঠে গড়ায়নি স্থগিত হওয়া ডিপিএলের বাকি অংশ। তবে এটি শুরু নিয়ে বেশ আশাবাদী তারা। ডিপিএলের ফেরানোর সঙ্গে প্রথম শ্রেণির ক্রিকেট ও জাতীয় লিগও ফেরাতে চায় বিসিবি।

এ প্রসঙ্গে জালাল বলেন, ‘আমাদের ঘরোয়া খেলা যেগুলো বাকি আছে প্রিমিয়ার লিগসহ একটা ম্যাচ হওয়ার পরে বন্ধ হয়ে গিয়েছিল করোনা কারণে। এটা আমাদের শুরু করার চিন্তাভাবনা আছে। তারপরে প্রথম শ্রেণির ক্রিকেট, জাতীয় লিগ অনেক খেলা বাকি আছে ঘরোয়ার।’

‘ওইগুলো আসলে আমরা চেষ্টা করব যদি আমরা ফেব্রুয়ারি মাসের পরে যেটা আমাদের মাননীয় সভাপতি বলেছেন যে উনি প্রায়োরিটি দিলে, খেলোয়াড়দের ভ্যাকসিনের ব্যবস্থা করবেন। তাঁদের সঙ্গে আলোচনা করবেন, আমরা যদি ব্যবস্থা করতে পারি তাহলে অবশ্যই খেলোয়াড়দেরকে আমরা ভ্যাকসিনেশনের আওতা এনে আমরা ঘরোয়া খেলাগুলো শুরু করে দেবো,' তিনি আরও যোগ করেন।

বাংলাদেশের পরবর্তীতে সিরিজগুলো শুরুর আগে ভ্যাকসিন নিশ্চিত করতে চায় বিসিবি। ভ্যাকসিনের জন্য বিসিবি সভাপতি ব্যক্তিগতভাবে চেষ্টা চালাচ্ছেন বলে জানিয়েছেন জালাল। এ প্রসঙ্গে তাঁর ভাষ্য, ‘আমি যেটা বললাম সরকার একটা প্রায়োরিটি সেট করেছে আপনারাও জানেন। আপনারাও খবর পেয়েছেন কারা পাবে আগে। করোনায় যারা কাজ করছেন, ফ্রন্টলাইনার যারা তারা আগে পাবেন। এভাবে কিছু প্রায়োরিটি সেট করা হয়েছে।’

তিনি আরও বলেন, ‘সরকারের প্রায়োরিটি মতো খেলোয়াড়েরাও আছে। কখন পাব এটা এখনও কনফার্ম হইনি কিন্তু আমরাও জোর চেষ্টা চালাব যাতে আমাদের যারা জাতীয় দলের খেলোয়াড়েরা আছে, সামনে আমাদের সিরিজ আছে ওইগুলো তার আগে যদি আমরা দিতে পারি এটা আমরা আবেদন করব তার কাছে। আমাদের বোর্ড সভাপতি ব্যক্তিগতভাবে চেষ্টা করছেন ভ্যাকিসিনের জন্য।’