বঙ্গবন্ধু টি-টোয়েন্টি কাপ

বৃথা গেল রাব্বির লড়াই, ঢাকার দ্বিতীয় জয়

ক্রিকফ্রেঞ্জি ডেস্ক

ক্রিকফ্রেঞ্জি ডেস্ক
প্রকাশের তারিখ: 22:39 শুক্রবার, 04 ডিসেম্বর, 2020

|| ক্রিকফ্রেঞ্জি করেসপন্ডেন্ট ||

বঙ্গবন্ধু টি-টোয়েন্টি কাপের শুরুটা ভালো করলেও মাঝপথে এসে যেন খেই হারিয়ে ফেলেছে মিনিস্টার রাজশাহী। প্রথম দুই ম্যাচে টানা জয় পেলেও নিজেদের শেষ তিন ম্যাচে হারলো তারা। বেক্সিমকো ঢাকার বিপক্ষে ৪০ বলে ৫৮ রান করে দলের জন্য লড়াই করলেও দলকে জয় এনে দিতে পারেনি। তাতে মুক্তার আলীর বোলিং তাণ্ডবে রাজশাহীকে ২৫ রানে হারিয়ে নিজেদের দ্বিতীয় জয় তুলে নেয় ঢাকা।

জয়ের জন্য ১৭৬ রানের লক্ষ্যে খেলতে নেমে শুরু থেকেই ধুঁকতে হয় রাজশাহীকে। দলীয় মাত্র ১৫ রানে টপ অর্ডারের তিন ব্যাটসম্যানকে হারায় তারা। অধিনায়ক নাজমুল হোসেন শান্ত মাত্র ৫ রান করে সাজঘরে ফেরেন। পরের ওভারেই ৬ রান করে প্যাভিলিয়নের পথে হাঁটেন গেল ম্যাচে হাফ সেঞ্চুরি করা আনিসুল ইসলাম ইমন।

চলতি টুর্নামেন্টে বরাবরের মতোই এদিন ব্যর্থ মোহাম্মদ আশরাফুল। ৮ বলে মাত্র ১ রান করে ফিরে গেছেন বাংলাদেশের সাবেক এই অধিনায়ক। টপ অর্ডারের তিন ব্যাটসম্যানের বিদায়ের পর দলের হাল ধরেন ফজলে রাব্বি এবং রনি তালুকদার। তাদের ৬৭ রানের অনবদ্য জুটিতে আঘাত হানেন মুক্তার। 

২৪ বলে ৪০ রানের দুর্দান্ত ইনিংস খেলে মুক্তারের বলে রনি ফিরে গেলে জয়ের স্বপ্ন ধুলিসাৎ হতে থাকে রাজশাহীর। তবে তাদের জয় স্বপ্ন জিইয়ে রেখেছিলেন রাব্বি। তবে ৫৮ রানে মুক্তারের বলে কাটা পড়লে ম্যাচ থেকে ছিটকে যেতে থাকে তারা। এদিন অবশ্য থিতু হতে পারেনি মাহেদী হাসান, নুরুল হাসান সোহানরা।

সোহানের বিদায়ের পর ফরহাদ রেজা টানা দুই বলে দুই ছক্কা মারলে মনে হচ্ছিলো আরও একবার ঘুরে দাঁড়াবে রাজশাহী। তবে তা হতে দেননি রাজশাহীর গলার কাটা হয়ে দাঁড়ানো মুক্তার। এরপর শান্তর দলের হার ছিল কেবলই সময়ের ব্যাপার। শেষ পর্যন্ত ১৯.১ ওভারে ১৫০ রানে থামে রাজশাহীর ইনিংস। ঢাকার হয়ে ৩৭ রানে সর্বোচ্চ ৪ উইকেট নেন মুক্তার।

এর আগে টসে হেরে ব্যাট করতে নেমে শুরুটা ভালো করতে পারেনি বেক্সিমকো ঢাকা। বঙ্গবন্ধু টি-টোয়েন্টি কাপের শুরু থেকেই টপ অর্ডার নিয়ে ধুঁকছে দলটি। মিনিস্টার রাজশাহীর বিপক্ষে তারা ওপেনিং নিয়ে পরীক্ষা নিরিক্ষা চালিয়েছে।

যে কারণেই নাইম শেখের সঙ্গে এদিন ইনিংসের গোড়াপত্তন করতে নামেন নাইম হাসান। তবে খুব বেশি ভালো করতে পারেননি তিনি। দলীয় তিন রানে নাইম সাজঘরে ফেরার পর ৯ রান করে ফিরে যান আরেক ওপেনার নাইম শেখও। তানজিদ হাসান ২ রান করে এবং ২৯ বলে ৩৭ রান করা মুশফিকুর রহিম ফিরে গেলে ব্যাটিং বিপর্যয়ে পড়ে ঢাকা।

যদিও সেই বিপর্যয় কাটিয়ে দলকে বড় সংগ্রহ এনে দেন ইয়াসির আলী রাব্বি এবং আকবর আলী। ৩৯ বলে রাব্বির ৬৭ এবং ২৩ বলে আকবরের ৪৫ রানের ‍সুবাদে রাজশাহীর বিপক্ষে নির্ধারিত ২০ ওভারে ৫ উইকেটে ১৭৫ রানের পুঁজি পায় মুশফিকের দল। রাজশাহীর হয়ে ৩৮ রানে দুটি উইকেট নেন মুকিদুল ইসলাম মুগ্ধ।

সংক্ষিপ্ত স্কোরঃ

বেক্সিমকো ঢাকাঃ ১৭৫/৫ (২০ ওভার) (মুশফিক ৩৭, ইয়াসির ৬৭, আকবর ৪৫*; মুকিদুল ২/৩৮)
মিনিস্টার রাজশাহীঃ ১৫০/১০ (১৯.১ ওভার) (ফজলে রাব্বি ৫৮, রনি তালুকদার ৪০, মুক্তার আলী ৪/৩৭)