|| ডেস্ক রিপোর্ট ||
অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে টি-টোয়েন্টি সিরিজের প্রথম ম্যাচে মিচেল স্টার্কের এক বাউন্সার রবীন্দ্র জাদেজার হেলমেটে লাগলে মাথায় আঘাত পেয়ে মাঠ ছাড়েন তিনি। দ্বিতীয় ইনিংসে মাঠে নামার মতো অবস্থায় না থাকায় তাঁর ‘কনকাশন সাব’ হিসেবে মাঠে নামেন যুবেন্দ্র চাহাল।
মজার বিষয় হলো জাদেজার হেলমেটে আঘাতের পর তার ইনজুরি কতোটা গুরুতর সেটি দেখতে মাঠে আসেননি কোনো চিকিৎসক। সেই সঙ্গে উপস্থিতি ছিল না কোনো ফিজিও। তাঁর পর থেকেই ভারতের এই কনকাশন সাব নিয়ে শুরু হয় সমালোচনা। ভারতের সাবেক ক্রিকেটার সুনিল গাভাস্কারও অবশ্য মনে করেন, যারা ভালো বাউন্সার খেলতে পারে না তারা কনকাশন সাব পাওয়ার যোগ্য না।
এ প্রসঙ্গে গাভাস্কার বলেন, ‘কনকাশন সাব এর ব্যাপারটার সঙ্গে আমি একমত নই। সম্ভবত এটি পুরোনো ফ্যাশন। আমি সবসময় বিশ্বাস করে যে, আপনি যদি ভালো বাউন্সার খেলতে না পারেন আর বল যদি আপনার হেলমেটে আঘাত করে তাহলে আপনি কনকাশন সাব পাওয়ার যোগ্য না।’
সাধারণত আইসিসির নিয়ম অনুযায়ী কোনো ক্রিকেটার খেলা চলাকালীন মাথায় আঘাত পেলে তার পরিবর্তে অন্য একজনকে নামানো যাবে। তবে ব্যাটসম্যানের পরিবর্তে ব্যাটসম্যানকে নামাতে হবে, বোলারের পরিবর্তে বোলার।
জাদেজা ছিলেন অলরাউন্ডার। সেই হিসেবে তার পরিবর্তে নামানোর কথা ছিল আর একজন অলরাউন্ডারকে। কিন্তু তা না করে বোলিংয়ের সময় চাহালকে দিয়ে বোলিং করিয়েছে ভারত। হিসেবে দুইজনকেই ব্যবহার করেছে দলটি। যে কারণে ক্ষেপেছে অস্ট্রেলিয়ানরা। তবে গাভাস্কার অবশ্য বলছেন ভিন্ন কথা।
এ প্রসঙ্গে গাভাস্কার বলেন, ‘এই মুহূর্তে এটি অনুমোদিত হয়েছে। সবকিছুই খেলার নিয়ম অনুযায়ী করা হয়েছে। রবীন্দ্র জাদেজার পরিবর্তে চাহালের খেলা নিয়ে কোন সমস্যা দেখছি না।’
তিনি আরও বলেন, ‘তারা সাধারণত একই ধরনের কথা বলে থাক। আপনি এটা নিয়ে তর্ক করতে পারেন চাহাল অলরাউন্ডার নন। কিন্তু যে ব্যাট করতে নেমে ১ রান বা ১০০ রান করতে পারে তাকেই অলরাউন্ডার বলতে পারি। তাই এটা নিয়ে আমি উদ্বিগ্ন। সুতরাং এটি বিকল্পের মতো। এটি নিয়ে অস্ট্রেলিয়ান ম্যাচ রেফারিরও আপত্তি ছিল না। তাই এটি নিয়ে কথা বলাটা আমার ভালো লাগছে না।’
ওয়ানডে সিরিজ হারলেও টি-টোয়েন্টি সিরিজে ঘুরে দাঁড়িয়েছে ভারত। প্রথম টি-টোয়েন্টি ম্যাচে অস্ট্রেলিয়াকে ১১ রানে হারিয়ে তিন ম্যাচের সিরিজে ১-০ তে এগিয়ে গেছে তারা।