পিএসএল

ফাইনালের আশা বাঁচিয়ে রাখলো তামিমের লাহোর

ক্রিকফ্রেঞ্জি ডেস্ক

ক্রিকফ্রেঞ্জি ডেস্ক
প্রকাশের তারিখ: 01:37 রবিবার, 15 নভেম্বর, 2020

|| ডেস্ক রিপোর্ট || 

ফ্রাঞ্চাইজি ক্রিকেট হোক কিংবা পাকিস্তান জাতীয় দলের খেলা হোক, দলের বিপর্যয়ে সবসময়ই যেন ত্রাতা হয়ে আসেন মোহাম্মদ হাফিজ। টপ অর্ডারদের ব্যর্থতার পরও একাই দলকে জেতালেন তিনি। ৪৬ বলে অপরাজিত ৭৪ রান করেছেন ডানহাতি এই ব্যাটসম্যান। তাতে করে পেশোয়ার জালমিকে ৫ উইকেটে হারিয়ে ফাইনালের আশা বাঁচিয়ে রাখলো তামিমের লাহোর কালান্দার্স।

ধীরগতি ব্যাটিং নিয়ে প্রায়শই সমালোচনা শুনতে হয় তামিম ইকবালকে। তবে সেখান থেকেই বেরিয়ে আসতেই যেন পাকিস্তান সুপার লিগের (পিএসএল) এলিমিনেটরে জালমির বিপক্ষে আক্রমণাত্বক শুরু করেন তামিম। সিঙ্গেল নিয়ে শুরুর পর রাহাত আলীকে দুই চার মেরে আক্রমণাত্বক ব্যাটিংয়ের আভাস দেন বাংলাদেশের এই ওপেনার।

দ্বিতীয় ওভারে ফখর জামান ফিরে গেলেও চতুর্থ বলে স্কয়ার লেগে সাকিব মাহমুদকে ছক্কা মারেন তামিম। ওই ওভারের শেষ বলে আবারও শর্ট বল দেন সাকিব। এবারও ছক্কা হাঁকাতে গিয়ে যেন ভুল করে বসলেন বাংলাদেশের এই ওয়ানডে অধিনায়ক। ব্যাক অফ লেন্থের বল উড়িয়ে মারতে গিয়ে ইমাম উল হকের হাতে ক্যাচ দিয়ে ফিরে যান বাঁহাতি এই ওপেনার। শেষ পর্যন্ত ২ চার ও ১ ছয়ে ১০ বলে ১৮ রান করেন তামিম।

পরের গল্পটা কেবলই হাফিজের। তবে দলকে জেতাতে অভিজ্ঞ এই ব্যাটসম্যানকে সহায়তা করেছেন বেন ডাঙ্ক ও সামিত প্যাটেল। যদিও তারা ইনিংসটা বড় করতে পারেননি। শুরুর দিকে ভালো করলেও শেষের দিকে বেশ খরুচে ছিলেন সাকিব, ৪১ রান দিয়ে ৩ উইকেট নিয়েছেন এই ইংলিশ পেসার।

এর আগে টসে হেরে ব্যাট করতে নেমে শুরুটা ভালো করতে পারেনি জালমির দুই উদ্বোধনী ব্যাটসম্যান ইমাম উল হক ও হায়দার আলী । ইনিংসের দ্বিতীয় বলে কোন রান করেই শাহিন শাহ আফ্রিদির বলে বোল্ড হয়ে সাজঘরে ফেরেন হায়দার। এরপর শোয়েব মাকসুদ দলের হাল ধরার চেষ্টা করলেও ইনিংস দীর্ঘস্থায়ী করতে পারেননি।

নিয়মিত বিরতিতে উইকেট হারালেও দলের রানের চাকা সচল রাখেন ফাফ ‍ডু প্লেসি ও শোয়েব মালিক। যদিও ২৫ বলে ৩১ রান করে ডু প্লেসি আর ২৪ বলে ৩৯ রান করে ফিরে যান মালিক। আফ্রিদি, হারিস রউফ আর দিলবার হোসেনের পেস তাণ্ডবে শঙ্কা জাগে দলীয় রান দেড়শো না হওয়ার। 

দলের যখন এমন অবস্থা তখনই ত্রাতা হয়ে আসেন হার্দুল ভিলজোয়েন। শেষ দিকে ৩ ছক্কা আর ৩ চারে মাত্র ১৬ বলে ৩৭ রানের বিধ্বসী ইনিংস খেলেন ভিলজোয়েন। যেখানে রউফের শেষ ৯ বল থেকে ৩০ রান নিয়েছেন দক্ষিণ আফ্রিকার এই পেসার। তাতে শেষ পর্যন্ত নির্ধারিত ২০ ওভারে ৯ উইকেট হারিয়ে ১৭০ রান তুলে জালমি। লাহোরের হয়ে ৩টি উইকেট নেন দিলবার আর দুটি করে উইকেট নিয়েছেন আফ্রিদি, রউফ আর ডেভিড ওয়াইজ।

সংক্ষিপ্ত স্কোর: 
পেশোয়ার জালমি: ১৭০/৯ (ওভার ২০) ; (শোয়েব মালিক ৩৯, হার্দুল ভিলজোয়েন ৩৭, দিলবার হোসেন ৩/৩৩)
লাহোর কালান্দার্স: ১৭১/৫ (ওভার ১৯) ; (মোহাম্মদ হাফিজ ৭৪*, সামিত প্যাটেল ২০, সাকিব ৩/৪১)