বিগ ব্যাশ

করোনা বিধি ভেঙ্গে বিগ ব্যাশে নিষিদ্ধ লিন ও লরেঞ্জ

ক্রিকফ্রেঞ্জি ডেস্ক

ক্রিকফ্রেঞ্জি ডেস্ক
প্রকাশের তারিখ: 15:41 মঙ্গলবার, 15 ডিসেম্বর, 2020

|| ডেস্ক রিপোর্ট ||

দুঃসংবাদ যেন পিছুই ছাড়ছেনা বিগ ব্যাশের দল ব্রিসবেন হিটের। টুর্নামেন্ট শুরুর আগে মুজিব উর রহমানের করোনা পজিটিভ হওয়ার সংবাদ পেয়েছিলো তারা। যদিও তিনি সুস্থ হয়ে ইতোমধ্যে দলের সঙ্গে যোগ দিয়েছেন। এরপর দল হিসেবে বড় অঙ্কের জরিমানার পাশাপাশি তাদের অধিনায়ক ক্রিস লিন ও ইংলিশ অলরাউন্ডার ড্যান লরেঞ্জের টুর্নামেন্টে নিষেধাজ্ঞা যেন বড় দুসংবাদ হয়ে এলো। জৈব সুরক্ষা বলয় ভাঙায় এই শাস্তি পেতে হচ্ছে তাদের।

শনিবার (১৩ডিসেম্বর) ক্যানবেরায় সিডনি থান্ডার্সের বিপক্ষে ম্যাচের আগের রাতে করোনা জৈব সুরক্ষা বলয় ভেঙে শিরোনাম হয়েছিলেন লিন ও লরেঞ্জ । লিন যদিও ভুল বুঝে ক্ষমা চেয়েছিলেন সতীর্থ, কর্মকর্তাসহ সকলের কাছে । ক্ষমা চাওয়ার পরেও বড় জরিমানা গুণতে হচ্ছে হিটসহ এই দুইজন খেলোয়াড়ের। একই সঙ্গে টুর্নামেন্টের বাকি অংশে নিষেধাজ্ঞা পেয়েছেন তারা দুজন।

কোভিড -১৯ নির্দেশনা লঙ্ঘনের জন্য ব্রিসবেন হিটকে ইতোমধ্যেই ৫০,০০০ অস্ট্রেলিয়ান ডলার জরিমানা করা হয়েছে। লিন ও লরেঞ্জকে ক্রিকেট অস্ট্রেলিয়ার কোড অফ কন্ডাক্টের ২.২৩ ধারাতে দোষী সাব্যস্ত করা হয়েছে। যে কারণে লিনকে ১০,০০০ অস্ট্রেলিয়ান ডলার ও লরেঞ্জকে ৪০০০ অস্ট্রেলিয়ান ডলার জরিমানা করেছে তারা। সেই সঙ্গে নিষিদ্ধ হয়েছেন টুর্নামেন্টের বাকি অংশে। তাঁরা দুইজনই এই শাস্তি মেনে নিয়েছেন। আর এ কারণেই টুর্নামেন্টের বাকি অংশে দেখা যোবে না তাকে।

কুইন্সল্যান্ড ক্রিকেটের প্রধান নির্বাহী টেরি স্ফেনসন নিশ্চিত করেছিলেন তাঁরা ক্রিকেট অস্ট্রেলিয়ার (সিএ) সঙ্গে এই বিষয় সমাধানের জন্য কাজ করবে। লিন নিজের ভুল বুঝতে পেরে থান্ডারের বিপক্ষে ম্যাচে খেলার অনুমতি চাইলে শর্ত সাপেক্ষে তা দেয়া হয়েছিল। ম্যাচের আগে তাদের দুজনকে আলাদাভাবে প্রস্তুতি নিয়ে, আলাদা পরিবর্তন কক্ষ ব্যবহার করতে হয়েছে। একই সঙ্গে দলের কোন খেলোয়াড় বা কর্মকর্তার কাছাকাছি যেতে পারেননি তারা। থান্ডারের বিপক্ষে খেললেও দলকে জেতাতে পারেনি তারা।

করোনা সুরক্ষা বলয় ভেঙে ক্রিকেটে নিষিদ্ধ হওয়ার ঘটনা এটিই প্রথম। ইতোমধ্যেই নারী বিগব্যাশ ও অস্ট্রেলিয়া- ভারতের বিপক্ষে রঙিন পোশাকের সিরিজ হলেও এমন কোন ঘটনা ঘটেনি। আর একারণেই লিনদের ঘটনাটি কম ঝুঁকিপুর্ণ অঞ্চলে ঘটলেও এ বিষয়ে আপোষ করবেন না বলে জানিয়েছেন সিএ সুরক্ষা ও নিরাপত্তা দলের প্রধান শেন ক্যারোল।

এ প্রসঙ্গে তিনি বলেন,'মেডিক্যালি, এই নির্দিষ্ট লঙ্ঘনটি কম ঝুঁকিপূর্ণ ছিল। তবে এই ধরণের কাজ পরবর্তীতে আমাদের কঠোর জৈব-সুরক্ষা বলয় নীতির প্রতি অখণ্ডতা এবং আত্মবিশ্বাসের প্রতি আপোষ করার সম্ভাবনা রয়েছে। সম্ভাব্য কোভিড -১৯ হটস্পট এবং রাজ্য সীমান্তগুলিতে সম্পর্কিত প্রভাব লিগের জন্য চ্যালেঞ্জ হিসাবে রয়ে গেছে। দেশজুড়ে ঘুরে টুর্নামেন্টের পূর্ণ সূচি বাস্তবায়নের জন্য আমাদের সমস্ত নিয়মনীতি মেনে চলা জরুরি।'

তিনি আরও বলেন, 'বর্তমান যদিও অস্ট্রেলিয়ায় কোভিড-১৯ সংক্রমণের মাত্রা কম। কিন্তু আমাদের খেলোয়াড়, কর্মকর্তাদের ঝুঁকিমুক্ত রাখতে উপযুক্ত ব্যবস্থা নিশ্চিত করতে হবে। রাজ্য সরকারগুলোর বিচ্ছিন্নতা প্রয়োগ এবং ঘোষিত হট স্পটগুলোতে সীমানা অতিক্রমের বিধিনিষেধ ভাঙ্গা জড়িত ব্যক্তিদের, দলকে এবং বিবিএল মৌসুমকে হুমকিতে ফেলতে পারে।’

লিন আগেই স্বীকার করেছিলেন যে, টুর্নামেন্টের অনুমোদনপ্রাপ্ত মাঠের দর্শকের সাথে ছবি উঠানো ও ট্যাক্সিতে চড়া তাঁর কাছে কম ঝুঁকিপূর্ণ মনে হয়েছিলো। জৈব সুরক্ষা বলয়ের কঠোর নিয়মের সম্পর্কে নিজের ভুল ধারণাকেও দায়ী করেছেন। নিজের ও সতীর্থ লরেঞ্জের হয়ে ক্ষমাও চেয়েছেন তিনি।

লিন এ প্রসঙ্গে বলেন, 'টুর্নামেন্টের নিরাপত্তা বিষয়ে উদাসীনতার জন্য আমি আমার সতীর্থ, ক্লাব ও হিট সমর্থকদের কাছে ক্ষমাপ্রার্থনা করছি। ঘনিষ্ঠ যোগাযোগ এড়ানোর মত নিয়মগুলো বিবিএল টুর্নামেন্টকে সফল একই সঙ্গে সব খেলোয়াড় ও দলের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে প্রণয়ন করা হয়েছে। আমার কারণে সকলের নিরাপত্তা ঝুঁকির কারণে আমি আন্তরিকভাবে দুঃখিত।'