আইপিএল ২০২০

তেওয়াতিয়ার ব্যাটে রাজস্থানের রেকর্ড গড়া জয়

ক্রিকফ্রেঞ্জি ডেস্ক

ক্রিকফ্রেঞ্জি ডেস্ক
প্রকাশের তারিখ: 23:46 রবিবার, 27 সেপ্টেম্বর, 2020

|| ডেস্ক রিপোর্ট ||

ইন্ডিয়ান প্রিমিয়ার লিগের (আইপিএল) নবম ম্যাচে কিংস ইলেভেন পাঞ্জাবের বিপক্ষে নাটকীয় জয় পেয়েছে রাজস্থান রয়্যালস। কিন্স ইলেভেন পাঞ্জাবের দেয়া ২২৩ রানের জবাবে আইপিএলের রেকর্ড সর্বোচ্চ রান তাড়া করে জয় পায় রাজস্থান। ৩ বল এবং ৪ উইকেট হাতে রেখেই লক্ষ্যে পৌঁছে যায় টুর্নামেন্টটির প্রথম শিরোপাধারী দলটি।

শারজাহ ক্রিকেট স্টেডিয়ামে টসে জিতে রাজস্থানকে ব্যাটিংয়ে পাঠায় কিংস ইলেভেন পাঞ্জাব। ব্যাট করতে নেমে শুরু থেকেই রাজস্থানের বোলার উপর চড়াও হন দুই ওপেনার লোকেশ রাহুল এবং মায়াঙ্ক আগারওয়াল।

রাহুলের ৫৪ বলে ৬৯ এবং মায়াঙ্কের ৫০ বলে ১০৬ রানের টর্ণেডো ইনিংসে ভর করে উদ্বোধনী জুটিতেই ১৮৩ রান তোলে পাঞ্জাব। দলীয় ১৮৩ রানে মায়াঙ্কের বিদায়ে ভাঙ্গে সেই জুটি। পরের ওভারেই রাজপুতের শিকার হয়ে ফেরেন রাহুল।

এরপর ম্যাক্সওয়েলের অপরাজিত ৯ বলে ১৩ এবং নিকোলাস পুরানের অপরাজিত ৮ বলে ২৫ রানের ইনিংসে ভর করে ২ উইকেটের খরচায় ২২৩ রানের পাহাড়সম পুঁজি গড়ে পাঞ্জাব।

বড় লক্ষ্যে ব্যাট করতে নেমে শুরুটা খুব একটা ভালো হয়নি রাজস্থানের। দলীয় ১৯ রানে কটরেলের শিকার হয়ে সাজঘরে ফেরেন ওপেনার জশ বাটলার।

এরপর দলপতি স্মিথ (২৭ বলে ৫০) এবং সাঞ্জু স্যমসন (৪২ বলে ৮৫) দায়িত্বশীল ব্যাটিংয়ে প্রাথমিক বিপর্যয় সামাল দেন। দলীয় ১০০ রানে স্মিথ বিদায় নিলেও ঝড় চালিয়ে যেতে থাকেন সাঞ্জু।

দলীয় ১৬১ রানে সাঞ্জুকে ফিরিয়ে ঝড় কিছুটা থামান মোহাম্মদ শামি। সাঞ্জুর বিদায়ে জয় প্রায় নিশ্চিত হয়ে গিয়েছিল পাঞ্জাবের।

কিন্তু পাঞ্জাবের মুখ থেকে সেই জয় ছিনিয়ে আনেন তেওয়াতিয়া। ৩১ বলে ৫৩ রানের ঝড়ো ইনিংস খেলে দলকে নিয়ে যান জয়ের দ্বারপ্রান্তে। শেষদিকে বাকি আর্চারের ৩ বলে ১৩ এবং স্যাম য়ম ক্যুরানের চারের মধ্য দিয়ে আইপিএলের সর্বোচ্চ রান তাড়া করে জয়ের রেকর্ড গড়ে রাজস্থান।

এর আগের সর্বোচ্চ রেকর্ডটিও ছিল তাদের। ডেকান চার্জার্সের বিপক্ষে ২১৫ রানে তাড়া করে জিতেছিল দলটি।

পাঞ্জাবের হয়ে তিনটি উইকেট নেন মোহাম্মদ শামি। আর একটি করে উইকেট পান আশ্বিন, নিশাম এবং কটরেল।

সংক্ষিপ্ত স্কোর:

কিংস ইলেভেন পাঞ্জাব- ২২৩/২
(মায়াঙ্ক ১০৬, রাহুল ৬৯; রাজপুত ১/৩৯, ক্যুরান ১/৪৪)

রাজস্থান রয়্যালস- ২২৬/৬
(সাঞ্জু ৮৫, তেওয়াতিয়া ৫৩; শামি ৩/৫৩, নিশাম ১/৪০)