বঙ্গবন্ধু টি-টোয়েন্টি কাপ

শেষ ওভারের রোমাঞ্চে চট্টগ্রামের চারে চার

ক্রিকফ্রেঞ্জি ডেস্ক

ক্রিকফ্রেঞ্জি ডেস্ক
প্রকাশের তারিখ: 16:23 বুধবার, 02 ডিসেম্বর, 2020

|| ক্রিকফ্রেঞ্জি করেসপন্ডেন্ট ||

শেষ ওভারে জিততে ১৪ রান প্রয়োজন ছিল মিনিস্টার রাজশাহীর। বোলিং করতে এসে নিজের প্রথম বলেই নুরুল হাসান সোহানকে ফেরান মুস্তাফিজুর রহমান। এরপরের দুই বলে কোনো রান নিতে দেননি এই কাটার মাস্টার। চতুর্থ বলে অবশ্য তাঁকে ছক্কা হাঁকিয়ে জয়ের রাজশাহীর জয়ের আশা বাঁচিয়ে রাখেন রনি তালুকদার। পঞ্চম বলে ইনসাইড এজ হয়ে পেছন নিয়ে চার হয়ে যায়। শেষ বলে দুই রান নিলেও ১ রানে ম্যাচ হেরে যায় রাজশাহী।

১৭৬ রানের লক্ষ্যটা মোটেই সহজ ছিল না। অধিনায়ক নাজমুল হোসেন শান্তর সঙ্গে আনিসুল ইসলাম ইমনের ওপেনিং জুটি ছিল ৫৬ রানের। শান্ত ২৫ রান করে মুস্তাফিজুর রহমানের বলে উইকেটের পেছনে ক্যাচ দিয়েছেন। এরপর অভিজ্ঞ মোহাম্মদ আশরাফুলকে নিয়ে ৪৪ রান যোগ করেন ইমন।

এই জুটির পথেই স্বীকৃত টি-টোয়েন্টি ক্যারিয়ারের প্রথম হাফ সেঞ্চুরি তুলে নেন ডানহাতি এই ব্যাটসম্যান। এরপর ২২ রান করে আশরাফুল ফিরলে টিকতে পারেননি ইমনও। তিনি আউট হয়েছেন ৪৪ বলে ৫৮ রানের ইনিংস খেলে। 

থিতু এই দুই ব্যাটসম্যান ফেরার পরও জয়ের পথেই ছিল রাজশাহী। তবে ১৭ বলে ২৫ করা মেহেদী হাসান এবং ৯ বলে ১১ করা ফজলে মাহমুদ আউট হয়ে গেলে জয়ের কক্ষপথ থেকে ছিটকে যায় নাজমুল হোসেন শান্তর দলটি। নুরুল হাসান সোহান এবং রনি তালুকদার শেষ চেষ্টা করেও দলকে জেতাতে পারেননি।

এর আগে এই ম্যাচে টসে হেরে ব্যাটিং করতে নেমে চট্টগ্রামকে উড়ন্ত সূচনা এনে দিয়েছেন লিটন দাস এবং সৌম্য সরকার। এই দুজনে যোগ করেন ৬২ রান। সৌম্য আউট হয়েছে মুকিদুল ইসলাম মুগ্ধর শিকার হয়ে ৩২ রান করে।

এরপর দ্বিতীয় উইকেটে অধিনায়ক মোহাম্মদ মিঠুনকে নিয়ে আরও ৩১ রান যোগ করেন লিটন। তবে তাঁকে বেশিক্ষণ সঙ্গ দিতে পারেননি মিঠুন। চট্টগ্রাম দলপতি ফিরেছেন ১১ রান করে।

তাঁকে বোল্ড করেছেন আনিসুল হক ইমন। এরপর মাত্র ১ রান করে ফিরে গেছেন শামসুর রহমান। যদিও চতুর্থ উইকেটে মোসাদ্দেক হোসেনকে নিয়ে চট্টগ্রামের লড়াইয়ের পুঁজি নিশ্চিত করেছেন একপ্রান্ত আগলে রাখা লিটন।

অবশ্য ব্যক্তিগত ৩ রানেই ফিরতে পারতেন মোসাদ্দেক। এবাদত হোসেনের বলে তিনি উইকেটের পেছনে ক্যাচ দিয়েছিলেন। যদিও সেটা বোলার এবং উইকেটরক্ষক বুঝতেই পারেননি।

টিভি রিপ্লেতে দেখা যায় বলটি মোসাদ্দেকের ব্যাট স্পর্শ করেছিল। তিনি শেষ ওভারে ২৮ বলে ৪২ রানের ঝড়ো ইনিংস খেলে আউট হয়েছেন। যদিও লিটন শেষ পর্যন্ত অপরাজিত ছিলেন ৫৩ বলে ৭৮ রান করে। আর তাতেই লড়াকু পুঁজি পায় দলটি।

সংক্ষিপ্ত স্কোরঃ

গাজী গ্রুপ চট্টগ্রামঃ ২০ ওভারে ১৭৬/৪ (লিটন ৭৮*, মোসাদ্দেক ৪২, মিঠুন ১১; মুকিদুল ৩/৩০)

মিনিস্টার রাজশাহীঃ ২০ ওভারে ১৭৫/৭ (ইমন ৫৮, শান্ত ২৫, আশরাফুল ২০; মুস্তাফিজ ৩/৩৭)