ডিপিএল

ডিপিএলের আগে ক্রিকেটারদের করোনা প্রতিষেধক দেয়ার পরিকল্পনা বিসিবির

মমিনুল ইসলাম

মমিনুল ইসলাম
প্রকাশের তারিখ: 15:18 শনিবার, 28 নভেম্বর, 2020

|| ক্রিকফ্রেঞ্জি করেসপন্ডেন্ট ||

বাংলাদেশের ঘরোয়া ক্রিকেটের সবচেয়ে ঐতিহ্যবাহী টুর্নামেন্ট ঢাকা প্রিমিয়ার লিগ (ডিপিএল)। করোনার তাণ্ডবের কারণে চলতি বছরের মার্চে এক রাউন্ড পরই স্থগিত হয়ে যায় এবারের আসরটি। স্থগিত হওয়া আসর আয়োজন করতে চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড (বিসিবি)।

শনিবার সিসিডিএম চেয়ারম্যান কাজী এনাম আহমেদ জানিয়েছেন, ডিপিএল শুরুর আগে টুর্নামেন্টের সঙ্গে যুক্ত ক্রিকেটার ও কর্মকর্তাদের করোনা প্রতিষেধক টিকা দেওয়ার বিষয়ে নজর রাখছেন তারা।

করোনা মহামারীতেই ঘরের মাঠে ক্রিকেট ফিরিয়েছেন বাংলাদেশের ক্রিকেটের সর্বোচ্চ নিয়ন্ত্রক সংস্থাটি। তিন দলের প্রেসিডেন্টস কাপের পর এবার আয়োজন করছে পাঁচ দলের বঙ্গবন্ধু টি-টোয়েন্টি কাপ। প্রথম টুর্নামেন্টটি সফলভাবে আয়োজনের পর টি-টোয়েন্টি কাপও সফলভাবে আয়োজন করে চলছে তারা।

দুটি টুর্নামেন্ট আয়োজনের পরও ডিপিএলের বাকি অংশ করতে পারবে কি-না এ নিয়ে নিশ্চিত নন তারা। জাতীয় দলের বাইরে থাকা ক্রিকেটারদের একমাত্র উৎস বলা হয় ৫০ ওভারের এই ওয়ানডে টুর্নামেন্টকে। চলতি বছরের মার্চে টুর্নামেন্ট শুরু হলেও করোনার কারণে তা স্থগিত করতে বাধ্য হয় বিসিবি।

কোন কারণে টুর্নামেন্টটি না হলে বড় ধরণের আর্থিক ক্ষতিতে পড়বে ক্রিকেটাররা। তবে টুর্নামেন্টটি পুনরায় শুরু হতে পারে বলে শুনে খুশি হতে পারেন ক্রিকেটাররা। ক্রিকেট কমিটি অব ঢাকা মেট্রোপলিটনের (সিসিডিএম) চেয়ারম্যান জানিয়েছেন, এখনও ডিপিএল আয়োজন করতে মরিয়া তারা। কয়েকটি হোটেলে জৈব সুরক্ষা বলয় তৈরি করে টুর্নামেন্ট আয়োজন করার পরিকল্পনা রয়েছে তাদের। সেই সঙ্গে পারলে টুর্নামেন্টের সঙ্গে সম্পৃক্ত সবাইকে করোনা প্রতিষেধক টিকা দেয়ার প্রত্যাশা রয়েছে তাদের।

এ প্রসঙ্গে এনাম বলেন, ‘আমি আপনাকে বলি আমাদের কয়েকটা বিকল্প আছে। একটা হল ঢাকার বাইরেও এটা নিয়ে আমরা আগেও আলাপ করেছি। আমরা এখনো দেখছি যে কি করা যায়। যদি আমরা ঢাকার ভিতরে করি এখন কিন্তু ভিন্ন হোটেল অনুসারে করতে হতে পারে সেই সঙ্গে আর একটা বিষয় আমরা কিন্তু আলাপ করেছি।’

তিনি আরও বলেন, ‘যেহেতু আমরা দেখছি বিশ্বব্যাপী এবং বাংলাদেশের সরকার বলছে একটি ভ্যাকসিন অতি দ্রুত আসার সম্ভাবনা রয়েছে। সেক্ষেত্রে আমরা সর্বোচ্চ চেস্টা করব সকল প্লেয়ারকে ভ্যাক্সিনেট করে এবং তার সাথে যারা সম্পৃক্ত আছে সবাইকে ভ্যাক্সিনেট করে খেলাটাকে পরিচালনা করতে পারি কিনা।’

ডাবল লিগ পদ্ধতি বাদ দিলেও হলেও চলতি বছরের স্থগিত হওয়া আসর এবং পরবর্তী আসর আয়োজন করতে চায় তারা। এ প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ‘যদি একবছরেও দরকার হয় বা আট মাসেও দরকার হয় এর ব্যবধানে যদি দুইটা সিঙ্গেল লিগও করা যায় সেরকম বিবেচনাও কিন্তু আমরা করতে পারি যাতে খেলার মোট সংখ্যা হয়ত কমে যেতে পারে। তবে আমাদের খেলোয়াড়দের বিষয়টা দেখতে হবে ক্লাবদের বিষয়টাও দেখতে হবে।’