প্রেসিডেন্টস কাপ ২০২০

প্রেসিডেন্টস কাপের সেরা একাদশ

ক্রিকফ্রেঞ্জি ডেস্ক

ক্রিকফ্রেঞ্জি ডেস্ক
প্রকাশের তারিখ: 18:12 সোমবার, 26 অক্টোবর, 2020

|| ডেস্ক রিপোর্ট || 

তিন দলের টুর্নামেন্ট। শুরুর দিকে প্রায় প্রতিটি ম্যাচেই ছিল ব্যাটিং বিপর্যয়। শেষ পর্যন্তও সে সমস্যা পুরোপুরি কাটেনি। বেশির ভাগ ম্যাচই হয়েছে লো স্কোরিং। তবুও দেশের ক্রিকেটে যথেষ্ট আলোড়ন সৃষ্টি করেছে বিসিবি প্রেসিডেন্টস কাপ। দীর্ঘ দিন পর দেশের মাঠে ক্রিকেট ফিরেছে এই টুর্নামেন্ট দিয়ে।

এই টুর্নামেন্টের প্রাপ্তিও কম নয়। প্রেসিডেন্টস কাপে পারফরম্যান্স দিয়েও নজর কেড়েছেন অনেক ক্রিকেটার। নতুন কেউ কেউ নিজের সামর্থ্যের জানান দিয়েছেন, পুরানো অনেক ক্রিকেটারও নতুন করে মেলে ধরেছেন নিজেদের। এই টুর্নামেন্টে ক্রিকেটারদের পারফর্ম্যান্স বিবেচনা করে ক্রিকফ্রেঞ্জি বেছে নিয়েছে এই টুর্নামেন্টের সেরা একাদশ।

সেখানে যেমন জায়গা পেয়েছেন শেষ ম্যাচে জ্বলে ওঠা লিটন দাস, অভিজ্ঞ মুশফিকুর রহিম, মাহমুদুল্লাহ রিয়াদরা। তেমনি তরুণ সুমন খান কিংবা নিজেদের নতুন করে চেনানো ইরফান শুক্কুর, আফিফ হোসেন ধ্রুবরাও। দেখে নেয়া যাক একাদশে কারা আছেন...

ইমরুল কায়েস: প্রেসিডেন্টস কাপে মূলত কোনো ওপেনারই সেভাবে নিজেদের মেলে ধরতে পারেননি। তাই পাঁচ ম্যাচে এক ফিফটিতে ১৪৬ রান করা ইমরুল কায়েসকে বেছে নেয়া হয়েছে উদ্বোধনী জুটিতে। তার দল মাহমুদুল্লাহ একাদশ চ্যাম্পিয়নও হয়েছে টুর্নামেন্টে। 

লিটন দাস: পুরো আসরে কিছুটা নিষ্প্রভ থাকলেও ফাইনালে জ্বলে উঠেছিলেন লিটন দাস। খেলেছেন ৬৮ রানের ইনিংস। চ্যাম্পিয়ন দলে তার সঙ্গী ইমরুল কায়েসের সঙ্গে তাই উদ্বোধনী ব্যাটসম্যান হিসেবে তাকেই বেছে নেয়া। পাঁচ ম্যাচে তিনি করেছেন ১১১ রান। 

আফিফ হোসেন ধ্রুব: এই টুর্নামেন্টে ভালোভাবেই আলো ছড়িয়েছেন ধ্রুব। এক ম্যাচে সেঞ্চুরি থেকে দুই রান দূরে হয়েছেন রান আউট। শান্ত একাদশের হয়ে খেলা এই ব্যাটসম্যান ৫ ম্যাচে করেছেন ১৫৭ রান। তিন নম্বর জায়গায় অনেকটা সংশয়হীনভাবেই আছেন এই তরুণ। 

মুশফিকুর রহিম (উইকেটরক্ষক): প্রেসিডেন্টস কাপের একমাত্র সেঞ্চুরিয়ান মুশফিক। পুরো আসর জুড়েই ধারাবাহিক ছিলেন অভিজ্ঞ এই ক্রিকেটার। এক সেঞ্চুরি ও দুই হাফ সেঞ্চুরিতে পাঁচ ম্যাচে ২১৯ রান করে আসরের সর্বোচ্চ রান সংগ্রাহকও মুশফিক। গ্লাভস হাতে উইকেটের পেছনে ৪টি ডিসমিশালে ভূমিকা ছিল তার।

মাহমুদুল্লাহ রিয়াদ (অধিনায়ক): ৫ ম্যাচে ১৬২ রান করা রিয়াদ আসরের তৃতীয় সর্বোচ্চ রান সংগ্রাহক। অধিনায়কত্বের আর্মব্যান্ড হাতেও সফল তিনি। চ্যাম্পিয়ন দলকে নেতৃত্ব দিয়েছেন অভিজ্ঞ এই ব্যাটসম্যান। তাকে তাই রাখা হয়েছে অধিনায়ক হিসেবেই। 

ইরফান শুক্কুর: এই টুর্নামেন্টের বড় চমক ছিলেন শুক্কুর। অনেক বছর ধরেই ঘরোয়া ক্রিকেটে নিয়মিত পারফর্ম করা এই ব্যাটসম্যান এবার নজরে এসেছেন ভালো মতোই। প্রেসিডেন্টস কাপের পাঁচ ম্যাচে করেছেন ২১৪ রান। যদিও গত বিপিএলে ফর্মের ধারাবাহিকতা দেখিয়েছিলেন তিনি। করোনার বিরতির পর ব্যাট চলছে সেই একই ভাবে।

মোহাম্মদ সাইফউদ্দিন: দেশের ক্রিকেটে যে কয়েকজন ক্রিকেটারের উজ্জ্বল ভবিষ্যৎ দেখেন বিশেষজ্ঞরা। তাদের মধ্যে সবার উপরেই থাকবেন সাইফউদ্দিন। দীর্ঘ বিরতির পর ছন্দ হারাননি তিনি। চার ম্যাচে ১২ উইকেট নিয়ে রুবেল হোসেনের সঙ্গে যৌথভাবে টুর্নামেন্টের সর্বোচ্চ উইকেট শিকারি তিনি। ব্যাট হাতেও করেছেন ৬৩ রান। 

মাহেদি হাসান: তিনি মূলত পরিচিত অফ স্পিনার হিসেবেই। তবে ব্যাটটাও যে ভালো চালাতে পারেন প্রেসিডেন্টস কাপে আরও একবার তার প্রমান দিয়েছেন মাহাদী। একটি ম্যাচে শেষ দিকে ব্যাটিংয়ে এসে খেলেছেন ম্যাচ জেতানো ইনিংস। ডানহাতি এই ব্যাটসম্যান করেছেন চার ম্যাচে ১০৬ রান। বল হাতেও নিয়েছেন দুই উইকেট।

তাসকিন আহমেদ: তার আবারও ফর্মে ফেরা নিয়ে সন্দিহান ছিলেন অনেকেই। তবে তাসকিন আহমেদ আবারও নিজেকে নতুন করে মেলে ধরেছেন বিসিবি প্রেসিডেন্টস কাপে। পাঁচ ম্যাচে ৭ উইকেট নেয়া এই পেসার দুর্দান্ত বোলিং করেছেন পুরো আসরজুড়ে। 

রুবেল হোসেন: প্রেসিডেন্টস কাপে সব পেসাররাই ভালো বোলিং করেছেন। সবাইকে ছাড়িয়ে আলো ছড়িয়েছেন অভিজ্ঞ পেসার রুবেল হোসেন। পাঁচ ম্যাচে ১২ উইকেট নিয়ে টুর্নামেন্টের সর্বোচ্চ উইকেট শিকারির তালিকাতেও যৌথভাবে প্রথম স্থানে আছেন তিনি।

সুমন খান: শুরুতে স্কোয়াডেই ছিলেন না তিনি। দুই পেসার হাসান মাহমুদ ও মৃত্যুঞ্জয় চৌধুরীর ইনজুরিতে সুযোগ পান সুমন। সেটা ভালোভাবেই কাজে লাগিয়েছেন এই তরুণ পেসার। ফাইনালে নিয়েছেন পাঁচ উইকেট। তিন ম্যাচ থেকেই পেয়েছেন ৯ উইকেট। 

তৌহিদ হৃদয় (দ্বাদশ ক্রিকেটার): নিজের প্রথম ম্যাচেই দলের বিপর্যয়ের সময় হাল ধরে আলোচনায় আসেন যুব বিশ্বকাপ জয়ী এই ক্রিকেটার। পাঁচ ম্যাচে ১২২ রান করা এই ব্যাটসম্যানকে রাখা হয়েছে ১২ তম ক্রিকেটার হিসেবে। 

ক্রিকফ্রেঞ্জির সেরা একাদশ:

ইমরুল কায়েস, লিটন দাস, আফিফ হোসেন ধ্রুব, মুশফিকুর রহিম (উইকেটরক্ষক), মাহমুদুল্লাহ রিয়াদ (অধিনায়ক), ইরফান শুক্কুর, মোহাম্মদ সাইফউদ্দিন, মাহেদি হাসান, তাসকিন আহমেদ, রুবেল হোসেন এবং সুমন খান।

দ্বাদশ ক্রিকেটার: তৌহিদ হৃদয়