ইংলিশ ক্রিকেট

বড় রকমের আর্থিক ক্ষতির মুখে ইসিবি; কর্মী ছাটাইয়ের সম্ভাবনা

ক্রিকফ্রেঞ্জি ডেস্ক

ক্রিকফ্রেঞ্জি ডেস্ক
প্রকাশের তারিখ: 14:54 বৃহস্পতিবার, 06 আগস্ট, 2020

|| ডেস্ক রিপোর্ট ||

করোনা বিরতির পর বেশ ঘটা করে মহা সমারোহে নিজেদের দেশে ওয়েস্ট ইন্ডিজ এবং পাকিস্তানকে সিরিজ খেলতে ডেকেছে ইংল্যান্ড। আলোচনাধীন রয়েছে অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষের সিরিজটিও। মূলত নিজেদের করোনার প্রভাবে হওয়া আর্থিক ক্ষতি পোষাতে এই সিরিজগুলো আয়োজন করছে ইংল্যান্ড এন্ড ওয়েলস ক্রিকেট বোর্ড (ইসিবি)। কিন্তু তাতেও খুব একটা সুবিধা করতে পারছে না ইসিবি। বোর্ড আনুমানিক ১৮ কোটি ২০ লাখ পাউন্ড ক্ষতির সন্মূখীন হতে যাচ্ছে বলে ধারণা করা হচ্ছে।

সংবাদমাধ্যম দ্য গার্ডিয়ানের তথ্যমতে, চলমান করোনাভাইরাস পরিস্থিতিতে নিজেদের সম্ভাব্য আয়ের চিত্র তুলে ধরতে ১৮টি কাউন্টি দল ও কাউন্টি বোর্ডগুলোর সঙ্গে বুধবার (৫ আগস্ট) এক সভায় বসেছিল ইসিবি। সেখান থেকেই পাওয়া গেছে এই তথ্য। সবকিছু সুষ্ঠুভাবে সম্পন্ন হলেও এবং সম্ভাব্য সর্বোচ্চ আয় করলেও চলতি আর্থিক বছরে কমপক্ষে ১০ কোটি ৬০ লাখ পাউন্ড ঘাটতি নিশ্চিতভাবেই থেকে যাবে বলে ধারণা করছে ইসিবি।

গার্ডিয়ানের প্রতিবেদন অনুযায়ী, এত বড় আর্থিক ক্ষতির কারণ সিরিজ আয়োজনের ব্যয় বেড়ে যাওয়া এবং আয় কমে যাওয়া।

চার্টার্ড বিমানে দলগুলোকে আনা, লম্বা সময় তাদের নিরাপদ অবস্থানে রাখা, দীর্ঘদিন ধরে ভেন্যুগুলোতে ‘জীবানুমুক্ত’ পরিবেশ তৈরি করা ও ধরে রাখা, এসব কারণে স্বাভাবিক সময়ের চেয়ে খরচ বেড়ে গেছে অনেক।

অপরদিকে মাঠে দর্শক প্রবেশের অনুমতি না থাকায় হচ্ছে না টিকিট বিক্রি। ফলে এই উৎস থেকে আসছে না কোনো আয়। আবার স্পন্সরশিপ থেকেও আয় কমেছে উল্লেখযোগ্য হারে। চলতি পাকিস্তান সিরিজের জন্য কোনো স্পন্সরই পাওয়া যায়নি। অন্যদিকে টিভি স্বত্ব থেকে আয়ও কম হবে।

১০০ বলের ক্রিকেট ‘দা হান্ড্রেড’ থেকে বড় আয়ের লক্ষ্য ছিল ইসিবির। করোনাভাইরাস পরিস্থিতিতে পিছিয়ে গেছে সেটিও। ফলে আয়ের চেয়ে এখন ব্যয়ই বেশি হচ্ছে ইসিবির।

ফলশ্রুতিতে উপায় না দেখে ইসিবি তাই এখন উপায় খুজছে খরচ কমানোর। শুরু হতে পারে ছাটাই কার্যক্রম। করোনার প্রকোপ শুরুর আগের হিসেবে বোর্ডের কর্মী সংখ্যা ৩৭৯ জন। গার্ডিয়ানের সূত্রমতে জানা গেছে এই সংখ্যা শতকরা ২৫ ভাগ কমানোর ভাবনা আছে ইসিবির।