প্রেসিডেন্টস কাপ

ইরফান-হৃদয়ের ব্যাটে জয় পেল নাজমুল একাদশ

আবিদ মোহাম্মদ

আবিদ মোহাম্মদ
প্রকাশের তারিখ: 21:52 রবিবার, 11 অক্টোবর, 2020

|| ক্রিকফ্রেঞ্জি করেসপন্ডেন্ট ||

আমিনুল ইসলাম বিপ্লবের বল লং অনে খেলে দৌড়ে সিঙ্গেল নিলেন তৌহিদ হৃদয়। অপরপ্রান্তে পৌঁছে ব্যাট উঁচিয়ে করলেন ছোট উদযাপন। অপর পাশ থাকা ইরফান শুক্কুর দৌড়ে গেলেন এই তরুণের কাছে, হেলমেটে ওপর হাত রেখে শুভকামনা জানিয়ে হাতও মেলালেন। সে সময় এই দুজনের জুটি ৯৮ রানের।

এরপরের ওভারে আবু হায়দারকে বাউন্ডারি হাঁকিয়ে ইরফান পৌঁছে গেলেন হাফ সেঞ্চুরিতে। মাইলফলকে পৌঁছে ক্রিজের মাঝে গিয়ে হাত মেলালেন হৃদয়ের সঙ্গে। পূরণ হল দুজনের শত রানের জুটিও। তবে এই দুজনের ১০৫ রানের জুটি ভেঙ্গে দেন আমিনুল ইসলাম। ৫২ রানে হৃদয়কে প্যাভিলিয়নে ফেরত পাঠান তিনি।  

৭৯ রানে ৫ উইকেট হারানো নাজমুল একাদশকে এদিন এই দুজন মিলেই বিপদ থেকে উদ্ধার করেছেন। শুধু উদ্ধারই নয়, দলকে জয়ের খুব কাছেও নিয়ে গেছেন তারা। মাহমুদউল্লাহ একাদশের বোলারদের বিপক্ষে দারুণ ব্যাটিং করে দলের জয়ের ভিত শক্ত করেন হৃদয় এবং ইরফান। 

শেষ পর্যন্ত ৫৩ বল বাকি থাকতে ৪ উইকেটের জয় তুলে নেয় নাজমুল একাদশ। ইরফান অপরাজিত থাকেন ৫৬ রানে, নাঈম হাসান করেন ৭ রান। মাহমুদউল্লাহ একাদশের হয়ে একাই ৩ উইকেট নেন এবাদত হোসেন।

১৯৭ রানের মাঝারি লক্ষ্যে শুরুটা ভালোই করেন নাজমুল একাদশের দুই ওপেনার সাইফ হাসান এবং সৌম্য সরকার। প্রথম ওভারে রুবেল হোসেনকে দুটি বাউন্ডারি হাঁকিয়ে ইনিংসের সূচনা ক করেন সাইফ। তবে দলীয় ১৯ এবং ব্যক্তিগত ১৩ রানে লিটনের হাতে একবার জীবনও পান এই তরুণ।

জীবন পেয়ে অবশ্য সেটাকে কাজে লাগাতে পারেননি সাইফ। ব্যক্তিগত ১৭ রানে এবাদত হোসেনের বলে স্লিপে নাঈম শেখের হাতে ক্যাচ দিয়ে বসেন এই ওপেনার। এরপর তিনে নামা অধিনায়ক নাজমুল হোসেনকে নিয়ে জুটি গড়েছিলেন সৌম্য সরকার।

দলকে ৫০'র ওপর নিয়ে গেলেও এবাদতের বলেই থার্ড ম্যান অঞ্চলে রকিবুলের দুর্দান্ত ক্যাচে ২১ রানে ফেরেন সৌম্য। খানিক পর ১ রানে এবাদতের বলেই ইনসাইড এজে বোল্ড হন মুশফিকও। এই অবস্থায় দলকে টেনে তুলতে পারেননি আফিফ এবং শান্তও।

৭৯ রানের মাথায় দুজনই বিদায় নেন। আফিফ করেন ৪ এবং শান্তর ব্যাট থেকে আসে ২৮ রান। এরপর অবশ্য পুরো হিসেব পাল্টে দেন ইরফান এবং হৃদয়। তাঁদের ১০৫ রানের জুটি দলকে জয়ের খুব কাছে নিয়ে যায়। ৪২তম ওভারের প্রথম বলে বিপ্লবকে ছক্কা মেরে দলের জয় নিশ্চিত করেন নাঈম। 

সংক্ষিপ্ত স্কোর:-

মাহমুদউল্লাহ একাদশ: ১৯৬/১০ (৪৭.৩ ওভার) (লিটন ১১, নাঈম ৯, মুমিনুল ০, ইমরুল ৪০, মাহমুদউল্লাহ ৫১, নুরুল হাসান ১৪,  সাব্বির ২২, আমিনুল ৬, আবু হায়দার ১৪*, রাকিবুল ১৫, রুবেল ১; তাসকিন ৩৭/২, আল আমিন ৪০/২, মুকিদল ইসলাম ৪৪/২, নাঈম হাসান ৩৯/১, সৌম্য ১/১)

নাজমুল একাদশ: ১৯৭/৬ (৪১.১ ওভার) (সাইফ ১৭, সৌম্য ২১, শান্ত ২৮, মুশফিক ১* আফিফ ৪, ইরফান ৫৬* হৃদয় ৫২, নাঈম ৭; এবাদত ৩/৪৬)