ঘরোয়া ক্রিকেট

ঘরোয়া ক্রিকেট আয়োজনে সরকারের সবুজ সংকেত

আবিদ মোহাম্মদ

আবিদ মোহাম্মদ
প্রকাশের তারিখ: 20:29 সোমবার, 10 আগস্ট, 2020

|| ক্রিকফ্রেঞ্জি করেসপন্ডেন্ট ||

করোনাভাইরাসের কারণে এ বছরের মার্চ মাস থেকে দেশের সকল পর্যায়ে খেলাধুলা ও প্রশিক্ষণ কার্যক্রম বন্ধ রয়েছে। তবে পরিস্থিতির উন্নতি হওয়ায় বন্ধ থাকা দেশের সকল পর্যায়ে খেলাধুলা ও প্রশিক্ষণ কার্যক্রম সীমিত আকারে চালুর বিষয়ে সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেছে যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয়।

সোমবার যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয় এ বিষয়ে প্রেস বিজ্ঞপ্তি দিয়েছে। এর আগে খেলাধুলা ও প্রশিক্ষণ কার্যক্রম চালুকরণের বিষয়ে যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয়, স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়ে মতামত চেয়ে পত্র প্রেরণ করেছিল।

এরই প্রেক্ষিতে সোমবার সচিবালয়ে যুব ও ক্রীড়া প্রতিমন্ত্রী জাহিদ আহসান রাসেল এক জরুরি সভায় বসেন। বৈঠক শেষে তিনি বলেন, 'বিশ্বের অনেক দেশে করোনা সংক্রমণ কমে যাওয়ার প্রেক্ষিতে স্বাস্থ্যবিধি মেনে খেলাধুলা ও প্রশিক্ষণ কার্যক্রম শুরু করেছে। আমাদের দেশেও করোনা সংক্রমণের হার নিম্নমুখী।'

'এ প্রেক্ষিতে, আমরা খেলাধুলা ও প্রশিক্ষণ কার্যক্রম চালুকরণের বিষয়ে স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের মতামত চেয়ে পত্র প্রেরণ করি। স্বাস্থ্য অধিদফতর ১০টি শর্তে সীমিত আকারে খেলাধুলা আয়োজন ও প্রশিক্ষণ কার্যক্রম চালুর বিষয়ে মতামত প্রদান করেছে। এমতাবস্থায়, স্বাস্থ্য অধিদপ্তর কর্তৃক নির্ধারিত শর্তসমূহ প্রতিপালন পূর্বক দেশের সকল পর্যায়ে খেলাধুলা ও প্রশিক্ষণ কার্যক্রম সীমিত আকারে চালুর বিষয়ে সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেছে', আরও যোগ করেন তিনি।

করোনাভাইরাসের কারণে এ বছরের মার্চে মাত্র একরাউন্ডার পরই স্থগিত হয়ে যায় ঢাকা প্রিমিয়ার লিগ। এবার সরকারের সবুজ সংকেত পাওয়ায় ঘরোয়া ক্রিকেট মাঠে ফেরানোর ব্যাপারে ইতিবাচক সিদ্ধান্ত নিতে পারে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড (বিসিবি)

ক্রিকেট কমিটি অব ঢাকা মেট্টোপলিশের (সিসিডিএম) চেয়ারম্যান কাজী ইনাম আহমেদ মে মাসে এক গণমাধ্যমকে জানিয়েছিলেন, ঘরোয়া লিগ আয়োজনে সরকারের সবুজ সংকেতের জন্য অপেক্ষা করছেন তারা। ৪ মাস পর অবশেষে সরকার থেকে এলো সবুজ সংকেত।

কাজী এনাম ডেইলি সানকে বলেছিলেন, 'আমাদেরকে এই মুহূর্তে সব পরিস্থিতি বিবেচনা করতে হবে। সেই সঙ্গে সরকারের সবুজ সংকেতের জন্যও অপেক্ষা করতে হবে। এরপরই আমরা কোনো সিদ্ধান্তে যেতে পারব।'

এদিকে সিসিডিএম চেয়ারম্যান গত মাসে আরও জানিয়েছিলেন, তারা ক্লাবগুলোকে প্রস্তুত থাকতে বলেছেন, যাতে করে ১৫ দিনের সংক্ষিপ্ত নোটিশেই ২০১৯-২০ মৌসুমের স্থগিত হয়ে যাওয়া ঢাকা প্রিমিয়ার লিগ ফেরানো সম্ভব হয়। 

এমন অবস্থায় সরকার সবুজ সংকেত দেয়ায় দ্রুত মাঠে গড়াতে পারে ঘরোয়া ক্রিকেট। তবে পরিস্থিতি বিবেচনায় সবকটি ম্যাচ হতে পারে ঢাকার বাইরে। এ নিয়েও পরিষ্কার জানিয়েছিলেন তিনি।