বাংলাদেশ ক্রিকেট

সৌম্যকে ফেলে তাসকিনের হুঙ্কার

ক্রিকফ্রেঞ্জি ডেস্ক

ক্রিকফ্রেঞ্জি ডেস্ক
প্রকাশের তারিখ: 00:15 মঙ্গলবার, 22 সেপ্টেম্বর, 2020

|| ক্রিকফ্রেঞ্জি করেসপন্ডেন্ট ||

এখনও ঝুলে রয়েছে বাংলাদেশ জাতীয় ক্রিকেট দলের শ্রীলঙ্কা সফরের ভাগ্য। কিন্তু তারপরও সিরিজকে সামনে রেখে ইতোমধ্যেই দলগত অনুশীলন শুরু করেছে জাতীয় দলের ক্রিকেটাররা। ২৭ জনের স্কোয়াডের আইসোলেশনে থাকা ১১ জন বাদে অনুশীলন করছেন ১৬ জন ক্রিকেটার।

মিরপুরের হোম অফ ক্রিকেটে রবিবার (২০ সেপ্টেম্বর) প্রথম দিনে অনুশীলন করেছেন ৪ পেসার। মোস্তাফিজুর রহমান, আল আমিন হোসেন, তাসকিন আহমেদ এবং রুবেল হোসেন। সঙ্গে ছিলেন সৌম্য সরকার যিনি ব্যাটিংয়ের পাশাপাশি বোলিংও করেছিলেন।

সৌম্যসহ এই পাঁচ পেসারের ভেতর প্রথম দিনেই সবার নজর কেড়েছিলেন ডানহাতি পেসার তাসকিন আহমেদ। তার আগুন ঝড়ানো বোলিংয়ের সামনে থিতু হতে পারছিলেন না কোনো ব্যাটসম্যানই। তাসকিনের বোলিং তোপ অব্যাহত ছিল দ্বিতীয় দিনেও।

এদিনও ডানহাতি এই পেসারের আগুনে বোলিংয়ের সামনে ধুকছিলেন ব্যাটসম্যানরা। এর ভেতর বিকালে তাসকিনের এক বাউন্সার সামাল দিতে না পেরে মাটিতে লুটিয়ে পড়েন সৌম্য সরকার। যদিও সঙ্গে সঙ্গেই উঠে সামাল দেন সৌম্য।

একক অনুশীলন এবং লকডাউনের সময় ঝড়ানো ঘামের ফলাফল সবার চোখে এক প্রকারে আঙ্গুল দিয়েই দেখিয়ে দিলেন এই পেসার। সেই সঙ্গে নিজের স্বরূপে ফেরারও আগমনী বার্তা দিলেন এই ক্রিকেটার।

এর আগে ক্রিকফ্রেঞ্জির লাইভে এসে তাসকিন বলেছিলেন, 'আমি একজন ফাস্ট বোলার, আমি ১৩০ গতিতে বোলিং করলে নির্বাচকরা আমাকে দলে নেবে না। আমাকে ধারাবাহিকভাবে ১৪০ গতিতে বোলিং করতে হবে। এটাই এখন লক্ষ্য আমার। এই কারণেই ফিটনেসে উন্নতি করছি।'

এছাড়া মানসিকভাবেও প্রস্তুতি নিতে হবে যেন আমি ১৪০ গতিতে ধারাবাহিকভাবে বোলিং করি। এটাও আয়ত্তে আনার চেষ্টা করছি। আশা করছি সামনের দিনগুলোতে এগুলো আমাকে সাহায্য করবে।'

মূলত টিম ম্যানেজমেন্টের তার প্রতি অনীহা থাকাটাকে তিনি শক্তি হিসেবে নিয়ে সেখান থেকেই ঘুরে দাঁড়ানোর কাজ শুরু করেছিলেন তাসকিন। তিন ফরম্যাটেই খেলার লক্ষ্য নিয়ে নতুন উদ্যোমে কাজ শুরু করেছিলেন তিনি।

তাসকিন আরও বলেছিলেন, 'গত দেড় বছরে আমি স্কোয়াডে সুযোগ পেলেও ম্যাচ খেলা হয়নি। এর আগে চোটের কারণে ফিটনেস এবং গতির দিক দিয়ে আমি ধারাবাহিক ছিলাম না। কোচিংস্টাফ সহ অনেকেই এই কারণেই আমাকে দলে নিতে চায়নি।'

'সে সময়ই আমি লক্ষ্য স্থির করি নিজেকে ফিট বানানোর এবং ধারাবাহিক হওয়ার। যাতে আমি ৩ ফরম্যাটেই খেলতে পারি। এই লক্ষ্যেই এগিয়ে যাচ্ছি। তারপরও ইনজুরি যে কারও যেকোনো সময় হতে পারে। আমি আমার সর্বোচ্চটা দিয়ে চেষ্টা করছি, সেরাটা দিয়ে বোলিং করার লক্ষ্যে এগিয়ে যাচ্ছি।'  

এক সময়ে জাতীয় দলের অপরিহার্য সদস্য হলেও, অফ ফর্ম এবং চোটের কারণে জায়গা হারাতে হয় এই পেসারকে।  বিপিএলের পঞ্চম আসর দিয়ে জাতীয় দলে ফেরার লড়াইয়ে জয়ের খুব কাছে গিয়েও ইনজুরির কাছে হেরে যেতে হয় তাসকিনকে।

সেবার সিলেট সিক্সার্সের হয়ে ১২ ম্যাচে ২২ উইকেট নিলেও টুর্নামেন্টের শেষের দিকে ইনজুরিতে পরেন তিনি। ছিটকে যান নিউজিল্যান্ড সফরের ওয়ানডে এবং টেস্ট দল থেকে।