প্রেসিডেন্টস কাপ

পেসারদের পর স্পিনারদের বিপক্ষেও নাকাল তামিম একাদশ

আবিদ মোহাম্মদ

আবিদ মোহাম্মদ
প্রকাশের তারিখ: 17:32 মঙ্গলবার, 13 অক্টোবর, 2020

|| ক্রিকফ্রেঞ্জি ডেস্ক ||

প্রেসিডেন্টস কাপের দ্বিতীয় ম্যাচে মিরপুর শের-ই-বাংলা জাতীয় ক্রিকেট স্টেডিয়ামে মুখোমুখি হয়েছে তামিম একাদশ এবং মাহমুদউল্লাহ একাদশ। শুরুতে টসে জিতে তামিমবাহিনীকে ব্যাটিংয়ের আমন্ত্রণ জানায় মাহমুদউল্লাহ বাহিনী। প্রতিপক্ষের আমন্ত্রণে ব্যাটিং করতে নেমে মাহমুদউল্লাহ একাদশের বোলিং তোপে মাত্র ১০৩ রানে গুটিয়ে গেছে তামিম একাদশ।

সর্বোচ্চ ২৫ রান এসেছে এনামুল হক বিজয় এবং তানজিদ তামিমের ব্যাট থেকে। মাহমুদউল্লাহর দলের হয়ে ৩টি করে উইকেট নিয়েছেন রুবেল হোসেন এবং সুমন খান। মেহেদি মিরাজ এবং আমিনুল ইসলাম নিয়েছেন ২টি করে উইকেট। মাঝে বৃষ্টির কারণে খেলা বন্ধ ছিল এক ঘন্টা ৪৫ মিনিট। যে কারণে ম্যাচের দৈর্ঘ্য কমিয়ে আনা হয়েছে ৪৭ ওভারে।

টসে হেরে ব্যাটিং করতে নেমে শুরুটা ভালো হয়নি তামিম একাদশের। প্রথম ওভারে বোর্ডে ৩ রান যোগ করলেও দ্বিতীয় ওভারে রুবেল হোসেনের বলে লেগ বিফরের ফাঁদে পরে সাজঘরে ফিরে যান অধিনায়ক তামিম। ৮ বলে ২ রান করেন তিনি।

বড় তামিমের বিদায়ের পরপরই শুরু হয় বৃষ্টি। প্রায় এক ঘন্টা ৪৫ মিনিট খেলা বন্ধ থাকার পর আবারও ব্যাটিংয়ে নামে তামিম একাদশ। বিজয়ের সঙ্গে ধীরগতিতে দেখে শুনেই এগোতে থাকেন তরুণ তামিম। তবে এই দুজনের ৩০ রানের জুটিতে বাঁধা হয়ে দাঁড়ান রুবেল হোসেন।

ডানহাতি এই পেসারের বলে স্কোয়ার লেগে ক্যাচ দিয়ে বসেন তামিম। ২৭ রান করা এই তরুণের ক্যাচ লুফে নেন মুমিনুল হক। এর দুই বল পর কাভার অঞ্চলে মুমিনুলকেই ক্যাচ দিয়ে বসেন ক্রিজে আসা মোহাম্মদ মিঠুন।

রুবেলের পর তামিম একাদশের মিডল অর্ডারকে লন্ডভন্ড করে দেন সুমন খান। ডান হাতি এই পেসার ৩ ওভারে ১৬ রান দিয়ে নিয়েছেন ৩ উইকেট। হ্যাটট্রিকের সুযোগও তৈরি করেছিলেন তিনি।

পাওয়ার প্লে'তে ৩ উইকেট হারিয়ে বসা তামিম একাদশকে উদ্ধার করতে পারেননি তরুণ শাহাদাত হোসেন দিপুও। ১ রান করে উইকেটরক্ষক নুরুল হাসানের হাতে ক্যাচ দিয়ে ফিরেছেন তিনি। ওভারের শেষ বলে তাকে ফেরানোর পর পরের ওভারের প্রথম বলে একই ভঙ্গিতে মোসাদ্দেককে বিদায় করেন সুমন।

৫ রান করে নুরুলের হাতেই ক্যাচ দিয়ে বসেন তিনি। একই ওভারে থার্ড ম্যান অঞ্চলে আনামুল হক বিজয়কে আউট করেন সুমন। বিজয় করেন ২৫। পরের ওভারেই অবশ্য আউট হতে পারতেন মেহেদি হাসান। কিন্তু থার্ড স্লিপে থাকা মেহেদি হাসান মিরাজ তাঁর ক্যাচ লুফে নিতে পারেননি।  ০ রানে এবাদত হোসেনের বলে জীবন পান এই ব্যাটসম্যান। 

জীবন পেয়েও সেটাকে কাজে লাগাতে পারেননি মেহেদি। আমিনুল ইসলামের বলে উইকেটের পেছনে ক্যাচ দিয়ে ফেরেন এই ব্যাটসম্যান। ১৯ রান আসে তার ব্যাট থেকে। খানিক পর তাইজুলকে এক রানে বিদায় করেন মিরাজ। 

শেষের দুই ব্যাটসম্যানকেও প্যাভিলিয়নে ফিরিয়েছেন এই দুই স্পিনার। সাইফউদ্দিন লেগ বিফরের ফাঁদে পরে বিদায় নেন মিরাজের বলে। ১২ রান আসে তাঁর ব্যাট থেকে। খানিক পর শরিফুলকে ৪ রানে বিদায় করেন আমিনুল। ১০৩ রানেই গুটিয়ে যায় পুরো দল।

সংক্ষিপ্ত স্কোরঃ

তামিম একাদশঃ ১০৩ অল আউট (২৩.১ ওভার) (তামিম ২, তানজিদ ২৫, আনামুল ২৫, মিঠুন ০, দিপু ১, মোসাদ্দেক ৫, সাইফউদ্দিন ১২, মেহেদি হাসান ১৯, তাইজুল ১, শরিফুল ৪, মুস্তাফিজ ০*; রুবেল ৩/১৬, সুমন ৩/৩১, আমিনুল ২/১৭, মিরাজ ২/২)

তামিম একাদশ:

তামিম ইকবাল (অধিনায়ক), তানজিদ হাসান তামিম, মোসাদ্দেক হোসেন সৈকত, মোহাম্মদ মিঠুন, শাহাদাত হোসেন দিপু,  এনামুল হক, মোহাম্মদ সাইফউদ্দিন, মুস্তাফিজুর রহমান, শরিফুল ইসলাম, মেহেদী হাসান, তাইজুল ইসলাম, মিনহাজুল আবেদিন আফ্রিদি।

মাহমুদউল্লাহ একাদশ:

মাহমুদউল্লাহ (অধিনায়ক), মোহাম্মদ নাঈম শেখ, লিটন দাস, মুমিনুল হক,  নুরুল হাসান সোহান, সাব্বির রহমান, ইমরুল কায়েস, হাসান মাহমুদ, এবাদত হোসেন চৌধুরী, রুবেল হোসেন,  মেহেদী হাসান মিরাজ, আমিনুল ইসলাম বিপ্লব।